আমার আজকের পোস্ট || কিডনি নাটকের রিভিউঃ
আসসালামু আলাইকুম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
তাই আমি সময় পেলেই বাংলা নাটক দেখি। এই চার-পাঁচ দিন আগে আমার অফিসের কাজ শেষ করে কিছুটা সময় পেলাম আর সেই সময়ই একটি নাটক দেখলাম। নাটকের নাম হচ্ছে কিডনি। বেশ ভালো লাগলো নাটকটি। আপনারা দেখলে আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিডনি নাটকের রিভিউ।
নাটকটির ইউটিউব লিংক
নাটকটির সাথে যারা যারা জড়িয়ে আছেনঃ
নাম | চরিত্র |
---|---|
জিয়াউল হক পলাশ | প্রধান পুরুষ চরিত্র |
পারসা ইভানা | প্রধান নারী চরিত্র |
পাভেল | পাগল চরিত্র |
সুমন পাটোয়ারী | চেয়ারম্যান |
চাষি আলম | এলাকার বড় ভাই |
অন্যান্য চরিত্রে | সরাফ আহম্মেদ জীবন, আব্দুল্লাহ রানা, শিবলু, জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু। |
পরিচালক | কাজল আরিফিন অমি |
ব্যপ্তিকাল | ৫৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ড |
ইউটিউব স্ক্রিনশট-এক
নাটকের শুরুতেই দেখা যায় পলাশ, পারশা ইভানা এবং আরও কয়েকজন মিলে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে একটি ক্যম্প খুলে যার নাম দেওয়া হয় জনস্বার্থে আমরা। সেই ক্যম্পে এলাকার মানুষের কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহ করে। বিনিময়ে ছেলেদের কিডনির জন্য দেওয়া হয় ৭ লক্ষ টাকা এবং মেয়েদের কিডনির জন্য দেওয়া হতো ৫ লক্ষ টাকা। গ্রামের সহজ সরল স্বভাবের মানুষকে বোঝানো হতো যে আপনারা অনেক গরীব, একটা কিডনি বিক্রি করলে কোন সমস্যা নাই কিন্তু বিনিময়ে আপনারা মোটা অংকের একটা টাকা পাচ্ছেন যা দিয়ে আপনারা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন।
ইউটিউব স্ক্রিনশট-দুই এবং তিন
সহজ সরল মানুষগুলো তাদের কথায় বিশ্বাস করে তারা তাদের নিজেদের একটি করে কিডনি তাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। ঐ এলাকায় একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলো সে ১৯৯৮ সালে অষ্টম শ্রেণি পাশ করে কিন্তু সে নিজেকে এলাকার একমাত্র শিক্ষিত লোক হিসেবে দাবি করে। তার কাছে কিডনি বিক্রির সংবাদ আসলে সে বলে যে সে এই এলাকার একমাত্র শিক্ষিত লোক সে তার কিডনি অন্য সাধারণ মানুষের কিডনির দামে বিক্রি করবে না, সে তার কিডনি ১০ টাকা হলে বিক্রি করবে।
ইউটিউব স্ক্রিনশট-চার এবং পাঁচ।
এরপর সে একদিন ক্যাম্পে গিয়ে সে তার কিডনি বেচার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং ১০ লক্ষ টাকা হলে তার কিডনি বিক্রি করবে না হলে করবে না বলে জানায়। কিন্তু পারসা ইভানা প্রথমে রাজি না হলে ও পরে পলাশের চালাকি বুঝতে পেরে রাজি হয়। এবং তার একটি কিডনি ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়ে নেয়।
ইউটিউব স্ক্রিনশট-ছয়
কিন্তু তাকে একটি চেক দেয় এই বলে যে আপনি তো শিক্ষিত মানুষ আপনার নগদ টাকা বহন করাটা কি ঠিক হবে? হবে না এই বলে তাকে বোকা বানিয়ে একটা ভুয়া চেক ধরিয়ে দেয়, কিন্তু সেটা এলাকার শিক্ষিত মানুষটি বুঝতে পারে না।
এর এলাকার চেয়ারম্যান সুমন পাটোয়ারীর কাছে অনেকে অভিযোগ করে যে এলাকায় ক্যাম্প বসিয়ে মানুষের কিডনি নিয়ে যাচ্ছে আপনি কিছুই বলতেছেন না। মানুষের কথা শুনে সে একদিন ক্যাম্পে যায় এবং অনেক রাগ ঢাক দেখায় কিন্তু পলাশ এবং ইভানা তাকে ও বোকা বানিয়ে তার কিডনি ও নিয়ে নেয়।
ইউটিউব স্ক্রিনশট-সাত
এরপর একদিন এলাকার মানুষ ক্যাম্পের কাছে গিয়ে দেখে অস্থায়ী ক্যাম্পটি আর নাই। এলাকায় সবাই জানাজানি হলে শিক্ষিত লোকটি ক্যাম্পে আসে এবং এসে জানতে পারে যে এলাকার অনেক মানুষের কিডনি নিয়ে দাম না দিয়েই ক্যাম্পের ডাক্তাররা পালিয়েছে, তখনও শিক্ষিত মানুষটি বলে যে আমি তোমাদের মতো এতো বোকা না, এই আমি ঠিকই আমার চেক বুঝে রেখেছি। এরপর সে এও বলে আমি কিন্তু এই ব্যাংকটি কোথাও খুজে পাই নি।
ইউটিউব স্ক্রিনশট-আট
তোমরা কি কেউ জানো সোনার ব্যাংকটি কোথায়? তারপর লোকজন চেকটি দেখে বলে যে এই নামে কোন ব্যাংক-ই নেই।এই কথা শুনে তো শিক্ষিত মানুষটির মাথায় হাত। সে নিজেকে এলাকার একমাত্র শিক্ষিত লোক হিসেবে দাবি করে কিন্তু যে চেকটি দিয়েছে সেই চেকের কোন ব্যাংক যে নাই সেটা সে বুঝতে পারে নাই।
বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের কিডনি নাটকের রিভিউ পোস্ট। আশা করি সবার ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে অবশ্যই ভালো একটি মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন। আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
শিক্ষাঃ আসলে প্রতিটি মানুষের ই উচিৎ সব কিছু বুঝে শুনে কাজ করা। তাড়াহুড়ো করে লোভে পরে কিছু করা একদম অনুচিত। এখানে সবাই কিডনি দেওয়ার আগে উচিৎ ছিলো এদের সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেওয়া। যেটা সাধারণ মানুষে তো করেইনি এবং এলাকার মেম্বার ও করেনি।
নাটকটিতে আমার ব্যক্তিগত রিভিউ রেটিং হচ্ছে-৮/১০
ভাই আপনি আজ অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন। নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি আশা করি নাটকটি অনেক সুন্দর। সময় করে নাটকটি আমি দেখে নেব শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি নাটক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাজল আরফিন অমির নাটকগুলো বরাবরই সুন্দর হয়।যদিও বর্তমানে সময় স্বল্পতার কারণে নাটক দেখা একদমই হয় না।তবে আপনার রিভিউটি দেখে নাটকটি দেখার ইচ্ছা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন ভাই ।