নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩ ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। নীলফামারীতে গত দুই সপ্তাহ যাবত নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলাতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। অনেক রকম দোকান, হরেক রকম খাবার দোকান, নানা ধরনের রাইড ইত্যাদি মিলেই মেলা। তো চলুন শুরু করা যাক।
এটি হলো নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার গেইট। যা দূর থেকে অনেক সুন্দর লাগে।
কিছুদিন আগে আমি আর আম্মু মিলে নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাই। মেলায় প্রবেশ করতে টিকেট কাটতে হয় যার মূল্য হলো কুড়ি টাকা মানুষ প্রতি। মেলার গেইট এর বাইরে গরম গরম বুট, বাদাম এর দোকান ও বসেছে।
২০ টাকা করে টিকিট কেটে মেলার ভেতরে ঢুকি। ঢুকতেই দু'পাশে হরেক রকম আচার,সন্দেশ, বাতাসার দোকান। তারপর আমরা মেলার দোকানগুলো ঘুরে দেখা শুরু করি। মেলার প্রায় সব দোকানই মেয়েদের জিনিসপত্র 🤦🏻♂️। যাইহোক, চুরি, দুল, গলার মালা, চুক, ক্লিপ, ব্যান্ড এরকম দোকান অনেক বসেছে মেলায়। দোকানগুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম। এরপরেই আসলো কিছু কাপরের দোকান, পুতুলেএ দোকান এগুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম। এরপরেই আসলো সোপিছ এর দোকানগুলো যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। এরপরেই আসলো কিছু স্যান্ডেল এর দোকান।
এরপর আমরা মেলার রাইডগুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম। অনেক রকম রাইড এসেছে মেলায়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের জন্য। মেলায় এসেছে নৌকা যেখানে দোল খাওয়া যায়, এসেছে বড় এক নাগরদোলা। এরপর রয়েছে শিশুদের নৌকা রাইড, তাছাড়াও শিশুদের জন্য স্লাইডিং রাইড ও রয়েছে মেলায়। শিশুরা একসল রাইডে অনেক বেশি ইনজয় করছিলো।
মাঠের মাঝে একটি বড় টাওয়ার আছে, যা মেলার বাইরে থেকেও অনেক সুন্দরভাবে দেখা যায়। এই টাওয়ারটি মেলার একটি আর্কষণীয় দিক বহন করছে।
মেলার একদিকে চলছে দি গ্রেট রওশন সার্কাস। আমি আর আম্মু অনেকক্ষণ ধরেই মেলায় ঘুরছিলাম। অনেক রাত হয়ে গিয়েছিলো, তাই একটু হাটাহাটি করে মেলা থেকে বের হয়ে যাই।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি আপনাদের সকলকে ভালো লেগেছে। সকলকে আমন্ত্রণ জানালাম নীলফামারী ঘুরে আসার জন্য। এতক্ষণ ধরে আমার ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের মতো এখানেই, ভালো থাকবেন সবাই।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আপনি এবং আপনার আম্মু দেখছি নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। এরকম শিল্প এবং বাণিজ্য মেলা গুলোতে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম হয়। সেখানে দেখছি অনেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করা হচ্ছিল। আপনি প্রত্যেকটা দোকানের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে। বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা পড়ে।
হুম ভাই অনেক ইনজয় করেছি। মেলা মানেই আনন্দমুখর পরিবেশ। আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যে মেলাতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বেশি ভালো লেগেছে রঙিন চুড়ির ফটোগ্রাফি তা ছাড়া বাকি ফটোগুলোও সুন্দর হয়েছে৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। দোয়া রাখবেন যেনো আরো এরকম পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে পারি।
মেলায় গিয়ে দেখছি বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। মেলায় ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তে একেবারে অন্যরকম হয় এবং ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালো লাগে। বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি যেগুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি আপনার আম্মুর সাথে নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্যমেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন, নিশ্চয়ই দুইজনের মুহূর্তটা বেশ ভালো কেটেছিল। দুজনের হাসি মুখ দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আমাদেত মুহূর্তটা বেশ ভালো কেটেছিলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হয়তো বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আমার তবে আপনার এই পোস্ট দেখে কিন্তু অনেক ধারণা অর্জন করলাম এবং কিছুটা হলেও সে সুন্দর অনুভূতি নিজের মনের মধ্যে আনতে পারলাম। আপনি অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন তাই খুশি হলাম।
চলে আসেন নীলফামারী আপনাকে বাণিজ্য মেলায় ঘুরাবো🙆🏻♂️। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো।