কাঁশফুলের মায়াজালে কোন এক বিকেলঃ
আসসালামু আলাইকুম |
---|
অতি অযত্নে এবং অনাদরে বেড়ে ওঠা একটি ফুলের(কাঁশফুলের)সৌন্দর্যের বর্ণনা নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আজকে উপস্থিত হয়েছি।
- পোস্ট ক্যাটাগরিঃ সৌন্দর্যমূলক পোস্ট।
- পোস্টের শিরোনামঃ কাঁশফুলের মায়াজালে কোন এক বিকেল।
- পোস্টের তারিখঃ ১৭ই কার্তিক ১৪২৯ খ্রিস্টাব্দ।
সবগুলো ছবির সম্মিলিত চিত্র |
---|
ছবি নাম্বার-১ |
---|
পোস্তগোলা থেকে একটি সিএনজিতে করে সরাসরি আমরা বনগ্রাম গিয়ে নামলাম। মিরপুর থেকে এক থেকে সোয়া ঘন্টা সময় লাগলো বনগ্রাম গিয়ে পৌঁছাতে। এর আগে ও আমরা দু বার আমার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে দুবার বাসা থেকে দূরে কোথাও যাওয়া হয়নি। কিন্তু শেষ বার যখন গিয়েছিলাম তখন কেন জানি মনে হল যে, এলাকাটা একবার ঘুরে দেখা উচিত।
ছবি নাম্বার-২ |
---|
সুতরাং যে চিন্তা সেই কাজ। আমি, আমার ছেলে এবং আমার ওয়াইফ তিনজন মিলে বিকেলে একটু ঘুরতে বের হলাম। বাসার চারপাশটা মোটামুটি ঘুরে দেখা হল। ঘুরতে ঘুরতে একটা জায়গাতে গিয়ে আমরা আটকে গেলাম, মানে জায়গাটার সৌন্দর্য দেখে আমরা অবাক হয়ে গেলাম। না এটা কোন রিসোর্ট বা পার্ক ছিলনা। যেটা দেখে আমরা আনন্দিত হয়েছিলাম।
এটা ছিল একটি সাধারণ মানের প্রাকৃতিক ফুল গাছ দিয়ে ঘেরা জায়গা। যেটাকে আমরা হয়তো অনেকেই ফুল ভাবি না, যে ফুলের কোন গুরুত্ব আমাদের কাছে নাই, যে ফুলকে ফুল ভেবে গাছ থেকে ছিঁড়ে কখনোই আমরা হাতে নিয়ে ঘুরিনা বা যে ফুলকে আমরা কখনোই মাথার খোপায় গুঁজে দেই না। কিংবা যে ফুলকে আমরা কখনোই আমাদের বাড়ির টপে বা আঙ্গিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চাষ করি না। সেই ফুলটি হচ্ছে কাশফুল।
ছবি নাম্বার-৩ |
---|
কাশফুলের সৌন্দর্য যে এত সুন্দর হয় সেটা আমি আগে কখনো কল্পনা করিনি। আমরা যখন কাশফুলের কাছে গিয়েছিলাম তখন কাশফুলগুলো বাতাসে এমন ভাবে দোল খাচ্ছিল তাতে করে যেন মনে হচ্ছিল যে, কোন মানুষ হাত দিয়ে কাশফুলগুলোকে দোল দিয়ে যাচ্ছে।
ছবি নাম্বার-৪ |
---|
কাশফুলের এইরকম অপরূপ দৃশ্য দেখে আমরা এই সৌন্দর্যকে কোন ভাবেই মিস করতে চাইলাম না। তাই কাশফুলকে আমাদের সাথে ক্যামেরাবন্দি করলাম এবং আমরাও কাশফুলের সাথে বিভিন্নভাবে ক্যামেরা বন্দি হলাম। এটাই ছিল কোন এক বিকেলে আমার কাশফুলের মায়াজালে পড়ার গল্প। আশা করি সবার ভালো লাগবে। ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ছবি নাম্বার-৫ |
---|
এই পোস্ট থেকে আমার যেটা শিক্ষা সেটা হলো, দুনিয়াতে আল্লাহ কোন কিছুকেই তুচ্ছ করে সৃষ্টি করেন নাই। প্রত্যেক জিনিসই তার নিজস্ব জায়গা থেকে সৌন্দর্য বহণ করে। কিন্তু আমরা অনেকই এটাকে বুঝতে পারিনা বা বুঝি না। সুতরাং আমাদের উচিৎ প্রত্যেকটি জিনিসকে তার সৌন্দর্য দিয়ে অবলোকন করা। তাহলেই আমরা তার আসল সৌন্দর্য বা রুপ বুঝতে পারবো।
ভাইয়া আপনার কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে।আর পরিবারের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলে আনন্দটাও যেন দ্বিগুণ হয়।
কাশফুল আমার মত অনেকের ভাল লাগে। বোনের বাসা কেরানীগঞ্জ মানে ত অনেক দূর। মাঝে মাঝে দূরে কোথাও পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতে ভাল লাগে আর সেখানে যদি কাশবনের দেখা মিলে তাহলে ত কথাই নেই। আপনার শেয়ার করা ছবি খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুণ নাম দিয়েছেন তো। ইন্টারেস্টিং! তবে কাশফুলে চন্দ্রবিন্দু হয় কি? মনে তো হচ্ছেনা।
ভাইয়া আপনার কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সত্যি বলেছেন ভাইয়া আমাদের বাড়ির টপে বা আঙ্গিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চাষ করি না। সেই ফুলটি হচ্ছে কাশফুল।অনাদারে বেড়ে উঠলেও কাশফুলের রাজ্য কিন্তু সত্যি অসাধারণ। আপনি আপনার মেজো বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে,কাশফুলের রাজ্য দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু, এমন সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
ওয়াও কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে পেলাম। কাশফুল আমারও ভীষণ পছন্দের। আমিও যেতে চাইছিলাম কয়েকদিন ধরে কাশফুলের কোন বাগানে। আপনার পোস্ট দেখে যেন লোভটা আরো বেড়ে গেল। আসলে এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কাটানো সময় কেউই মিস করতে চাইবে না। আপনি ভীষণ ভালোই করেছেন পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন।
কাশফুল যদিও অবহেলিত এবং অনাদরে বেড়ে ওঠা একটি ফুল। কিন্তু যখন অনেক বাতাসে দোল খায় তখন কিন্তু খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।