কক্সবাজার ভ্রমণ পর্ব- 2 ||
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম। আমি গত কালকে কক্সবাজার ভ্রমণ পর্ব -০১ পোস্ট করেছিলাম, আজকে তারই পর্ব -০২ পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
কালকে আমি আমার কক্সবাজারের এর প্রথম দিনের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। কক্সবাজারের প্রথম দিন আমরা কোথায় গিয়েছিলাম কি করেছিলাম সেইসব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে কক্সবাজারের দ্বিতীয় দিনের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। পরের দিন সকালে উঠে নাস্তা করেই আমরা বের হয়ে পরি। সকাল সকাল রওনা দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের আজকে দুই জায়গায় যেতে হবে। তো প্রথমেই আমরা হিমছড়ী পর্যটক কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করি। অটোতে করে মেরিন ড্রাইফ বেশ উপভোগ করতে করতে যাচ্ছিলাম। একদিকে সমুদ্র আরেকদিকে পাহাড় খুবই সুন্দর ভিউ, মেরিন ড্রাইভে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। এরপর আমরা হিমছড়ী পর্যটক কেন্দ্রে পৌঁছে যাই। হিমছড়িতে একটি ঝর্ণা রয়েছে সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সময় কাটাই। চারিদিকে ঘুরে দেখতে থাকি।
এরপর আমরা হিমছড়ীর পাহাড়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে থাকি। পাহাড়টি অনেক উঁচু তাই সিঁড়িগুলো অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। আমরা সবাই আস্তে আস্তে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকি। এখানে মানুষ মূলত ওঠে সূর্য অস্ত ও সূর্যোদয় দেখার জন্য, এত উঁচু পাহাড় থেকে সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যায়। আস্তে আস্তে করে উঠতে উঠতে আমরা একদম চূড়ায় পৌঁছে যাই। উপরে উঠে সমুদ্রের অনেক সুন্দর ভিউ উপভোগ করতে থাকি। পাহাড়ের চূড়া থেকে অনেক চমৎকার লাগছিলো সমুদ্র দেখতে। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ঘুরে দেখতে দেখতে কিছু ছবি তুলে নিই।
চারিদিকে ঘুরাঘুরি করার পর নিচে নেমে আসি আমরা সবাই। এরপর দুপুরের খাওয়ার জন্য একটি হোটেলে যাই। সেখানে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নিই। এরপর আমরা আবার রওনা দেই এবার আমাদের গন্তব্য ছিল ইনানী সি বীচ। কারণ এখনো আসল কাজেই অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। কক্সবাজারে এসে যদি সমুদ্রের পানিতে গোসল নাই করতে পারলাম তাইলে আবার কি হলো। তাই আমরা ইনানী সি বীচ এর উদ্দেশ্য রওনা হই। কিছুক্ষণ এর মধ্যে ইনানী তে পৌঁছে যাই। ইনানীতে গিয়ে আগে চারপাশে ঘুরে দেখতে থাকি, অনেক মানুষ এখানে সমুদ্রে গোসল করছে। কিছুক্ষণ ঘুরে দেখার পর আমি আর ভাইয়া সমুদ্রে গোসল করতে নেমে যাই।
বেশ কিছুক্ষণ গোসল করার পর উঠে এসে চেঞ্জ করি। তারপর ইনানী বীচ ঘুরে দেখতে থাকি। বিকেল সময়টা ইনানী বীচ ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো। ইনানী বীচ এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি।
এরপর সন্ধ্যার আগেই আমরা হোটেল এর উদ্দেশ্য রওনা দেই। হোটেলে যেতে যেতে প্রায় রাত হয়ে যায়। তাই হোটেলে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট করে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরি কারণ সারাদিনের ঘুরাঘুরিতে সবার মাঝে একটা ক্লান্তি ভাব চলে এসেছিলো। আর এই দিনটির সমাপ্তি এখানেই। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। আজকের মতো এখানেই, দেখা হচ্ছে নতুন কোনো ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আপনারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন এবং এর প্রথম পর্ব পড়া হয়েছিল আমার। দ্বিতীয় দিন আপনারা হিমছড়ি গিয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন এবং ইনানী সি বিচ গিয়ে দুই ভাই গোসল করেছিলেন, এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের মুহূর্তটা খুব ভালো কেটেছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের কাটার এত সুন্দর মুহূর্তটা পর্বে পর্বে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে ভালো লাগলো। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
কক্সবাজারে গিয়ে হিমছড়ী আর ইনানি সি বিচে না গেলে অনেকটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। আমি ৩ বার কক্সবাজার গিয়েছি।আর প্রতিবারই এই জায়গাগুলোতে গিয়েছি।খুব ভালো লাগে পাহাড়ে উঠে সমুদ্রটা একসাথে দেখতে।আপনি পরিবারের সাথে খুব উপভোগ করেছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।