আমার আজকের পোস্টের শিরোনাম || সেলফিঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম। |
---|
বন্ধুরা, শিরোনাম শুনেই হয়তো বুঝতে পারছেন পোস্টটির বিষয়বস্তু কি হতে পারে। হ্যা! ঠিক ধরেছেন আমার আজকের পোষ্টটির বিষয় হচ্ছে বর্তমান তরুণ সমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম একটি ব্যধি সেলফি।
চলুন বন্ধুরা তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের পোষ্টটিঃ |
---|
সেলফি! সেলফি রোগে আক্রান্ত যেন সারা পৃথিবী। বর্তমান বিশ্বে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার নাম হচ্ছে সেলফি। সেলফি তোলায় আমরা একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
সেলফি তুলতে গিয়ে আমরা একে অন্যর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলে কার থেকে কে ভালো সেলফি তুলতে পারে বা কে কত বেশি সেলফি তুলতে পারে। কে কত স্টাইল করে সেলফি তুলতে পারে, কে রিস্ক নিয়ে সেলফি তুলতে পারে। বর্তমান বিশ্বে এ যেন এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। এ তরুনদের বেশির ভাগেরই বয়স হচ্ছে ১৫-২৫ বছরের মধ্যে।
আমি বা আপনারা বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় বা সরাসরি দেখি আমাদের দেশের কিছু তরুণ বিভিন্ন স্টাইলে চুল কেটে মোবাইলে সেলফি তুলে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। এদের দেখলে মনে হয় এরা মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত এবং এদের অঙ্গ ভঙ্গি দেখলে মনে হয় এরা কোন মানসিক রোগী।
এতো গেল তাদের শারীরিক দিকের কথা এবার আসা যাক সেলফি তুলতে গিয়ে আমাদের এই যুব সমাজ কিভাবে অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে-এই সমস্ত নানা রকমের সেলফি তুলতে গিয়ে তারা অনেক মুল্যবান সময় নষ্ট করছে, লেখা পড়া থেকে মনযোগ হারিয়ে ফেলছে, অনেক খারাপ বন্ধুদের সাথে মেলা মেশা করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে এই রকম প্রতিযোগিতামূলক সেলফি তুলতে গিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন বিপদজনক জায়গায় চলে যাচ্ছে সেখান থেকে অনেক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছে বা কেউ কেউ মৃত্যুকে ও বরণ করে নিচ্ছে।
এমন ঘটনা আমরা অহরহই বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া বা খবরের কাগজ বা খবরে শুনে থাকি। আজকে একটি ঘটনা দেখেই আমি সেলফি শিরোনামের পোস্টটি লিখলাম। ঘটনাটি হলো সম্ভবত রংপুরে দুই বন্ধু চলন্ত ট্রেনের ছাদে বসে সেলফি তোলার সময় ডিসের তার/ কারেন্টের তারে লেগে একজন ট্রেনের নিচে চলে গেছে, অন্যজন এর একটি হাত এবং একটি পা ট্রেনের নিচে পড়ে কাটা পড়ে, পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
আসুন আমরা যারা অবিভাবক আছি তারা আমাদের সন্তানদের এই সব অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে দূরে রেখে তাদেরকে সঠিক পথে আহব্বান করি, যেন তারা নিজেদের সময় এবং জীবনকে গুরুত্ব দিয়ে সঠিক পথে ফিরে আসে। ধন্যবাদ সবাইকে।
শিক্ষাঃ আমাদের সন্তান আমাদের সম্পদ। এই সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের সেলফি নামক অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
আমার পরিচয় |
---|
আমাদের এদিকে তেমন একটা সেলফি তুলতে দেখা যায় না তবে অনেক পরিমাণ ছবি তোলে। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রংপুরের ঘটনাটি শুনে খারাপ লাগলো। আসলে দুর্ঘটনা হতে পারে সেরকম কোনো কাজ আমাদের করা কখনোই উচিত নয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
সত্যি কথা বলতে কি ভাই বোকামির একটা সীমা রয়েছে কিন্তু আমরা এমনই বাঙালি জাতি বোকামির সীমা অতিক্রম করে চলে যায় কিন্তু জ্ঞান করি না। হয়তো এই ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।শুধু ট্রেনের ছাদে নয় যে কোন অবস্থা থেকেই আমাদের জ্ঞান করতে হবে এতে বিপদজনক কিনা কারণ সেলফি তোলাটা আগে নয় আগে নিজের প্রাণ বাঁচাতে হবে। ভুল ভ্রান্তি নিজেরও হয়ে যায় তবে সাবধান হতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া, মানুষ দিন দিন কেমন যেন বোধ ছাড়া হয়ে যাচ্ছে, কিছু গুরুত্বহীন প্রতিযোগিতায় নেমে নিজের জীবনকে পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে। আফসোস হয় এদের জন্য।