স্বরচিত কবিতা "সোনালী সেই দিন" ||
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। গত কয়েকদিন যাবত ইন্টারনেট না থাকায় পোস্ট করতে পারিনি। আজকেও নেট অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে তবুও পোস্ট করার চেষ্টা করলাম। আজ আমি আমার স্বরচিত কবিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই লেখালেখি করি। কবিতা লিখতে বেশ ভালোই লাগে। অবসর সময়ে প্রায়ই আমি কবিতা লেখি। তাই আজ আমি নিজের লেখা একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। বেশ কয়েকদিন থেকে তেমন কবিতা লেখা হচ্ছেনা তাই আজকে ভাবলাম একটি কবিতা লেখা যাক। তাই আজকে আমি একটি কবিতা লিখলাম কবিতার শিরোনাম দিলাম "সোনালী সেই দিন"।
বন্ধুরা আসুন এখন কবিতাটি সম্পর্কে দুই একটি কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
কবিতা "সোনালী সেই দিন" এর মূলভাব হলো অতীতের আনন্দময়, স্বপ্নময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণা, যা এখনো হৃদয়ের গভীরে অমলিন রয়ে গেছে। কবিতাটি জীবনের সেই মুহূর্তগুলোকে তুলে ধরে, যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট ছিল না, সবকিছুই ছিল সহজ, সরল, এবং আনন্দময়। সেই সোনালী দিনগুলোতে বিকেলের সোনালী আলো, শিউলি ফুলের গন্ধ, এবং চাঁদের আলোয় ভরা রাতের মিষ্টি স্মৃতি জীবনের প্রতি এক অনন্য অনুভূতি তৈরি করত।
কিন্তু সময়ের স্রোতে সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে, তবু তাদের স্মৃতিগুলো আজও হৃদয়ে জীবন্ত। এই স্মৃতিগুলো কবির মনে একধরনের নস্টালজিয়া সৃষ্টি করে, যা তাকে অতীতের সেই মধুর দিনগুলোর প্রতি আকর্ষিত করে। যদিও বাস্তবতা আজ ভিন্ন, তবুও সেই দিনগুলোর সোনালী আভা আজও মনের কোণে ঝলমল করে, যা আমাদেরকে সেই সময়ের নিঃস্বার্থ সুখের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
কবিতাটি মূলত অতীতের নিস্পাপ দিনগুলোর প্রতি এক আবেগময় নিবেদন, যা বর্তমানের কঠোর বাস্তবতার সাথে তুলনা করে সেই দিনগুলোর মূল্য বুঝতে সাহায্য করে। অতীতের সেই সোনালী দিনগুলো, যা কখনো ফিরে আসবে না, কিন্তু তাদের স্মৃতি আজীবন মনের গহীনে রয়ে যাবে।
সোনালী সেই দিনগুলো, যখন বিকেলের শেষ আলোয় সোনা ঝরতো। ঝুমকো ফুলের মত সোনার আভা ছড়িয়ে পড়ত চারপাশে, মনে হতো পৃথিবীটা যেন সোনায় মোড়ানো। জীবনের সেই উজ্জ্বল দিনগুলো ছিল অতীতের মধুরতম স্মৃতি। তখন আমাদের কোনো চিন্তা ছিল না, ছিল না কোনো দুঃখের ভার। ছোট ছোট হাসির মধ্যে খুঁজে পেতাম অসীম আনন্দের ছোঁয়া।
বিকেলের রোদের নিচে দাঁড়িয়ে আমরা তখন খেলতাম, গল্প করতাম, আর শিউলি ফুলের গন্ধে মাতাল হয়ে যেতাম। সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। চাঁদের আলোয় মাখা সেই রাত্রিগুলো, আমাদের মনকে এক অদ্ভুত প্রশান্তিতে ভরিয়ে দিতো। স্বপ্নগুলো ছিল তখন সোনালী, জীবনের প্রতি বিশ্বাস ছিল অবিচল।
কিন্তু আজ, যখন সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে, মনে হয় সেগুলো যেন কোনো স্বপ্নের মতো। সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে সেই সোনালী দিন, কিন্তু তার স্মৃতিরা থেকে গেছে হৃদয়ের গভীরে। সোনালী সেই দিনগুলো আমাদের জীবনের মণি, যেগুলো আজও ঝলমল করছে স্মৃতির আকাশে।
সোনালী সেই দিনগুলোতে লুকিয়ে ছিল জীবন, যে জীবন ছিল নিঃস্বার্থ, আনন্দে পূর্ণ। সেই দিনগুলোর প্রতিটি মুহূর্ত আজও হৃদয়ের মণিকোঠায় সঞ্চিত। আমরা হয়তো আর কখনো ফিরে পাবো না সেই সোনালী দিন, কিন্তু তাদের স্মৃতি আমাদের সঙ্গেই থাকবে, আজীবন।
আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় আমার লেখালেখির জগতে আসা। যদিও মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পারিনা তবে মাঝে মাঝে সময় পেলে কবিতা লেখার ট্রাই করি। আম্মুর পদ্য কবিতাগুলো আমার কাছে দারুণ লাগে। কি চমৎকার করে স্বরবৃও ছন্দে লিখেন। ৮ ৬ মাত্রার এই কবিতাগুলো আমি নিয়মিত ফলো করি এবং সেভাবে লেখার চেষ্টা করি,তবে দু একটি মাত্রা এদিক সেদিক হলে আম্মুর কাছে ঠিক করে নিই। আমার মায়ের লেখা কবিতার অনেক ভক্ত পাঠক আমি দেখেছি দেশ এবং দেশের বাইরেও, যা আমাকে ভীষণভাবে উৎসাহিত করে। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারেও অনেকেই আম্মুর লেখা কবিতাগুলো ভীষণ পছন্দ করে, এটি আমার কাছে অনেক গর্বের। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আগামীতে আরো মজার মজার কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
অতীত সব সময় অনেক সুন্দর। অতীতের সময় গুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। আসলে অতীতের মধুর স্মৃতিগুলো কখনো ভুলে থাকা যায় না। ভাইয়া আপনার কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপনি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কবিতাটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই অতীত জীবন হলো সবথেকে সাজানো, গুছানো, রঙিন ও চাকচিক্যময়। যে যেই বিশেষণেই ভূষিত করুক না কেন, অতীতের স্মৃতিকাতরতা থেকে এড়িয়ে যেতে পারে না।
গদ্য ঢঙে লেখা কবিতাটি বেশ সুপাঠ্য বটে। একটি আদি জীবনের সাথে জীবন সৌন্দর্য আর অনুভূতি উঠে এসেছে। পড়ে ভালো লাগলো।
আমারো অনেক ভালো লাগলো আপনি আমার লেখা কবিতাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
সোনালী সেই দিন নিয়ে খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন।আপনার এই কবিতাটি পড়ে আমার ভালো লাগলো। আসলে সোনালী সেই দিনে যদি ফিরে যেতে পারতাম। কতই না ভালো হতো।
তবু মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম এই হলো জীবন।
আমাদের জীবনের সেই সোনালী দিনগুলো সেই সোনালী অতীত আমরা সবাই মিস করি। এটা কিন্তু ঠিক। ঠিক একইভাবে এই দিনগুলো কখনও ফিরেও পাব না আমরা। আপনার কবিতা টা বেশ সুন্দর ছিল। আপনাদের পরিবারের সবাই দেখছি বেশ ভালো কবিতা লেখেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার লেখা কবিতাটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।