জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমণ ঢাকা টু কক্সবাজার( প্রথম খন্ড):
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ইনশাআল্লাহ। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা এবং খারাপ লাগার কিছু কথা। বন্ধুরা ভেবেছিলাম একটি মাত্র খন্ডেই লেখাটি শেষ করবো, কিন্তু দেখলাম একটি খন্ডে লিখলে লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে, তাই খন্ড করে নিলাম। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
২০১৭ সালের মার্চ মাস, আমি তখন যমুনা ব্যাংকে মাওনা শাখা চাকরি করি। মাওনা হচ্ছে ঢাকা বিভাগের গাজিপুর জেলার প্রায় শেষের দিকের একটি জায়গা।এর পরেই মুলত ময়মনসিংহ বিভাগ শুরু হয়েছে। তো আমাদের ব্যাংক থেকে সিদ্ধান্ত হলো যে পিকনিকের জন্য সবাই এবার কক্সবাজার যাবেন।
কক্সবাজারকে নির্ধারণ করা হলেও এবার আর বাসে যাওয়া হবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এবার যাওয়া হবে বিমানে করে। বিমানের কথা শুনতে সবাইতো মহা খুশি। কারণ আমার জানামতে আমরা যে কয়জন কক্সবাজার পিকনিকে যাব তার অধিকাংশই কখনো বিমানে ভ্রমণ করেনি। তারপর ও কে কেমন খুশি হলো সেটা দেখার বিষয় না, আমি কিন্তু অনেক অনেক, অনেক বেশি খুশি হয়েছি। কারণএটাই হবে আমার জীবনের এই প্রথম বিমান ভ্রমণ, হয়তোবা হতে পারে শেষ ও। যাইহোক নির্ধারিত দিনে আমরা দুটি মাইক্রোবাস এরপরে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মাইক্রোবাস দুটি আমাদের বাসা থেকে নিয়ে আসলো। রিজেন্ট এয়ারওয়েজে বেলা একটায় আমাদের পূর্বেই টিকিট করা ছিল। আমরা ব্যাংকের এম্প্লয় এবং কয়েকজন ভিআইপি ক্লায়েন্ট সহ মোট যাত্রী ছিলাম ৪০ থেকে ৪৫ জনের মতো। যাদের ফ্যামিলি ছিল তারা ফ্যামিলি সহ গিয়েছিল। আমরা সাড়ে বারোটার সময় এয়ারপোর্টে গিয়ে পৌছালাম। এয়ারপোর্টের ভিতরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমরা আমাদের এয়ারপোর্ট এর যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে বিমানে ওঠানোর জন্য চলে গেলাম। আমি যখন বিমানে উঠার জন্য রওনা হলাম তখন আমার কাছে ভিন্ন রকম একটা ফিলিংস কাজ করছিল। আমি যখন বিমানের কাছে গেলাম তখন আমি যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছিলাম। যদিও আমাদের বিমানটা ছোট ছিল। কারণ বিমানটা ছিল অভ্যন্তরীন রুটের বিমান। কিন্তু রানওয়েতে এত বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল বিমান ছিল যা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমি ভাবতেছিলাম যে এত বড় বিমান কিভাবে আকাশে উড়ে। এরপর আমরা বিমানে উঠে যার যার সিটে গিয়ে সুন্দর করে বসে পড়লাম। সবাই বসার পর বিমানকর্মীরা ঘোষণা দিল যে যার যার সিট বেল্ট বেঁধে নেওয়ার জন্য। সবার মত করে আমিও আমার সিট বেল্ট বেঁধে নিলাম। বিমানে ওঠার পর আমার আনন্দ যেন আরও কয়েক লক্ষ গুণ বেড়ে গেল। আনন্দ যেন আমি আত্মহারা হয়ে যাচ্ছিলাম। বলে রাখা ভালো যে আমার সিটটি পড়েছিল জানালার কাছে। এতে আমি আরো বেশি খুশি হয়েছিলাম। আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখতে লাগলাম এবং নিজেকে আবিস্কার করতে লাগলাম যে বিমান যখন উপরে উঠবে তখন আমার মধ্যে কেমন অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। এই সব নানান কথা ভাবতেছিলাম এবং বিমান আকাশে ফ্লাই করার অপেক্ষা করতেছিলাম। (চলবে--) আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।
|
---|
