আমার আজকের পোস্ট || প্রিয় মোবাইল ফোনটি হারানোর কষ্টঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম। |
---|
আসসালামু আলাইকুম। |
---|
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বন্ধুরা, আজ আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়ে গেলাম। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি প্রিয় জিনিসকে হারানো এবং হারানোর পর আমার যে প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতি কি ছিলো সেই বিষয়গুলোই আপনাদের শেয়ার করবো।
-------ঘটনাটা ২০২০ সালের আমি আমার ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে গাজীপুর মাওনা থেকে মিরপুরে একটি পারটেক্স এর শোরুমে ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেছি। আমার বাসা ছিলো কালসিতে। শোরুম ছিলো মিরপুর ১০ নাম্বারে। আমি বাস গাড়িতেই আসা যাওয়া করতাম।
এবার আসা যাক আসল ঘটনায় আমি গাজীপুর থাকা অবস্থায় একটি ফোন কিনেছিলাম যার মডেল ছিলো readmi Y3। ফোনটা যে আমি খুব সহজেই কিনতে পেরেছিলাম এমনটি নয়। আমি ফোনটি কিনেছিলাম কিস্তিতে। সেটা হলো আমি যমুনা ব্যাংকে চাকুরী করা অবস্থায় মাওনা চৌরাস্তা সরকার টেলিকমের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক ছিলো, বলা ভালো যে সরকার টেলিকম আমাদের কাছে থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিলো। সেজন্যই কিস্তিতে মোবাইলটা কিনতে আমার কোন সমস্যা হয়নি। আমি চারটি কিস্তিতে মোবাইলটা কিনেছিলাম। মোবাইলটার তখনকার বাজার দর ছিলো-১৪,৯৯০ টাকা। আমি মোবাইলের টাকাটা চার কিস্তিতে চার মাসে পরিশোধ করেছিলাম। বলে রাখা ভালো যে সরকার টেলিকম কোনদিন ও আমাকে টাকার জন্য তাড়া দেয়নি। ফোনটা কিনেছিলাম ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তারিখটা ছিলো ২০২০ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ। আমি শোরুম বন্ধ করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে দশ নাম্বার গোলচত্বর থেকে বিহঙ্গ গাড়িতে করে মিরপুর পূরবী সিনেমা হলের সামনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি। কিছু দুর্ভাগ্য, আমি পুরবী সিনেমা হলের সামনে নামতে গিয়ে গাড়ির গেটের সামনে একটা জটলায় পড়ে যাই, তারপর গাড়ি থেকে নেমে দেখি আমার প্যান্ট এর পকেটে মোবাইলটা নাই। মোবাইলটা পকেটে না পেয়ে আমি দিশেহারা হয়ে যাই, কিন্তু তখন কিছুই করার ছিলো না, কারণ গাড়িটা তখন ছেড়ে চলে গেছে। আমি দেখেছি আমার বয়সী একটা ছেলে খুব দ্রুত গাড়ির কাছে থেকে চলে যাচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি হয়তো বা ওই ছেলেটাই আমার মোবাইলটা নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলো না। Copyright free image source:pixels কারণ ওদের নেটওয়ার্ক অনেক বড় আমি কিছু বললে উল্টো হয়তো আমাকেই মার খেতে হতো বা বড় কোন দুর্ঘটনা ও ঘটে যেতে পারতো। তাই আমি আর কিছু বলিনি। মানুষের কাছে শুনেছি মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে ১২ নাম্বার পর্যন্ত জায়গাটা নাকি খুব খারাপ। এই জায়গাটার মাঝে ছিনতাই এবং চুরির ঘটনা ঘটে। তারপর আমি অনেকের পরামর্শে আমি থানায় একটি জিডি করি কিন্তু তার কয়েকদিন পরেই করোনা শুরু হয়ে যায়। যার কারণে আমি আমার ফোনটি পাওয়ার আশা ছেড়ে দেই। এবং আমার ধারণাটাই ঠিকই হয়েছে, এরপর অনেকবার থানায় ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়েছি কিন্তু কোন রেসপন্স পাইনি। ফোনটা আমি অনেক শখ করে কিনেছিলাম এবং অনেক কষ্ট করে টাকা পেমেন্ট করেছিলাম। আমি ফোনটা হারিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। এটা যে আমার জন্য কতটা কষ্টের সেটা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আমি বলবো যে যারা এই কাজগুলো করেন তাদের একটু ভেবে দেখা উচিৎ যে, আমি যার জিনিস বা টাকা বা যে কোন জিনিসই হোক না কেন এই জিনিসগুলোর পিছনে অবশ্যই কোন মানুষের কষ্টের ঘাম জড়িয়ে আছে। অনেকে নিজের জীবন বাজি রেখে এই সব জিনিসগুলো ক্রয় করে নিজেদের ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু যখন তাদের এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খোয়া যায় তখন তাদের কি অবস্থা হয়? আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।
|
---|
প্রিয় কোন জিনিস হারিয়ে গেলো সত্যিই অনেক কষ্ট হয়।ইদানীং ফোন চুরির ঘটনা খুবই দেখা যাচ্ছে। পথে ঘাটে চলাফেরার সময় কখন ফোন চুরি হয়ে যায় তা বোঝার উপায় নেই। বাসে উঠানামার সময় গেইটের কাছে ভিড় করে সবাই আর তখনি চোর খুব সহজেই তার কাজটি সেরে নেয়। আপনি খুবই শখ করে কিস্তিতে ফোনটা কিনেছিলেন চার ভাগে টাকা দিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল সেই ফোনটি হারিয়ে গেছে সত্যি এটা অনেক কষ্টের কারন আপনার কাছে। খুবই খারাপ লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট টি পড়ে। যাক মন খারাপ করবেন না যা যাবার তা যাবেই এটাই বাস্তবতা। পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাই কি বলবো ভাই আপনার মোবাইল ফোন হারিয়েছেন যেন খুবই কষ্ট লাগলো। মোবাইল হারিয়ে গেছে তেমন সমস্যা নাই। তবে মোবাইলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ইমেজ বিভিন্ন ডকুমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার হারিয়ে যাওয়া তে খুবই কষ্ট হয়। অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আর সংগ্রহ করা যায় না। আসলে ভাই মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বিপদ আমাদের মাঝে আসবে এটা প্রকৃত নিয়ম তবে ধৈর্য ধারণ করে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। ভালো থাকবেন ভাই, ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
সত্যি নিজের পছন্দের কোন জিনিসই যদি হারিয়ে যায় নিজের অজান্তে তাহলে খুবই কষ্ট হয়। আপনার শখের মোবাইলটি হারিয়ে গিয়েছে শুনে খুবই খারাপ লাগলো। বিডের মাঝে চোরের সংখ্যা একটু বেশি থাকে। তাই তারা যখনই সুযোগ পায় তখনই তাদের কাজ সেরে নেই। সত্যি এরকম ঘটনা গুলো মনে পড়লে আরো বেশি খারাপ লাগে। আপনার কষ্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যখন কারো সাথে এরকম কথাগুলো শেয়ার করি তখন মনটা একটু হালকা হয়।
আপু ঠিকই বলেছেন এখন গাড়িতে চলাফেরা করাই অনেক অনেক সমস্যা। যে কোন সময় যে কারো প্রয়োজনীয় জিনিস চুরি হয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।