আমার আজকের পোস্ট || মেট্রোরেলের স্বর্ণালী যুগে বাংলাদেশঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম। আসসালামু আলাইকুম।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা। |
---|
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা দুদিন পরে আবার আপনাদের মাঝে নতুন আরো একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।
তারিখঃ
১৩ই পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৮শে ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৪।পোস্ট ক্যাটাগরিঃ সাধারণ পোস্ট।
পোস্টের শিরোনামঃ মেট্রোরেলের স্বর্ণালী যুগে বাংলাদেশ।
ছবিটি ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
চলুন বন্ধুরা তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের পোস্টটিঃ |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শর্ট নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি মধ্যেম আয়ের দেশ। মধ্যেম আয়ের দেশ হিসাবে আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন উন্নত নয়। তাই পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের সরকার প্রধান বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতে নতুন সংযোজন মেট্রোরেল চালু করেছেন। মেট্রোরেল চালুর ফলে আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক গতিশীলতা আসবে বলে আমি মনে করি। যদি এটার রক্ষনাবেক্ষণ সঠিকভাবে করা হয়। প্রথম ধাপে এই মেট্রোরেল দিয়া বাড়ি থেকে সরাসরি আগারগাঁও পর্যন্ত যাবে। মাঝখানে কোন যাত্রী আপাতত উঠাবে না।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শর্ট নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে এই দুই স্টেশনের মাঝখানে যতগুলো ষ্টেশন আছে সেগুলোর সম্পুর্ণ কাজ শেষ হলে সবগুলো ষ্টেশন থেকে যাত্রী উঠানামা শুরু করা হবে।
দিয়া বাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা করা হয়েছে ৬০ টাকা। মিরপুর ১২ নাম্বার পর্যন্ত ৩০ টাকা, মিরপুর ১০ নাম্বার পর্যন্ত ৪০ টাকা, কাজিপাড়া পর্যন্ত ৫০ টাকা এবং আগারগাঁও পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা।
যদিও ভাড়াটা একটু বেশি মনে হচ্ছে কিন্তু আমাদের সময় কিন্তু অনেকটা বেঁচে যাচ্ছে। গাড়িতে যেখানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও আসতে সময় লাগে এক থেকে দেঁড় ঘন্টা সেখানে মেট্রোরেলে লাগবে মাত্র ১৫-২০ মিনিট। প্রথম দিকে মেট্রোরেল চলবে প্রতিদিন ৪ ঘন্টা করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং টিকিটের জন্য কার্ড আপাতত উত্তরা এবং আগারগাঁওতেই পাওয়া যাবে। পরে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শর্ট নেওয়া হয়েছে।
আমি বর্তমানে মিরপুর ১০ নাম্বারে আছি এবং আমার অফিস একেবারে মিরপুর গোলচক্কর ঘেঁষে। এখানে থাকার সুবাদে আমি মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় এখানকার বাস্তবতা আমি উপলব্ধি করছি। সকাল থেকেই মিরপুরের প্রধানরাস্তা মানে কালসি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পুরো রাস্তায়ই ছিলো কঠিন নিরাপত্তায় ঘেরা। সবখানেই র্যাব, পুলিশ, আনসার এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তায় গাড়ি চলাচল ছিলো একদম সীমিত। তেমন কোন গাড়ি এখানে চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি এই মেইন রাস্তার সকল অফিস এবং ব্যাংক ও বন্ধ ছিলো। কিন্তু দুইটার দিকে রাস্তা এবং সব অফিস আদালত এবং রাস্তা খুলে দিলে সব কিছু স্বাভাবিক হয়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিন শর্ট নেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেল চালুর ফলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক গতিশীলতা আসলো বটে কিন্তু এটা নিন্ম শ্রেণীর মানুষের জন্য কতটা সুবিধা বয়ে আনবে সেটাই হচ্ছে আসল কথা কারণ আমার মনে হচ্ছে মেট্রোরেলের ভাড়াটা বহণ করাটা নিন্ম শ্রেণীর মানুষের অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
যাই হোক তারপর ও একটা প্রশান্তির বিষয় হচ্ছে যাতায়াতে আমরা নতুন একটি যুগে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছি। পদ্মা সেতুর পর আমাদের মেট্রোরেল আর ও একটি স্বপ্ন পূরনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে করলো। আশা করি বর্তমান সরকার এই অগ্রগতিযাত্রাকে সাফল্যের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
প্রথম ছবিটি দ্রুত রিমুভ করুন। ছবিটির কোন সোর্স লিংক নেই। এছাড়া ওই ছবিটি সম্পূর্ণ কপিরাইট ফ্রি নয়।
রিমুভ করেছি ভাইয়া।