The Family Star || ভারতীয় তেলেগু মুভি রিভিউ।
The Family Star || মুভি রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি একটি তেলেগু মুভি রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে মুভিটির সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বেশ অনেকদিন যাবৎ ভাবছি ইন্ডিয়ান মুভি দেখা হয়না তাই একটা ভালো দেখে মুভি দেখবো। যেটা কিনা এই বছরেই রিলিজ হয়েছে। তারপর সার্চ দেয়ার পর অনেক গুলো মুভিই আসে , তারপর এই দ্যা ফ্যামিলি ষ্টার মুভিটি চয়েস করে দেখা শুরু করি। যদিও এটা ছিল একটা তেলেগু মুভি কিন্তু আমি এটার হিন্দি ডাব করা মুভিটি দেখি। আর সেই মুভির কাহিনীই সংক্ষেপে আপনাদের কাছে তুলে ধরবো আজে । তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
মুভির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
মুভির নাম | দ্যা ফ্যামিলি ষ্টার |
---|---|
পরিচালক | পরশুরাম |
অভিনয়ে | মৃনাল ঠাকুর , বিজয় ডেভরাকন্দা, জয়রাম ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | এপ্রিল ৫ , ২০২৪ |
সময় | ২ঘন্টা ৩৭ মিনিট |
মুভির মূল কাহিনী শুরু |
---|
মুভির শুরুতে আমরা দেখি যে একটা বেশ বড় পরিবারই তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন কাটাচ্ছে। আর পরিবারের ছোট ছেলেই তার ২ বড় ভাই সহ পরিবারের সকলের ভরণ পোষণ করে। অর্থাৎ সেই এই পরিবারকে সামলায়। কেননা তার বড় ভাই এখন পুরো নেশা গ্রস্ত। সে শুধু নেশা পানির মধ্যেই সারাদিন মগ্ন থাকে। কিন্তু এইদিকে তার ছোট ভাই পুরো ফ্যামিলিকে সামলাচ্ছে। তো এভাবেই তাদের দিন কাটতে থাকে , তবে তার ভাই অন্যের কাছ থেকে ধার করে নেশা করতো দেখে সেই লোকেরা টাকার জন্য তাদের বাড়িতে এসে ঝামেলা করতো। তবে ছোট ছেলে অর্থাৎ গোবর্ধন তাদের কিছু একটা বোঝ দিয়ে সামলে রাখতো । আর সেই হচ্ছে এই মুভির নায়ক। যাই হোক , একদিন হটাৎ সে কাজ থেকে বাড়ি এসে দেখতে পায় তার উপরতলার রুমটি একজনের কাছে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। যদিও সেখানে একটা বৃদ্ধ মহিলা ছিল সেটা হয়তোবা তার দাদি হতে পারে। তারপর গোবর্ধন অনেকটা রেগে যায় এবং সেই নতুন ভাড়াটিয়ার সাথে দেখা করতে গেলে সে সেই ভাড়াটিয়াকে দেখে একদম অবাক হয়ে যায়। বলতে পারেন যে তার ভালো লেগে যায় সেই ভাড়াটিয়াকে। আর সেই ভাড়াটিয়াই হচ্ছে সেই মুভির নায়িকা।
এভাবে আস্তে আস্তে সেই উপর তালার ভাড়াটিয়া গোবর্ধন এর পরিবারের সাথে মিশতে শুরু করে এবং এমন ভাবে মিশে যায় যে সে সেই পরিবারেরই একটা অংশ। এটা প্রথমে গোবর্ধন পছন্দ না করলেও আস্তে আস্তে সেটা মেনে নেয়। তখন আস্তে আস্তে গোবর্ধনও ইন্দু অর্থাৎ উপরতলার ভাড়াটিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে থাকে । তখন ইন্দু তাকে অনেক ভাবেই সাহায্য করে , তখন একদিন গোবর্ধন ভাবে ইন্দুকে সে আজকে প্রপোস করেই দিবে এবং তার ঘর বাড়ি একদম সুন্দর ভাবে সাজিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে ইন্দু এর বাড়ি ফেরার কিন্তু ইন্দু তখন আসেনি। তার পরপরই ইন্দু এর ভার্সিটি থেকে একটা বই আসে। তারপর সেই বইটা খুলে দেখার পর গোবর্ধন অনেক রেগে যায়। আর রেগে দিয়ে সরাসরি চলে যায় ইন্দু এর ভার্সিটি তে এবং সেখানে গিয়ে তাকে অনেক অপমান করতে থাকে। আসলে সেই বইটা ছিল একটা রিপোর্ট। ইন্দু একটা প্রজেক্ট কমপ্লিট করার জন্য গোবর্ধন এর পরিবারের সাথে এতটা বেশি মিশেছিল। তার প্রজেক্ট ছিল মধ্যবৃত্ত পরিবারদের উপর একটা রিপোর্ট তৈরী করে। এটা জানার পর গোবর্ধন অনেক কষ্ট পায় । তবে ইন্দু সত্যি সত্যি ওকে ভালোবেসে ছিলো কিন্তু গোবর্ধন সেই কথাটা বলার সুজুগই দেয়নি ইন্দু কে।
