ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন জার্নি ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কালকে আমি নীলফামারী টু ঢাকা ট্রেন জার্নি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে আমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ময়মনসিংহে। আমি প্রথমে ট্রেনে করে নীলফামারী থেকে ঢাকা যাই ৩ তারিখে এরপর একরাত ভাইয়ার ওখানে থেকে চার তারিখ সকাল ১১'৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে ময়মনসিং এর উদ্দেশ্যে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা শুরু করি। আজ আমি আপনাদের মাঝে ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন জার্নির অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি কালকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার জন্য প্রথমে নীলফামারী থেকে ঢাকা আসি , এরপর ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমি ও আমার এক বন্ধু সৌরভ আমাদের দুজনের সিট পড়েছিল ময়মনসিংহে। তাই আমরা দুজন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলাম। আমাদের ট্রেন ছিল সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে। আমরা রামপুরায় ছিলাম। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে আমরা বাসা থেকে বের হই। এরপর একটি হোটেলে সকালের নাস্তা করে নেই। নাস্তা করা শেষে একটি রিক্সা নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাই।
স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে কিছুক্ষণ বসে থাকি।ট্রেন ছাড়তে তখনও প্রায় ৩০ মিনিট বাকি । আমি আর সৌরভ প্ল্যাটফর্মে বসে কিছুক্ষণ গল্প করি। এরপর আমাদের ট্রেনটিতে প্রবেশ করি। আমরা দুজন একসাথে টিকিট কেটেছিলাম তাই আমাদের সিট ছিল একসাথে। আমাদের ট্রেনটির নাম ছিল অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি জাস্ট সময় ১১:৩০ এ যাত্রা শুরু করে।
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাত্রাপথের জায়গাগুলো অসাধারণ সুন্দর। জানালা দিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। কখনো বন জঙ্গলের মাঝ দিয়ে আবার কখনো জানালা দিয়ে যত দূরে চোখ যায় তত দূরেই নদী। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখে যেন মন ভোরে উঠছিল। এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য মনকে ভরিয়ে তুলছিল। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখে মন মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঢাকা থেকে ময়মনসিং যাওয়ার পথে এত সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারব তা কল্পনা করিনি।
এভাবে বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এবং বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে দিতে যাত্রাটি খুব ভালোভাবেই জার্নিটি কাটছিলো। ট্রেনের জার্নি আসলেই খুবই ভালো লাগে। এরকম ট্রেন জার্নি বন্ধুর সাথে দিতে অনেক ভালো লাগে।ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ এই ট্রেন জার্নিটি আমার জীবনের স্মরনীয় হয়ে থাকবে। এই ট্রেনটিতেও অনেকজন ছিলো আমাদের মতো পরীক্ষার্থী।
প্রায় ৪ ঘন্টা জার্নি শেষে আমরা ময়মনসিং জংশনে পৌঁছাই। সেখানে আমাদের এক ছোট ভাই আমাদেরকে রিসিভ করে। খুব সুন্দর জার্নি ছিল এটি। এই জার্নিতে আমরা অনেক উপভোগ করেছি। বন্ধুর সাথে আড্ডা, বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবমিলিয়ে জার্নিতি অসম্ভব সুন্দর ছিল। আমরা ঢাকায় ট্রেনে উঠেছিলাম ১১'৩০ মিনিটে এবং ময়মনসিং জংশনে নেমেছিলাম বিকেল ৩'৩০ মিনিটে। এখানেই একটি সুন্দর জার্নির সমাপ্তি ঘটে।
আজকের মত এখানেই। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনি ঢাকা কমলাপুর গতে অগ্নিবীনায় করে ময়মনসিংহে জার্নি করেন। কিন্তু একটি কথা ছিল, আর তা হলো কমলাপুর যাওয়ার পথে তো আপনি আমার বাসার উপর দিয়ে গেলেন। আগে জানলে তো একটু চা এর ব্যবস্থা করে রাখা যেত। যাক বুঝাই যাচ্ছে ট্রেনে করে বেশ ফুরফুরা ভাবে ময়মিনসিংহ গিয়েছেন। আর ট্রেন হতে বেশ সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যও ধারন করেছেন।
আচ্ছা নেক্সট টাইম যদি যাই তাহলে আগে থেকেই জানিয়ে রাখবো। আপনি ঠিক বলেছেন ট্রেনে করে বেশ ফুরফুরা ভাবে আমরা ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম।
ট্রেন জার্নি আমার কাছেও খুব ভালো লাগে ।ট্রেন জার্নি করার সময় বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব ভালো ভাবে উপভোগ করা যায়। এইসময় বন্ধুরা সাথে থাকলে তো আরো মজা। আড্ডা দিতে দিতে জার্নি খুব ভালো হয়। ভাই আপনার ঢাকা টু ময়মনসিংহ এর প্রায় ৪ ঘন্টার জার্নি অনেক ভালোভাবে হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ট্রেনে ভ্রমণ করতে আমার খুব ভালো লাগে এবং কিছুদিন আগেও চিটাগাং থেকে ফেনী এসেছি ট্রাইনে করে। ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন জার্নির অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে এতক্ষণ ধরে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।