রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি ||
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজ আমি আবার আপনাদের সামনে এসেছি আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আমি কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দেয়ার জন্য রাজশাহী গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি যা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
আমি আর আমার মা নীলফামারী থেকে ৩'৪০ এর ট্রেনে উঠি, ট্রেনটি ডিরেক্ট নীলফামারী থেকে রাজশাহী যায়। ৩'৩০ এর মধ্যে আমরা স্টেশনে যাই, সেখানে আমার অনেক ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা হয় তারাও এক্সাম দিতে যাবে আর তাদের বাবা-মা দের আমার মা চিনে। ওখানে ট্রেন আসা অব্ধি সবাই গল্প করতে থাকে। এরপর ৪ টায় ট্রেন আসে আমরা সবাই ট্রেনে উঠি।
ট্রেনে অনেক বেশি যাত্রী ছিলো, পরীক্ষার জন্য ওভারলোড হয়ে গেছিলো। ট্রেনের প্রায় সব যাত্রীই পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবক। স্বাভাবিক এর চেয়ে ট্রেন অনেক ধীরে চলছিল। তাই, ট্রেনটি অনেক লেট করে রাজশাহী পৌঁছায়। যেখানে ৯ টার মধ্যে রাজশাহীতে পৌছার কথা ছিলো সেখানে ১২'৩০ এ আমরা রাজশাহীতে পৌঁছাই।
সেখান থেকে আমরা আম্মুর এক কলিগের বাসায় উঠি। রাতে ওনারা খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলো, ওদের বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই কারণ পরেরদিন সকালে আমার এক্সাম ছিলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিই। সকাল ১১ টায় এক্সাম ছিলো, ১০ টায় রেডি হয়ে এক্সাম দিতে যাই। অনেক ভির ছিলো। এক্সাম শেষে সব ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের বিশাল এক ভির এর সমাগম হয়। রাস্তায় এত জ্যাম ছিলো যে পরে রিক্সা ছেড়ে দিয়ে অনেকটা পথ হেটেই যেতে হয়।
এরপর পরীক্ষা শেষে আম্মুর সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এত বেশি গরম ছিলো যে ঠান্ডা ঠান্ডা সরবত খাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে অনেকগুলো বাস এসেছিলো সেটির একটি ছবি তুলে নেই। এভাবে ক্যাম্পাস এর চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি।
এরপর ওখান থেকে বাসা চলে আসি বাসা এসে গোসল করে খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করি। এরপর বিকেলে আমরা রাজশাহী পদ্মার পার ঘুরতে যাই। ওখানে যেয়ে বিখ্যাত পেয়ারা মাখা খাই এবং ঘুরে ঘুরে চারিদিকে দেখতে থাকি।
তারপর সন্ধ্যার আগে আমরা বাসা ফিরে আসি। এবং ব্যাগ গুছানো শুরু করে দেই কারণ পরের দিন আমাদের ট্রেন ছিলো। ব্যাগ গুছিয়ে রাতের খাবার খেয়ে সবাই মিলে কিছুক্ষণ কথা বলে ঘুমিয়ে যাই। পরের দিন ট্রেনে আমরা নীলফামারী ফিরে আসি।এতক্ষণ আমার ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এরকমই আরো নানা ব্লগ আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারি আজকের মতো এখানেই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আমার অনেক পছন্দের একটি শহর যেখানে অনেকটা সময় কাটিয়ে এসেছি। ট্রেনে অনেকযাত্রী হওয়ার কারণে কি ট্রেন ভারী হয়ে গিয়েছিল? এজন্য কি ধীরে ধীরে চলছিল হাহাহা। মজা করলাম। রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা দিতে গিয়ে রাজশাহী শহর ভালই ঘোরাফেরা করেছেন দেখছি। আর পদ্মার পাড়ের পেয়ারা মাখা আসলেই বিখ্যাত। আমরা অনেক খেয়েছি ওখানে গিয়ে খুব ভালো লাগে। আপনার ঘোরাঘুরি ছবিগুলো দেখে পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।