নিজের চাষ করা ক্ষেত থেকে পটল তোলার অনুভূতিঃ
আসসালামু আলাইকুম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বন্ধুরা আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আমি জব করার পাশাপাশি কিছু কৃষি কাজের সাথেও সম্পৃক্ত আছি। তারই সূত্র ধরে আমি আমার বাড়ির পাশের জমিতে পটল গাছ রোপন করেছি। এর আগে আমি কখনো পটল গাছ দেখিনি এবং গাছে কিভাবে পটল ধরে বা পটল ধরলে সেই ক্ষেত কেমন দেখা যায় এর আগে আমি কখনো জানতাম না।
চিত্র নাম্বার এক
বন্ধুরা এই পটল ক্ষেতটা আমি শুধু একাই করিনি আমার সাথে আমার বড় ভাইও শেয়ার আছেন। মূলত চাকরির সুবাদে আমাকে সপ্তাহের পাঁচ দিনই বরিশালে থাকতে হয়। আর এজন্য বেশিরভাগ সময়ই আমার বড় ভাই এই পটল ক্ষেতের পরিচর্যা করেন এবং পটল তুলে বাজারে বিক্রি করেন। তো আমি সপ্তাহে দুদিন বাড়িতে থাকি এর মধ্যে যতটুকু সময় পাই আমি আমার পটল ক্ষেতের পরিচর্যা করি।
আজ আপনাদের মাঝে যে পোস্টটি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে আজ শুক্রবার সকালে আমি আমার পটল ক্ষেত থেকে পটল তুলে বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবং যখনই পটল ছিড়ে বাজারে নেওয়ার জন্য পাত্রে রাখছিলাম, তখনই মনে পড়লো যে আমার পটল ক্ষেতের কিছু দৃশ্য এবং আমার পটল তোলার দৃশ্যগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
চিত্র নম্বর দুই
আর তার ঐ পরিপ্রেক্ষিতে আমি এই পোস্টটি আপনাদের জন্য লিখলাম। আসলে নিজের চাষাবাদ করা সবজি জমি থেকে সবজি তোলা এবং বাজারে বিক্রি করা যে কতটা আনন্দের এবং মজার তা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। আমি যখন পটল ক্ষেত থেকে পটল তুলছিলাম তখন আসলে মনে হচ্ছিল আমি যখন ছোটবেলায় ভাইয়ের সাথে বোনের সাথে বিভিন্ন ফসলের খেতে ছুটোছুটি করতাম দৌড়াদৌড়ি করতাম তারই পুনরাবৃত্তি আবার করছি।
একটু নাম্বার পাঁচ
বন্ধুরা ক্ষেত করার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই যে এখন বাজারে সবজি বা তরকারির যে অবস্থা বা যে দাম এতে করে তরকারি কিনে খাওয়াটা আসলে আমার জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার একথা চিন্তা করেই আমি এই পটল ক্ষেতটুকু করি । খুব বেশি জমি নয় দুই কাঠা জমিতে আমি আমার পটল ক্ষেত করেছি। যেখান থেকে আমি আমার খাবারের প্রয়োজন মিটিয়ে আবার বাজারেও বিক্রি করতে পারছি। বর্তমান সময়ের সব কিছুর যে দাম, আমার মনে হয় আমাদের সবারই উচিত নিজেদের কাজের পাশাপাশি পরিবারের যোগান হিসেবে এরকম কিছু শাক সবজির ক্ষেত করা।
চিত্র নাম্বার চার
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবারই ভালো লাগবে এবং ভালো লাগলে অবশ্যই ভালো কিছু মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন আপনাদের উৎসাহ থেকেই আমার অনুপ্রেরণা। সবাই ভালো থাকবেন । আল্লাহ হাফেজ।
এ বিষয়টা আমার কাছে দারুন লেগেছে। বর্তমানে সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণ দাম। তাই নিজের চাষ করে খাওয়াটা অনেক ভালো। আর সব থেকে বড় কথা নিজের চাষ করে খেলেন নির্ভেজাল জিনিস পাওয়া যায়। যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। নিজের চাষ করার ক্ষেত্রে কে পটল তলার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই ঠিকই বলেছেন এখন নিজেরা কিছু করতে না পারলে ঠিকমতো চলাটাই দায় হয়ে যাচ্ছে।
একদম ঠিক কাজ করেছেন ভাইয়া বাড়ির পাশে দুই কাঠা জমি অনেক সুন্দর ভাবে পটল চাষ করছেন। আর বর্তমান বাজারে সবজির যে দাম কিনে খাওয়াই মুশকিল। আপনার জমি থেকে আপনারা পর্যাপ্ত সবজি খান ও বাজারে বিক্রি করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।
আপু শুধু পটল না যে যেভাবে পারা যায় মোটামুটি আমাদের খাবার জন্য যে সবজিগুলো দরকার সেগুলো যদি আমরা নিজেরাই চাষ করতে পারি তাহলে আমাদের সাংসারিক খরচ অনেকটাই বেঁচে যাবে ।