উপজেলা সাহিত্য মেলা ২০২৩, জলঢাকা উপজেলা||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে আমি উপজেলা সাহিত্য মেলা ২০২৩, জলঢাকা উপজেলায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য মেলায় যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে৷ তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। নীলফামারীতেও সেই সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আম্মু, আমি সহ নীলফামারীর সকল কবি সাহিত্যিক অংশ নেয়। আমিও ছোট থেকে টুকটাক লেখালেখি করি তাই এই সাহিত্য মেলায় রেজিষ্ট্রেশন করা। গত কয়েকমাস আগে প্রতিটি জেলায় এই সাহিত্য মেলা হয় তারই ধারাবাহিকতায় সরকার এবার প্রতিটি জেলার একটি উপজেলায় এই সাহিত্য মেলা করার উদ্যোগ নেয়। নীলফামারী জেলার একটি উপজেলা হলো জলঢাকা, নীলফামারী জেলার এই জলঢাকা উপজেলায় আজকে এই সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আমি আর আম্মু আজকে সকাল ৯ টায় রওনা দেই জলঢাকার উদ্দেশ্য। নীলফামারী সদর থেকে জলঢাকা উপজেলা প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ৫০ মিনিট লাগলো সাহিত্য মেলাটিতে যেতে। এই সাহিত্য মেলাটি জলঢাকা উপজেলার অর্ণিবান উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশ কয়েকটি বই এর স্টল ও স্কুলের হলরুমে স্টেজ সাজানো হয় প্রোগাম এর জন্য।
নীলফামারী জেলাসহ এর বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে অনেক কবি সাহিত্যিক রা এসেছিলো। এরপর সবাই আমরা আসন গ্রহণ করি। এই সাহিত্য মেলার প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক জনাব পঙ্কজ ঘোষ। কিছুক্ষণ পরেই মাননীয় জেলা প্রশাসক চলে আসেন এবং নিজের বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বিশেষ অতিথি, প্রধান বক্তা, সভাপতি সবাই একে একে বক্তব্য প্রদান করেন। এর মাধ্যমে প্রোগামের প্রথম ধাপ শেষ হয় এরপর আমাদের নাস্তার ব্রেক দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় আমাদের প্রোগামের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় সেখানে জলঢাকা উপজেলার কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করা হয়।
আসলে সাহিত্য চর্চার গুরুত্ব আমাদের জীবনে অনেক বেশি। কিন্তু আজকের জেনারেশন এই সাহিত্য চর্চা থেকে অনেক বেশি দূরে সরে যাচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত এই সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত থাকা। তাইতো কবির ভাষায় বলতে হয়,
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।
আমাদের সবাইকে সাহিত্য চর্চার আওতায় আসতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চায় প্রেরণা দিতে হবে তাদেরকে এটির আওতায় না আনলে সাহিত্য আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাবে আর সাহিত্যহীন কোনো জাতির উন্নতি কখনো সম্ভব নয়। তাই আসুন সবাই সাহিত্য এর সাথে মিশে যাই।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
এই সুন্দর সাহিত্যমেলায় অংশগ্রহণ করে আপনি হয়তো অনেক বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন। আমি মনে করি এই সমস্ত আয়োজনগুলোতে আমাদের অংশগ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। যেখানে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থেকে থাকে। ভালো লাগলো সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার ব্লগটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।