সব সময় দেখি যে যেকোনো ধরনের ব্যাংকের কর্মীরাই প্রতিবছর একটা পিকনিকে আয়োজন করে। আপনারাও পিকনিকের আয়োজন করেছেন এবং সেটা বিমানে করে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন এটা আসলেই অনেক বড় খুশির ব্যাপার। সবারতো খুশি হওয়ারই কথা, তারপরে যদি হয় প্রথম বিমান ভ্রমন তাহলে তো কোন কথাই নেই। তারপরে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যে আপনি বিমানে করে জানালার পাশে বসে যাওয়ার সিট পেয়েছেন তাহলে তো বাইরের দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখার সুযোগ হলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন আপনার বিমানে ভ্রমণের কাহিনী যার মধ্যে আপনার অনেক ফিলিংস জড়িত ছিল যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।
আসলেই জীবনের প্রথম বিমানে চড়ার অনুভূতিটা যে কতো মধুর সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
সত্যি ভাইয়া জীবনে প্রথম বিমান ভ্রমণ তা হলে তো আনন্দে আত্মহারা হওয়ার কথা। আপনার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে যে আপনি জানালার কাছে বসে ছিলেন।জানালের কাছে বসে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করা কতোটা আনন্দের তা বলে বুঝানো মুশকিল।আপনার বিমান ভ্রমণের গল্প পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনার মধ্যে ভিন্ন রকম একটা ফিলিংস কাজ করছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
সত্যি বলেছেন আপু, বিমানে ঊঠার আগে আমি খুশিতে যে কতটা আত্মহারা হয়েছিলাম সেটা বলার মতো না। সেদিন বিমানে উঠে আমার অনেক খুশিই হয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমবার বিমানে উঠার অনূভুতি নিশ্চয়ই দারুণ ছিল আপনার। বিমানে কক্সবাজার পিকনিকে তাও আবার অফিস ট্যুরে বেশ দারুণ বলতেই হয়। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য
অপেক্ষায় থাকলাম।।
ব্যাংক থেকে পিকনিকের আয়োজন করেছে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রতিবারে বাসে করে জার্নি করলেও সেবারে বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এটা বেশ ভালো লাগলো। আসলে আমাদের জীবনে প্রথম কোন কিছু সব থেকে বেশি স্পেশাল। আর যদি সেটা বিমানে ওঠার মুহূর্ত হয় তাহলে তো আরো বেশি স্পেশাল। সবার তো খুশি হওয়ারই কথা। একসাথে পিকনিকে যাওয়াটা বেশ ভালোই লাগে। আপনারা তো দেখছি প্রায় 40 থেকে 45 জন গিয়েছেন। নিশ্চয়ই আরও বেশি আনন্দের হয়েছে। বিশেষ করে আপনার সিট জানালার পাশে পড়াতে আপনার অনেক বেশি আনন্দ হচ্ছিল। পরবর্তীতে কি হল তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথম বারের আনন্দের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলেনা। হয়তো পরবর্তেতে আপনি আরো অনেক বার বিমানে চড়বেন কিন্তু প্রথমবারের মত এমন অনুভুতি আর হবেনা। আর ভ্রমনের জন্য কক্সবাজার বাংলাদেশের সেরা জায়গাগুলোর একটি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সেদিনের আনন্দ আমি কাউকে বলে প্রকাশ করতে পারব না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার অনুভূতিটা বুঝতে পারলাম পোস্ট পড়ে। পিকনিকে যেতে আমাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লাগে আর সেই পিকনিকে যাওয়ার যানবাহন যদি বিমান হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। যদিও এখন পর্যন্ত বিমানে ধরা হয়নি তবে আপনার অনুভূতিটা অনেক বেশি ভালো ছিল। কলিগ এবং ফ্যামিলিকে নিয়ে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বিমানের মধ্যে। এরকম সুন্দর মুহূর্ত বারবার আপনার জীবনে ফিরে আসুক এই কামনা করি।
আমি এখনো বিমানে উঠতে পারিনি। তবে আপনার বিমানে উঠার অনুভূতি জেনে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার ভাগ্য অনেক ভালো ছিলো প্রথমবার ভ্রমনেই বিমান এর জানালার সাইডে বসতে পেরেছেন। প্রথম পর্ব ভালো লেগেছে। ২য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জী ভাইয়া, জীবনের প্রথম বিমানে উঠার অনুভূতিটা আসলেই অন্যরকম।