আজকের পোস্ট || একজন শায়লা ও তার অকৃতজ্ঞ বান্ধবী(প্রথম খন্ড):
বন্ধুরা গল্পটা কিছুটা বড় হচ্ছে তাই আমি গল্পটাকে দুটি খন্ডে বিভক্ত করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। দুটি খন্ড না পরলে আপনারা গল্পটা বুঝতে পারবেন না। তাই আশা করছি গল্পটার দুটি খন্ডই আপনারা পড়বেন।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের ব্লগটিঃ |
---|
পোস্টের ক্যাটাগরিঃ ধারাবাহিক গল্প।
পোস্টের নামঃ একজন শায়লা ও তার অকৃতজ্ঞ বান্ধবী।
পোস্টের তারিখঃ ২৪ শে অগ্রহায়ণ ১৪২৯ খ্রিস্টাব্দ(বাংলা)
Copyright free image source:pixels
শায়লা গ্রামের সহজ সরল একটি মেয়ে। ক্লাস নাইনে পড়ে। তিন ভাই বোনের মধ্যে শায়লা সবার বড়। বাবা একজন কৃষক। মোটামুটি ভাবে ক্ষেত খামার করেই তাদের দিন কেটে যায়। শায়লার ছোট এক ভাই এবং বোন, তারা এখানো ছোট তেমন কিছুই বুঝেনা।
শায়লার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। হেঁটে গেলে ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগে এবং অটোতে গেলে পাঁচ মিনিটের মতো সময় লাগে। বেশির ভাগ সময় হেঁটেই স্কুলে যায় শায়লা। শায়লা এবং তার বন্ধবি নুরির বাড়ি পাশাপাশি। পাশাপাশি হওয়ার কারণে দুজনে এক সাথেই স্কুলে যাওয়া আসা করে থাকে। শুধু স্কুলের কথা বললে ভুল হবে। পাশাপাশি যে কোন কাজ বা কোথা ও যেতে হলেও দুইজন একসাথেই যায়। কোন কেনাকাটা, বান্ধবিদের বাসায় এমনকি প্রাইভেট পড়তে গেলে ও একসাথেই যাওয়া হয়।
স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই একটি ছেলেকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতো শায়লা এবং নুরি। কিন্তু শায়লা এতটাই সাধারণ মেয়ে ছিলো যে সে এটাকে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ই মনে করতো। নুরি প্রায়ই শায়লাকে বলতো, দেখ শায়লা ওই ছেলেটা প্রতিদিন আমাদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে দাঁড়িয়ে থাকে, নিশ্চয়ই ছেলেটা মনে হয় আমাদের কাউকে পছন্দ করে। শায়লা নুরির কথায় কোন কান দেয় না, শায়লা বলে বাদ দে এইসব কথা। আমি লেখা পড়া করতে আসছি, লেখা পড়া নিয়েই থাকতে চাই। এসব বাজে দিকে মন দেওয়ার সময় নাই। বাবা মা অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখা পড়া করতে পাঠিয়েছেন। এর বাইরে আমি কিছুই করতে চাই না।
শায়লা এই কথা বলে আবার স্কুলের দিকে রওনা করলো। স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ছেলেটাকে আবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো শায়লা। এবার ও শায়লা চুপচাপ করে বাড়িতে চলে আসলো।
পরের দিন আবার শায়লা এবং নুরি স্কুলে যাচ্ছিলো, আজকে ও শায়লা খেয়াল করলো যে, ছেলেটি ঠিক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। শায়লা এবং নুরি ছেলেটার কাছাকাছি আসতেই ছেলেটা আস্তে করে শায়লা এবং নুরির সামনে এসে দাঁড়ালো। ছেড়েটি হঠাৎ করে তাদের সামনে দাঁড়ানোর কারণে তারা হতভম্ব হয়ে গেল কারণ এই মুহূর্তের জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
ছেলেটা শায়লা সামনে দাঁড়িয়ে বললো আমার নাম সজিব, আমার বাড়ি সাদুল্লাপুর। ওইতো দেখা যাচ্ছে। আমি এবার সাদুল্লাপুর কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছি।
শায়লা বললো, সেটা না হয় বুঝতে পারলাম কিন্তু আমাদের সামনে দাঁড়ালেন কেন। ছেলেটা বললো আমি তোমাকে পছন্দ করি তাই তোমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। অনেক দিন ধরেই তোমাকে কথাটা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাহস পাইনি।
ছেলেটার কথা শুনে শায়লা এবং নুরি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। কিন্তু ছেলেটা তার কথা বলেই যাচ্ছে।
এরপর ছেলেটিকে পাশ কাটিয়ে শায়লা এবং নুরি আবার স্কুলের দিকে রওনা করলো......(চলবে)
বন্ধুরা আপনাদের অতি মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচছা।