বৃষ্টিময় একটি দিন।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে সকাল থেকেই আমাদের এদিকে বৃষ্টি হচ্ছিলো। আজকে আমি বৃষ্টিময় একদিন অর্থাৎ আজকের দিনের কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেবো। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আজকে সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি করে বৃষ্টি পড়ছিলো। আকাশ ও মেঘলা ছিলো। এখন চলছে বর্ষা মৌসুম প্রতিদিন এই প্রায় বৃষ্টি হচ্ছে, আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিলো তাই বাসা থেকে বের হাওয়া হয়নি, রুমের জানালা থেকে বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম। দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে আমাদের নিচের রুমের পাঠাগারে যেয়ে বইগুলো সাজাচ্ছিলাম আম্মুর সাথে। গল্পের বই, কবিতার বই, ইতিহাসের বই, ছোটদের বই ইত্যাদি সব ধরনের বই আলাদা আলাদা থাকে সাজাতে থাকি।
এরপর বিকেলের দিকে একটু বৃষ্টি কমে, কিন্তু আকাশ বেশ মেঘলা ছিলো। বৃষ্টি কমে তাই বাসা থেকে একটু বের হলাম কারণ সারাদিন বাসা থেকে বের হইনি বৃষ্টির জন্য। বাসা থেকে বের হয়ে হাটতে হাটতে মাঠের দিকে যাই। আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিলো, শীতল বাতাস এক-দু ফোটা করে বৃষ্টি এককথায় অসাধারণ ছিলো। আমি হাটতে হাটতে মাঠে পৌঁছে যাই। মাঠে যেয়ে তিনটি বন্ধুর সাথে দেখা তাদের নাম হলো হামজা,রিয়াদ ও প্রিয়ন্ত। তাদের সাথে গল্প করতে করতে মাঠের বিখ্যাত নুরার মাখা খাই সবাই মিলে।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির দিন ছিলো তাই মাঠে আজকে তেমন একটা ভির ছিলো না তবে কয়েকজন ফুটবল খেলছিলো। আমরা মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে তাদের ফুটবল খেলা দেখতে থাকি। ফুটবল খেলা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে।
এরপর আমরা মাঠে হাটতে থাকি গল্প করতে করতে। গল্প করতে করতে আমরা চা খাওয়ার জন্য মাঠ থেকে বের হই। এরপর চারজন মিলে চা খাওয়ার জন্য নতুনবাজার যেতে থাকি কিন্তু রাস্তাতেই শুরু হয় বৃষ্টি। কোনোমতো তাড়াতাড়ি করে নতুনবাজার পৌঁছে যাই। সেখানে যেয়ে বিখ্যাত নামকরা চায়ের দোকানের চা খাই। এই দোকানের চা অনেক ভালো হয়। এই দোকানে সবসময় ভির থাকে। আমরা চারজন চা খেতে খেতে গল্প করি।
চা খাওয়া শেষ হয়ে যায় কিন্তু বৃষ্টি বেরেই চলছিলো তাই উপায় না পেয়ে ভিজে ভিজেই বাসার উদ্দেশ্য হাটা শুরু করি। ভিজে ভিজে আসছিলাম। ভিজতেও বেশ ভালোই লাগছিলো। হাটতে হাটতে ডিসির মোড়ে আসলে সেখানে কিছু নটকোর দোকান দেখতে পাই। নটকো গুলো বেশ ফ্রেশ দেখাচ্ছিলো। আমিও অনেকদিন নটকো খাই না তাই বৃষ্টির মধ্যে যেয়ে হাফ কেজি নটকো কিনি। এরকর নটকো নিয়ে ভিজে ভিজে বাসা ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। আশা করি আমার আজকের বৃষ্টিময় দিনের কিছু মুহুর্ত আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
বর্ষাকাল টি আমার কাছে সবচেয়ে একটি প্রিয় ঋত বর্ষাকালের বৃষ্টির আওয়াজে বেশ ভালো সময় যায় আমার। তবে আমাদের এখানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে আজ দুদিন যাবত। আপনি তো অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন লাইব্রেরিতে বই গুছালেন অনেক মহৎ একটি কাজ করলেন। শেষ বিকেলে বের হয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটালেন বৃষ্টির দিনে বেশ ভালো লাগলো।
নুরার মাখা কখনো খাইনি ভাইয়া। তবে বৃষ্টি ভেজা দিনে যেকোন প্রকারের খাবার খেতে ভালো লাগে। এখন হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। তাইতো বাইরে গেলেও অনেক সাবধানে যেতে হচ্ছে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে সাথী আপুর পাঠাগার দেখেও ভালো লাগলো।
আপনার আম্মুর প্রতিষ্ঠিত সাথী পাঠাগারটি দেখার অনেক শখ ছিল। আজকে দেখলাম। অনেক ভাল লাগলো। শেষে লটকনের ছবি দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন,হা হা হা।
কালকের বৃষ্টি ভেজা দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। কারণ আমরা দুজন মিলে কালকে পাঠাগারের বইগুলো গোছাতে পেরেছিলাম।
♥♥