তখন গোবর্ধন চিন্তা করে তার এখন বড় কোনো কোম্পানি তে গিয়ে জব করা উচিত। তারপর শত চেষ্টা করে একটা ভালো চাকরি যোগায় এবং ইন্দু কে কল দিয়ে বলতে থাকে যে সেও এখন বড়োলোক। মানে সে খুবই রাগা ছিল ইন্দু এর প্রতি। কিন্তু ইন্দু সব কিছু সহ্য করে যেত। তারপর একদিন হটাৎ সেই কোম্পানি এর মালিক গোবর্ধনকে তার রুম এ ডাকলে গোবর্ধন এসে দেখতে পায় যে সেখানে ইন্দু বসে আছে তারপর তার মালককে ইন্দু এর কথা জিজ্ঞেস করলে মালিক বলে ইন্দু হচ্ছে তার মেয়ে। একই সাথে সেই কোম্পানি এর CEO . এটা শুনার পর গোবর্ধন ভেবে নয় তার চাকরি হয়তোবা আর থাকবেনা। কিন্তু না , ইন্দু তাকে চাকরি থেকে বের করে না দিয়ে উল্টো তার আন্ডারে ই রেখে দেয়। কিন্তু ইন্দু গোবর্ধন এর সাথে একটাও কথা বলে না। এভাবে অনেকদিন কেটে যায় একসাথে কাজ করতে করতে , তখন একটা সময় তারা ভালো বন্ধু হয়ে যায়। ঠিক আগের মতো। তবে ইন্দু তাকে ভালোবাসো আর গোবর্ধন শুধু মাত্র বন্ধু মানত। এইটা জানার পর ইন্দু খুবই কষ্ট পায়। কেননা ইন্দু গোবর্ধনকে অনেক ভালোবাসতো। তারপর এভাবেই অনেকদিন চলে যায় , এবং ইন্দু এর বিয়ে ঠিক হয়। তাও সেটা জোরপূর্বক। ছেলের পরিবার ইঁদুর বাবাকে মারার হুমকি দিলে ইন্দু বাবা তাকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়ে যায়।
তখন গোবর্ধন ইন্দু এর বাবার সাথে দেখা করতে আসলে ইন্দু এর বাবা তাকে বলে "তুমি তো শুধু আমার মেয়ের রিপোর্ট এর জন্য এতটা রেগে আছো , তাই না ?" তখন ইন্দু সেই রিপোর্ট এ কি কি লিখেছে এবং সবার সামনে গোবর্ধনকে কিভাবে সম্মানিত করেছে , সেটা শুনার পর গোবর্ধন তার ভুল বুঝতে পারে এবং সেই সময়ই চলে যায় ইন্দু এর কাছে। তখন প্রায় বিয়ে হয়ে যাবে হয়ে যাবে অবস্থা। তারপর সেই ইন্দুকে গিয়ে সরি বলে যদিও ইন্দু অনেক কষ্ট পেয়েছিলো কিন্তু যেই করেই হোক সে ইন্দুকে মানিয়ে ফেলে এবং সেই গুন্ডাদের হাত থেকে তাকে বাঁচিয়ে আনে আর এভাবেই মুভিটি শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
সত্যি বলতে মুভিটি বেশ সুন্দর ছিল। মোটামোটি টুইস্ট ছিল এই মুভিটিতে। তাই আমার কাছে ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনাদের আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার সাথে থাকার জন্য।
মুভিটির ট্রেইলার লিংক |
---|
আমি মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি এই জাতীয় সিনেমা গুলো দেখার জন্য। আমি তাই ফালতু সময় নষ্ট করতে পছন্দ করি না যদি মনমুগ্ধকর সিনেমা হয় সেগুলো কিছুটা হলেও মনের প্রশান্তি এনে দেয়। ঠিক তেমনি এই সিনেমা গুলো দেখার পর বেশ ভালো লাগে। যাই হোক তেলেগু তামিল সিনেমার মধ্যে ভালোলাগার সিনেমা গুলো মাঝেমধ্যে আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখাবেন।
হ্যা অবশ্যই ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই মুভির রিভিউ পড়ে মনে হলো মুভিটা আসলেই খুব সুন্দর। আসলে অনেক সময় অভিনয় করতে করতে সত্যিকারের ভালোবাসা হয়ে যায়। এই মুভিতে ইন্দু যেমন প্রজেক্টের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারের রিপোর্ট তৈরি করতে করতে, গোবর্ধনকে ভালোবেসে ফেলেছে। যাইহোক অবশেষে গোবর্ধন সবকিছু বুঝতে পারে এবং ইন্দুকে মানিয়ে নেয়, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। মুভির হ্যাপি এন্ডিং দেখতে বেশ ভালো লাগে। এতো চমৎকার একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যা ভাইয়া , হ্যাপি এন্ডিং আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। যাই হোক , আপনার ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।