আধুনিকতা।
বর্তমান বিশ্ব যেভাবে আগাচ্ছে সেখানে আমরা আজকে যেগুলো কল্পনা করছি সেগুলো যে খুব শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হবে সেটা আমাদের আর বুঝার বাকি নেই। আমরা সবাই কম বেশ আমাদের বর্তমানে বিশ্ব কোন হাড়ে আধুনিকতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেটা বুঝে নিয়েছি । কিছুদিন আগে যেটা আমাদের চিন্তা ভাবনারও বাইরে ছিল , সেটা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই ধরুন মোবাইল ফোন , আমরা কি কোনোদিন ও ভাবতে পেরেছে কোন পৃথিবীর একপ্রান্তে আর আরেকজন পৃথিবীর আরেক প্রান্তে বসে বসে ভিডিও কল এর মাধ্যমে সরাসরি কথা বলতে পারবো ? এইটা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল।
আর তাছাড়া এখন যেসব নতুন নতুন আবিষ্কার দেখছি সেগুলো তো আমাদের জীবনকে আরো বেশি সহজতর করে দিচ্ছে। এই ধরুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স , এটার মাধ্যমে আমরা পুরো বিশ্বকেই একটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারছি। যে কোনো প্রশ্ন , যে কোনো কিছু জানার থাকলেই আমরা তাকে জিজ্ঞেস করার মাধ্যমে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে ফেলতে পারছি। তাহলে কি আমাদের কাজটা অনেক সহজে হয়ে গেলো না ? যেখানে আমার অনেক অনেক ওয়েবসাইট ঘাটা ঘাঁটি করে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হতো সেটা এখন ১ সেকেন্ড এর মধ্যে পেয়ে যাচ্ছি।
তবে সব কিছুরই একটা ভালো দিক থাকার পাশাপাশি খারাপ দিক অবশ্যই থাকে। এবং সেই খারাপ এবং ভালো দিক নির্ভর করে আমাদের ব্যবহার এর উপর। যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কে যদি আমরা সব সময় ব্যবহার করি তাহলে আস্তে আস্তে করে আমাদের সৃজনশীলতা লোপ পেতে শুরু করবে। কেননা আমরা যেসব কাজ নিজের মেধাকে ব্যবহার করে করতাম এখন সেটা এআই এর মাধ্যমে করে ফেলছি। তাহলে কি ব্যাপারটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর না ? অবশ্যই ক্ষতিকর। আর মোবাইল ফোন এর ক্ষেত্রেও একই , ছোট বাচ্চাদের হাতে যদি আমরা মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেই তাহলে তারা যদি সেটার প্রতি আসক্ত হয়ে যায় তখন সেটা ওর ভবিষ্যৎ এর জন্য খারাপ খারাপ হবে।
প্রযুক্তি তৈরী করা হয়েছে আমাদের কল্যাণ এর জন্য। সেটাকে কিভাবে আমাদের কল্যাণ এর জন্যই ব্যবহার করা যায় সেটাই আমরা চিন্তা করবো। সেটার মাধ্যমে যাতে আমাদের সৃজনশীলতা অথবা মনোযোগ নষ্ট না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবো। প্রযুক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো কিন্তু প্রযুক্তি যাতে আমাদের নিয়ন্ত্রণ না করে। যাই হোক , আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার সাথে থাকার জন্য।
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
প্রযুক্তির একমাত্র কারণ মানবজাতির মঙ্গল। কিন্তু সব সময় তা হয় না। আমরা আমাদের ভালো কেই খারাপ হিসেবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করি। এটাই তো মানবজাতির ধর্ম। তবে প্রযুক্তি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা আমাদেরও মেনে নেওয়াই ধর্ম। আপনি ভাল লিখেছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আজকের দুনিয়ায় প্রধান পরিচালক৷ ধীরে ধীরে পৃথিবীর দখল নেবে এই টেকনোলজি। হয়তো আগামীতে খুব তাড়াতাড়ি একটি যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসছে এই প্রযুক্তি।
প্রতিটি জিনিসের ভালো দিক থাকার পাশাপাশি খারাপ দিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের সবার উচিত খারাপ দিকটা অবশ্যই বর্জন করা। যাইহোক দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে প্রযুক্তি ততই উন্নত হচ্ছে। একেবারে ছোটবেলায় দেখতাম আব্বু বিদেশ থেকে চিঠি পাঠাতেন। এমনকি কথা রেকর্ড করে ক্যাসেট পাঠিয়েছি আমরা এবং আব্বুও পাঠাতেন। সেগুলো আমার কিছু কিছু মনে আছে। তারপর কিছুদিন পর থেকেই মোবাইলে কথা বলতে পারতাম আব্বুর সাথে। আর এখন তো ভিডিও কলে কথা বলা যায় যে কারো সাথে। যাইহোক এভাবেই আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো। কিন্তু খারাপ দিকটা অবশ্যই বয়কট করতে হবে। এতো সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ প্রতিটা বিষয়ের ভালো দিকের পাশাপাশি অবশ্যই একটা মন্দ দিক থাকে তবে আপনি সেই বিষয়টি কোন দিক থেকে ব্যবহার করছেন সেটা মুখ্য বিষয়।