জুম্মার নামাজ মডেল মসজিদে ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমরা সবাই জানি আজ পবিত্র জুম্মার দিন। তাই আজকে জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য আমি মডেল মসজিদে গিয়েছিলাম। জীবনে প্রথম মডেল মসজিদে নামাজ পড়ার অনুভূতি আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আশা করি আপনাদের সবাইকে অনেক ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের সব জেলাতেই প্রায় একটি করে মডেল মসজিদ স্থাপিত হয়েছে।সেরকম নীলফামারীতেও একটি মডেল মসজিদ স্থাপিত হয়েছে। অনেক আগেই মসজিদের উদ্ভাবন হলেও আমার আগে কখনো যাওয়া হয়নি কারণ মসজিদটি শহর থেকে একটু দূরে গ্রাম সাইডে। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম একটি জুম্মার নামাজ এই মডেল মসজিদে পড়বো। তাই আজকে সিদ্ধান্ত নেই আজকের জুম্মার নামাজটি আমি মডেল মসজিদে পড়বো। গোসল করে আজানের পর আমি আর আব্বু মডেল মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। নীলফামারী সদর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে টুপামারি ইউনিয়নে এই মডেল মসজিদটি অবস্থিত । আমি আর আব্বু একটি অটোতে উঠে। প্রায় ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমরা মডেল মসজিদটি পৌঁছে যাই।
এরপর ওজু করে আমি আর আব্বু মসজিদে ভিতরে প্রবেশ করি। মডেল মসজিদের মডেলটি অনেক সুন্দর এবং দেখতেও বেশ চমৎকার লাগছিল। মডেল মসজিদটি বাইরে থেকে দেখতে যেমন সুন্দর ভেতর থেকে দেখতেও বেশ চমৎকার। বেশ চমৎকার টাইলস ডিজাইন, সাথে লাইটিং ও বেশ চমৎকার। ভেতরে বেশ কয়েকটি এসি রয়েছে, অর্থাৎ ভিতরের পরিবেশ বেশ আরামদায়ক।
ভেতরে ঢুকে মনোযোগ সহকারে ইমাম সাহেবের খুতবা শুনতে থাকি। খুতবা শুনা ওয়াজিব। খুতবা দেওয়া শেষ হলে ইমাম সাহেব সুন্নত নামাজ পড়ে নিতে বলেন। সবাই চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে নিল। এরপর ইমাম সাহেব কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করলেন। এরপরই শুরু হয় জুম্মার ফরজ নামাজ। সকলে ইমামের পিছনে জুম্মার ফরজ দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। নামাজের কিছুক্ষণ পরেই দোয়া শুরু হয়। সকলে মিলে দোয়া করলাম। এরই সাথে জুম্মার নামাজ ও দোয়া শেষ হলো।
নামাজের পরে মডেল মসজিদটি ঘুরে দেখতে থাকি।অনেক সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে মডেল মসজিদ। দেখেই যেন চোখের শান্তি লাগছিল। মডেল মসজিদ এর চারিদিকে ঘুরে দেখতে থাকি। মসজিদের মিনার, লাইট, সিড়ি, ডিজাইন সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর ও ইউনিক মসজিদ এটি। সরকারের বেশ ভালো একটি উদ্যোগ এটি। বাংলাদেশ সরকার প্রায় প্রতিটি জেলায় একটি করে মডেল মসজিদ বরাদ্দ রেখেছে। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় একটি করে মডেল মসজিদ রয়েছে।
কিছুক্ষণ মডেল মসজিদে ঘুরে দেখার পর নিচে নেমে আসি। এটি ছিল আমার প্রথম মডেল মসজিদে নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা। আপনাদের বাসার আশেপাশে যদি মডেল মসজিদ থেকে থাকে আপনারাও চেষ্টা করবেন মডেল মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার। মসজিদ থেকে নেমে একটি রিক্সা নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিই।
আজকের মত এখানেই। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের সকলকে ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। এতক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
মডেল মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ার কি দারুন অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা তোমার জন্য♥♥
তোমার জন্যেও অনেক ভালোবাসা রইলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।
এই মসজিদটা সম্পর্কে আমি ইউটিউবে অনেকগুলা ভিডিও দেখেছি। অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে যায় দেখার জন্য। আজ আপনি সেই মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন এবং তার বিশেষ বিশেষ অংশের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি তার বিশেষ বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। সব কিছু আপনার পোস্টে ধারনা পেয়ে অনেক খুশি হলাম।
আমিও অনেক খুশি হলাম ভাই আপনি আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।