আমার স্বরচিত একটি কবিতা || ফোকলা দাঁতের মামা এর আবৃত্তিঃ
আসসালামু আলাইকুম |
---|
বন্ধুরা আমি সব সময়ই চাই আমার পোস্টে সব সময় কিছু ভিন্নতা থাক। কারণ একই রকম পোস্ট প্রতিদিন দেখতে এবং পড়তে সবার কাছেই বিরক্ত লাগে। সেজন্যই আমি আজকে আমার পোস্টে একটু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করলাম। এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে আমার স্বরচিত একটি কবিতা আবৃতি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
কবিতাটি আমি ইতিপূর্বে আমার বাংলা ব্লগে লিখিতভাবে পোস্ট করেছিলাম। কবিতার নাম-
কবিতা লিখতে এবং আবৃত্তি করতে সব সময় আমার ভালো লাগে এবং আমি এটা ও জানি যে আমার বাংলা ব্লগে এমন অনেক বন্ধুরা আছেন যারা সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেন এবং আবৃত্তি করেন। তাদের ভালো লাগা এবং কবিতার প্রতি তাদের ভালবাসাকে প্রধান্য দিতেই আমার এই আজকের কবিতাটি আবৃত্তি করা। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কবিতার নাম | ফোকলা দাঁতের মামা |
---|---|
আবৃতিকার | আজিজুল মিয়া |
আবৃতির প্রকাশ মাধ্যম | আমার বাংলা ব্লগ |
---|
আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড দেওয়া হয়েছে।
ইমেজটি ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
কবিতার নামঃ ফোকলা দাঁতের মামা
আজিজুল মিয়া(@azizulmiah)
মামু আমার ফোকলা দাঁতে
দাঁত কেলিয়ে হাসে,
দাঁতের সুরত যেন মামুর
শ্যাওলা কচুরি ভাসে।
দাঁত কেলিয়ে মামু যখন
রাতের বেলায় হাসে,
বলে মামু তার সাথে নাকি
চাঁদ দৌড়িয়ে আসে।
বলে মামু দাঁত যে আমার
লোহার চেয়ে শক্ত,
খেতে পারি চিবিয়ে হাড্ডি
হোক না বড় মস্ত।
মামুর নাকি দেহের শক্তি
দৈত্য-পালোয়ানের মতো,
এক ঘুষিতেই করবে কুপোকাত
আসুক শত্রু যতো।
বাহু দুটি দেখিয়ে বলে মামু
দেখছো বাহুর জোর?
এই বাহুতেই করছি ঘায়েল
বউয়ের গায়ের জোর।
মামু বলে ওহে ভাগিনারা
খাচ্ছো কি তোমরা এখন?
আস্ত খাসি জবাই করে
খাইছি একাই তখন।
দিছি সাঁতরে পদ্মা নদী পাড়ি
দিয়ে লঞ্চে পাল্লা,
দেখতো চেয়ে হাজারো জনতা
দেখতো মাঝি মাল্লা।
লাগতো কুস্তি আমার সাথে
গ্রামের সব যুবক,
এক ঘুষিতেই হইতো সবাই
বিড়ালের মতো কুপোকাত।
আমায় দেখে পড়তো ভয়ে সবাই
রাস্তা থেকে নিচে,
বলতো সবাই আসছে দেখো
ফোকলা দাঁতের মামা যে!
বন্ধুরা, এটাই ছিলো আমার স্বরচিত রম্য কবিতা ফোকলা দাঁতের মামা এর আবৃত্তি। আশা করছি সবার কাছেই ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্টস এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
অসাধারণ ভাই সত্যি বেশ চমৎকার হয়েছে কবিতা আবৃত্তি। সুন্দর সাবলীর ভাষায় কবিতার প্রতিটি ছন্দ আপনার কন্ঠের সাথে মিলিয়ে আবৃত্তি করেছেন। আপনার কন্ঠে এ ধরনের কবিতা আবৃত্তি শুনে সত্যি খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর কবিতা আবৃত্তি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আসলে কবিতা লেখা এবং আবৃতি করা দুটিই আমার ভালো লাগে।
বাহ ভাইয়া ছন্দে ছন্দে মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি হাস্যরসিক কবিতা লিখেছেন তো খুবই ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে।।
বিশেষ করে আপনার সুমধুর কন্ঠে যখন আবৃত্তি শুনছিলাম তখন তো আরো বেশি ভালো লাগছিল।।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।