নিজের হাতে তালের পিঠা তৈরি প্রণালীর বিস্তারিতঃ
- চালের গুঁড়া ১কাপ
- ময়দা ১ কাপ
- চিনি ১ কাপ
- লবন পরিমাণ মতো
- তাল ১ কাপ
- তেল যতটুকু লাগে
পিঠা তৈরির প্রনালীঃ প্রথমে একটি পাকা তাল বাজার থেকে কিনে আনা হলো, তারপর তালটিকে ভালোভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পাকা তালের উপরের আবরন বা খোসা খুব সাবধানে খুলতে হবে, যাতে করে বাহিরের কোন ময়লা তালের গায়ে না লাগে। এরপর তালের আঠিগুলো খুলে সেটি থেকে তালের তরল গোলাটুকু আলাদা করতে হবে। একটা পাত্রে চালের গুঁড়া ও ময়দা ভালো ভাবে মিশাতে হবে। মিশানো হয়ে গেলে তাতে চিনি,লবন,ও তাল দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে মাখতে হবে, যতক্ষণ চিনি টা না গলে ততক্ষণ পর্যন্ত মিলাতে হবে। চিনি গলে আসলে সামান্য পানি মিক্স করে পিঠা বানানোর উপযোগী করে পিঠার গোলা তৈরী করতে হবে।
গোলাটা বেশি পাতলা হবে না, আবার বেশি ঘন হবে না । গোলানো হয়ে গেলে ১০ মিনিট একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তাতে করে চিনিটা পুরোপুরি গলে যাবে এবং সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশে যাবে। ১০ মিনিট পর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তারমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিতে হবে। তেলটা গরম হতে দু-এক মিনিট সময় লাগবে।
তেলটা গরম হলে একটা ছোট চামিচের সাহায্যে বা হাতের সাহায্যে ছোট ছোট বল সেফ করে সেগুলো তেলের মধ্যে দিতে হবে। এভাবেই একসাথে অনেতগুলো বা একটা একটা করে ও দেয়া যাবে। এবার পিঠাগুলো একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কতক্ষণ জ্বাল দেওয়া পর পিঠাগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দিতে হবে যাতে পুড়ে না যায়। পিঠা পুড়ে গেলে এটা খাওয়ার উপযোগী থাকে না, তিতা হয়ে যায়। পিঠাগুলো যখন কিছুটা লালচেত হয়ে আসবে তখন তেল থেকে উঠিয়ে নিতে হবে। এভাবে বাকি পিঠাগুলো ভেজে নিতে হবে। ভাজা শেষ হলে পিঠাগুলো খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে যে পোষ্টটি সম্পন্ন করলাম এটি একটি রেসিপি পোষ্ট, জানি না পোষ্টিটি কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। এই পোষ্টে যদি কোন ভুল বা সমস্যা থাকে তাহলে আমার সিনিয়র যারা আছে তারা অবশ্যই ভুলটি ধরিয়ে দিবেন, তাহলে আমি বেশ উপকৃত হবো এবং সামনে থেকে চেষ্টা করবো ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে। ধন্যবাদ সবাইকে।
ওয়াও অসাধারন আপনি খুব সুন্দর করে তালের পিঠা তৈরি করেছেন। তালের পিঠা আমার খুব প্রিয়। আপনি সত্যি বলেছেন তাল কাঁচা এবং পাকা দুই ধরনের খাওয়া যায়। আমার মন চাইছে চাইতেছে সবগুলো পিঠা আমি খেয়ে ফেলি। সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপু, তালের পিঠা আগে অনেক খেয়েছি, মায়ের হাতে বানানো। এখন তেমন খাওয়া হয় না, তাই চেষ্টা করেছিলাম নিজেই বানানোর জন্য। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর কমেন্টের জন্য।
সাধারনত বাংগালী জাতির একটা পছন্দের খাবার হলো তালের পিঠা ,শীত কালীন সময় মাকে দেখি তালের পিঠা বানাতে , কি অসম্ভব স্বাদ যে হয় তা বলে বুঝানো যাবে নাহ , আর আমিও আমার আম্মুর সাথে তাল চিপতে বসে যাই এতটা আনন্দ লাগে যার অনুভুতি শেয়ার করেও শেষ করা যাবে নাহ , এক কথায় আপু অসাধারন একটা রেসিপি আপনি আমাদের শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এদিকে ও তাল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আপনি ঠিকই বলেছেন তাল বিভিন্ন রকমই খাওয়া যায়। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার এই রেসিপিটি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই, তাল অনেক ভাবেই খাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে মজাদার হইছে তালের পিঠা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তাল এমন একটি ফল যা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়, পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়, তাল দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে খাওয়া যায়। এমনকি খাওয়া শেষ হয়ে আঠি ফেলে রেখে তার ভেতরের শাসও খাওয়া যায়। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেল যে এত রকম ভাবে তাল খাওয়া যায় । আপনি আজকে তাল দিয়ে খুবই সুস্বাদু পিঠা তৈরি করেছেন। গোলাটা গুলিয়ে রেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পিঠা তৈরি প্রতিটি টিপস শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু, আসলে তাল অনেক ভাবেই খাওয়া যায়। তার মধ্যে তালের পিঠা হচ্ছে অন্যতম। ছোট বেলায় তালের শাস খাওয়াটা ছিল অন্যরকম মজাদার।
তালের পিঠা আমার খুবই ফেভারি ট। এখনো মা এই পিঠা প্রস্তুত করে বাসায় রেখে দেয় ওটার মধ্যে সেখান থেকে নিয়ে খেয়ে থাকি।। আসলেই পিঠাগুলো অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে।। আপনার প্রস্তুত করা দেখে খুব করে লোভ হচ্ছে কেননা গরম গরম খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।। সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন তৈরি করার পদ্ধতি অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আপনার এই পোস্ট দেখলেই বোঝা যায় আসলে তাল কত রকম ভাবে খাওয়া যায় তালের বীজ থেকে শুরু করে একদম তাল দিয়ে পিঠা তৈরি করা পর্যন্ত প্রতিটি প্রণালী আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তালের বীজ মাটিতে পুঁতে রাখার পরে যে শ্বাস হয় সেটা খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। রেসিপিটি অনেক বেশি লোভনীয় ছিল কয়েকদিন আগেই খেয়েছি আমি।
আপনার তৈরি পিঠাকে আমরা তালের পোয়া পিঠা বলি।খেতে বেশ মজা।কিন্তু মাঝে মাঝে তাল তিতা পরে তখন খুব খারাপ লাগে।বুঝা যায় না কোন তালটা ভাল হবে।রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাদ্র আশ্বিন মাসে তালপাকে অবশ্য আমাদের গাছেও তাল পেকেছে,পুকুরে পড়ছে। তবে এই মুহূর্তে তালের বড়া বা রুটি বানানোর বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। যার জন্য মিস করছি তালের বড়া। আরো বেশি মিস করছি আপনার এত সুন্দর ভাবে তাদের বড়া উপস্থাপন করা দেখে।