আমার আজকের পোস্ট || শশুর বাড়িতে কাজির ভাত খাওয়ার অনুভূতিঃ
হ্যালো বন্ধুরা!
যা-ই হোক বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটি ভাই ও বোনেরা ভালো থাকা মানে আমার ভালো থাকা। আর সে জন্যই মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি সবাই যেন ভালো থাকেন।
চিত্রঃ খাবার প্রাক্কালে কাজির ভাত
বন্ধুরা আজকে একটু ভিন্ন ধরনের একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এবার শশুর বাড়ি গিয়ে সকালবেলা আমি কাজির ভাত খেলাম। এই ভাতের সাথে খাবার আইটেম হিসেবে থাকে বিভিন্ন রকমের ভর্তা এবং ছোট ছোট মাছ ভাজা। আমাদের মাদারীপুরের একটি ঐতিহ্যবাহি খাবার হচ্ছে কাজির ভাত। এটা হয়তো বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকার মানুষ এই খাবারটার সাথে পরিচিত নয়। অথবা কোন কোন এলাকায় অন্য নামে ও এই ভাত হয়ে থাকতে পারে।
আসেন তাহলে আজ আমি এই খাবারটির সাথে প্রথমে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই। এবং এটি কিভাবে রান্না করতে হয় সেই বিষয়টি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আমরা সাধারণত যে সব চালের ভাত খাই সেই চাল একটা মাটির হাড়িতে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে দুই থেকে তিন দিন পরে চাল এবং পানিতে একটা গন্ধ বা ঘ্রাণ আসে, সে চাল বা পানি দিয়ে যে ভাত রান্না করা হয় সেটাই হচ্ছে কাজির ভাত।
চিত্রঃ বিভিন্ন ধরনের ভর্তার আইটেম।
এই ভাতটা দেখতে সাধারণ ভাতের মতোই তবে এই ভাতের স্বাদ একটু টক মতো এবং অন্য রকম একটা ঘ্রান আসে এবং একটা ভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে। এই ভাত খাওয়ার প্রধান উপকরণ হচ্ছে বিভিন্ন ভর্ত। যেমনঃ আলু ভর্তা, শিম ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ডাল ভর্তা, ছোট মাছের শুটকি ভর্তা মোট কথা ভর্তা আর ভাজা হচ্ছে এই ভাতের পরাণ।
আর এই খাবারের আর একটি সৌন্দর্য হচ্ছে- এই ভাত খাওয়ার উপকরণ গুলো বড় একটা থালা বা ট্রেতে সুন্দর করে সাজিয়ে তারপর পরিবেশন করা হয়। যেটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এবং মোটামুটি পরিবারের সবাই একসাথে বসে এই ভাত খেয়ে থাকে।
চিত্রঃ পুটি মাছ ও পটল ভাজা
বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আমার আজকের এই পোস্টের সাথে যদি কেউ পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টস করে জানিয়ে দিবেন। সবশেষে আমার বাড়িতে আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের কাজির ভাতের দাওয়াত রইল এবং আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর। |
আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।
কাজির ভাত সম্পর্কে আজকে প্রথম জানলাম ভাইয়া। আমি এর আগে কখনো শুনিনি দেখিওনি আপনার ।পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি । দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত চাল ভিজিয়ে রেখে তারপর এটা দিয়ে ভাত রান্না করে শুনে সত্যিই অবাক হলাম ।কিন্তু বিভিন্ন রকম ভর্তা দেখে বেশ ভালো লাগলো। নিশ্চয় এত রকমের ভর্তা মাছ ভাজা দিয়ে খুব খেয়েছেন এখন আমাদেরকে লোভ লাগাচ্ছেন।
ঠিকই বলেছেন আপু, এটি আসলেই একটি লোভনীয় খাবার। সামনে থেকে দেখলে না খেয়ে যাওয়া যেত না।
কাজির ভাত সম্পর্কে এর আগে আমি কখনো শুনিনি এবং দেখিনি। আসলে এই কাজির ভাত খেতে কেমন সে সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই। দুই থেকে তিন দিন চাউল গুলো ভিজিয়ে রেখে আপনারা এই ভাত রান্না করেন । তবে আপনার বিভিন্ন রকম ভর্তা গুলো দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। এবং সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনার কাজির ভাত খাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো।
আপু, আমাদের মাদারীপুরে একদিন বেড়াতে আসেন। কাজির ভাতের দাওয়াত রইলো।
এই ভাতের নাম শুনেছি এবং দেখেছিও কিন্তু গন্ধর জন্য খাওয়া হয়নি। তবে শুনেছি এই ভাত বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তাহলে খুবই মজার খাবার খেয়েছেন। রেসিপির খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন। আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
আপু, একদিন খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
ভাই, আপনার টাইটেলে কাজির ভাত নামটি দেখেই আমি তো পুরাই অবাক হয়ে গেছি। কাজির ভাত এটা আবার কেমন কথা। পরে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম কাজির ভাত কিভাবে তৈরি করা হয়। এই কাজির ভাত সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না। যেহেতু বেশ কয়েক প্রকার ভর্তার সাথে এই ভাত খাওয়া হয়, সেহেতু কাজির ভাত খেতে বেশ ভালই লাগবে বুঝতে পারছি। যাই হোক ভাই, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কাজীর ভাত সম্পর্কে জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।