সবাইকে জুম্মা মোবারক ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা সবাই জানেন যে একটি সপ্তাহের মধ্যে সবথেকে উত্তম দিন হলো শুক্রবার বা জুম্মাদিন। আজকে সপ্তাহের সেই উত্তম দিনটি। আজকে আমার নতুন বাসায় উঠার পরে প্রথম শুক্রবার তাই এই দিনটি অন্য শুক্রবারের থেকে আলাদা কেটেছে, সচারাচর বাসাতেই সপ্তাহের উত্তম দিনটি পার করতাম, পারার মসজিদে নামাজ পড়তাম বন্ধুদের সাথে দেখা হতো। কিন্তু আজকের দিনটিতে এইগুলোর কিছুই ছিলো না। আজ আমি নতুন বাসায় উঠার পর প্রথম জুম্মাদিন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
সকালেই ঘুম থেক উঠে যাই। তারপর ১২ টার পর গোসল করে নেই। আমরা যারা ঢাকায় আছি তারা সবাই জানি যে এখানে খুবই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিশেষ করে কালকে সারারাত অনেক বৃষ্টি হয়েছে এবং সকাল থেকেও বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছিলো।
গোসলের পর আজান দিয়ে দিলে পাঞ্জাবি পায়জামা পরে মসজিদের উদ্দেশ্য এ বের হই। বাইরে তখন ও বৃষ্টি পরছিলো, বৃষ্টির মধ্যেই নামাজ পড়ার জন্য বের হয়ে পরি। প্রথম জুম্মার নামাজ এই বাসায় আসার পরে। বাসা থেকে নেমে কিছুটা দূরেই মসজিদ কিন্তু বাসা থেকে নেমে সামনের রাস্তাটাতে যেতেই দেখি সেখানে পানি জমে গিয়েছে বৃষ্টির জন্য। কি আর করার পানি টপকিয়েই যেতে হলো মসজিদে।
মসজিদে গিয়ে ৫ তালায় যেয়ে বসতে হয় কারণ নিচে প্রতিটি তলায় মানুষ দিয়ে ভরে গিয়েছিলো। সেখানে বসে খুতবা শুনতে লাগলাম। এরই মধ্যে শুরু হলো আবার মুসুলধারে বৃষ্টি। খুতবা দেওয়া শেষ হলে মুয়াজ্জিন আমাদের সুন্নত নামাজ পরে নিতে পরেন। সুন্নত নামাজ পরে কিছুক্ষণ পরেই জুম্মার দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে নেই। এরপর দোয়া হয়। বাইরে তখনো মুসুলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো। তাই অনেকেই মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলো না। আমি মসজিদের জানালা দিয়ে বাইরের বৃষ্টি উপভোগ করতে থাকি।
এরপর বৃষ্টি একটু কমলে আমি বের হয়ে আসি। কিন্তু তখনো হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছিলো। আমি মসজিদ থেকে বের হয়েই তারাতারি করে বাসার দিকে আসতে থাকি কিন্তু সামনে আরো বেশি পানি জমে গিয়েছিলো। ততক্ষণে অনেকটাই ভিজে গিয়েছিলাম।
এরপর বাসায় ফিরে এসে গা মুছে খাওয়া দাওয়া করে নিই। এরই মাঝে বিশ্বকাপের ২য় ম্যাচ পাকিস্তান বনাম নেদারল্যান্ডস শুরু হয়ে যায়। তাই খেয়ে দেয়ে রেস্ট করতে করতে খেলা দেখতে থাকি।
এই ছিলো আমার নতুন বাসায় আসার পর প্রথম জুম্মাদিন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
গত তিন দিন ধরে প্রায় একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। একটু পরপর তো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছেই। রাস্তা ঘাটে পানি জমে একেবারে শোচনীয় অবস্থা। যাইহোক বৃষ্টির মধ্যেও জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। এতো বৃষ্টির মধ্যেও অনেক মানুষ হয়েছে মসজিদে। আমিও হালকা বৃষ্টির মধ্যেই নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম মসজিদে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অনেক জায়গাতেই পানি জমে যাওয়ার কারণে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে অনেক সমস্যা হয়েছে, এটা ভালো লাগলো এটা আপনার প্রথম জুম্মা এই বাসায় আসার পর, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
পবিত্র জুম্মার দিন আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্ট দেখে আমি অনেক অনেক খুশি। পবিত্র জুম্মার দিনে আপনাকেও জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমাদের প্রত্যেকটা দিন যেন শুভ হয় সেই কামনা করি। তবে আলহামদুলিল্লাহ আজকের দিনে আমাদের এখানে কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। সারাদেশ আজ বৃষ্টির পানিতে ভোগান্তির শিকার দোয়া করি আল্লাহ যেন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের হেফাজত করে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এদিকেও প্রায় চার দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। নতুন ভাষায় প্রথম জুম্মার নামাজ পড়ার অনুভূতি বেশ ভালো লাগলো।তবে একটু সাবধানে থাকবা খুব বেশি বৃষ্টিতে ভেজা যাবে না।জ্বর হলে সমস্যা হয়ে যাবে।অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা তোমার জন্য♥♥
তোমরাও সাবধানে থেকো।