বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান || বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা সবাই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৫ ই অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হলেও বাংলাদেশের ম্যাচ ছিলো আজকে অর্থাৎ সাথে অক্টোবর সকাল ১১ টা থেকে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খুবই সুন্দর একটি জয় তুলে নেয়। আজ আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচটি রিভিউ করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে, তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
ছবিটি ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।
খেলা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে টস সম্পন্ন হয়, টসে জিতে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান বোলিং করা সিদ্ধান্ত নেন কারণ এই পীচে মোট চারটি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ হয়েছে এর মধ্যে তিনটি জিতেছে সেকেন্ড ব্যাটিং করা টিম। এই পিচে চেজিং অ্যাডভান্টেজ থাকে বলেই সাকিব আল হাসান টস দিতে বলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
আফগানিস্তানের শুরুটা বেশ ভালই হয়, গুরবাজ ও জাদরানের ব্যাটিংয়ে বেশ ভালো রানরেট নিয়েই আফগানিস্তান দল রান করছিল। ফাটাফাটির আগেই ৪০ এর গুন্ড পার করে ফেলেছিল বিনা উইকেটে। এরপর নবম ওভারে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন আফগানিস্তানের প্রথম উইকেটটি শিকার করে নেয়। ২৫ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যায় জাদ্রান। এরপর ব্যাটিং করতে আসে রহমত শাহ, রহমত শাহ ও গুরবাজের মধ্যে ভালো একটি পার্টনারশিপ হয়ে উঠছিল এরই মাঝে আবার ১৬ তম ওভারে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসান রহমত শাহ এর উইকেট নিয়ে নেয়। এরপর ব্যাটিং করতে আসে সাহিদি কিন্তু মাত্র ১৮ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান তাদের সেট ব্যাটসম্যান গুরবাজকে ৪৭ রানে আউট করে ফেলে। এরপর টিমের হাল আর কেউ ধরতে পারে না সবাই একের পর এক আসে ও আউট হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কি আফগানিস্তান।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করতে আসে তানজিদ তামিম ও লিটন কুমার দাস। তারা শুরুটা বেশ ভালই করেছিল কিন্তু মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জন্য রান আউট হয়ে মাত্র পাঁচ রান করে তামিম এরপর লিটন কুমার দাসু বেশি রান করতে পারেনি মাত্র ১৩ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ আমরা দেখতে পারি। মেহেদী হাসান মিরাজের ৫৭ ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৯ রানের মাধ্যমে বাংলাদেশ মাত্র ৩৪ ওভার ৪ বলে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। এই ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয় মেহেদী হাসান মিরাজ যিনি বল হাতে তিনটি উইকেট ও ব্যাট হাতে ৫৭ রান করেন।
ছবিগুলো নিজের ফোন থেকে ক্রিনশট তোলা।
আজকের ম্যাচটি জেতার পেছনে সব থেকে বড় অবদান রয়েছে সাকিব আল হাসানের। সাকিব আল হাসানের প্রথম দুটি উইকেট ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আফগানিস্তান যেভাবে খেলা শুরু করেছিল প্রথমের দিকে ওই উইকেট দুটি না নিলে জান অনেক বেশি হয়ে যেত। সাকিন বাল হাসান দুই বারেই পার্টনারশিপ ব্রেক করে উইকেট নিয়েছেন যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ টিমের জন্য। বলতে হয় সাকিব আল হাসানের ক্যাপ্টেনসি ছিল দুর্দান্ত যার তুলনা হয় না সেজন্যই ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ওডিআই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আমি একটা জিনিস খুব বেশি খেয়াল করে থাকি আপনি খেলার বিষয়ে খুব সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন। বিশেষ করে আমাদের দেশের ক্রিকেটে ম্যাচগুলো আপনার ছবি আনন্দ দান করে থাকে যা লক্ষ্য করি। আর সেই খেলা গুলো আপনি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে রিভিউ করে দেখান। বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের খেলার বিষয়টা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই খেলা শেষ হতে না হতেই বেশ দারুন পোস্ট তৈরি করে ফেলেছেন। আসলে খেলা প্রথম ১৫ ওভার বেশ দারুণ খেলা খেলেছিল আফগানিস্তান। অবশেষে সাকিব যখন পরপর দুইটা উইকেট পেল তখন বেশ ভালো লেগেছিল। তারপরে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো মনে হয়েছিল না। লিটন দাসের আউটটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি আউট ছিল। অবশেষে আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫৭ তাড়া করে বাংলাদেশ জয় লাভ করে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আমি দেখেছি । বাংলাদেশ জয় লাভ করেছে দেখে সত্যি খুবই আনন্দিত হলাম। বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। এভাবে প্রতিটি ম্যাচ জয় লাভ করুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে। বাংলাদেশ বেশ দুর্দান্ত খেলেছে। জয়ের পেছনে বোলারদের অবদান অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর খেলার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচের বর্ণনা দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে গতকালকে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের খেলায় আফগানিস্তান বাংলাদেশের কাছে কোন পাত্তাই পায়নি কোনরকম পাত্তা ছাড়া আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে টিম বাংলাদেশ। বরাবরের মতই শুভকামনা থাকবে বাংলাদেশ দলের প্রতি সকলেই অনেক বেশি ভালো খেলেছে খেলা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনার এই সুন্দর রিভিউ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের বাংলাদেশের এমন সুন্দর জয় দেখে সত্যি আমরা সবাই উচ্ছ্বাসিত। সাকিব আল হাসান আসলে পৃথিবীতে একজনই। এতদিন ধরে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে থাকাটা বিশাল বড় একটি ব্যাপার। আমি আশা করি পরবর্তী ম্যাচটাও যাতে অনেক ভালো করে খেলতে পারে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের এই ম্যাচে বাংলাদেশ অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এক কথায় আফগানিস্তানকে নাস্তাবোধ করে ছেড়েছে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচ জুড়ে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্যাটা ভালো করছে তাই তারা খুব সহজে ছয় উইকেটে জয়লাভ করেছে। বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা রইলো।