বায়ু দূষণ।

বর্তমানে আমাদের এই পৃথিবী যেভাবে দূষিত হচ্ছে , কিছু বছর পর যে মানুষ এর বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে আমাদের এই পৃথিবী তা আমরা এখন থেকেই অনুমান করতে পারছি। আমাদের পৃথিবী দূষিত শুধু একটা দিক থেকেই হচ্ছে না , অনেক গুলো কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে আস্তে আস্তে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। দূষণ গুলোর মধ্যে বায়ু দূষণ , পানি দূষণ এইগুলো হচ্ছে অন্যতম। আজকে আমি মূলত বায়ু দূষণ নিয়ে কিছু কথা বলবো। যদিও আমার খুব বেশি একটা জ্ঞান নেই এই সম্পর্কে তবে যতটুকু জানি সেটাই শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমের বলবো কালো ধোয়া নিয়ে। এই কালো ধোয়া আমাদের পৃথিবীর বায়ুতে মিশে আমাদের বায়ুকে দূষিত করছে। এই কালো ধোয়ার মধ্যে থাকে ক্ষতিকর কিছু গ্যাস। যেমন কার্বন মনোক্সাইড। এইসব ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুতে মিশে , বায়ুতে এই গ্যাস এর পরিমান বৃদ্ধি করছে। যার কারণে আমাদের বায়ু দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যেমন , কলকারখানার বর্জ্য গুলো যখন পুরানো হয় তখন পুড়ানোর ফলেও অনেক ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন হয়। যেগুলো আমাদের বায়ুকে দূষিত করে দিচ্ছে। এইগুলোই হচ্ছে বায়ুদূষণের বর্তমানে সব থেকে মূল কারণ গুলো।

যদিও আরো অনেক কারণ আছে যেগুলো সরাসরি বায়ু দূষণে অংশগ্রহন না করলেও এই গুলোর কারণে আমাদের বায়ুদূষণ হচ্ছে। যেমন ধরুন গাছ কাটা। গাছ আমাদের বায়ু দূষণ অনেকটা রোধ করে । আর তাছাড়া গাছ পালা আমাদের বায়ুতে অক্সিজেন এর মাত্রা বরাত। আমাদের এই গাছ কাটার কারণে পৃথিবী আরো বেশি দূষিত হচ্ছে। আর সত্যি কথা বলতে এভাবে যদি আমরা নিজেদের এখনো পর্যন্ত না শুধরাই তাহলে আমার পৃথিবী আসলেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো যাতে আমরা এখন থেকে আমাদের পরিবেশ এর প্রতি যত্নশীল থাকি। বিশেষ করে সেইসব জিনিস গুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবো যেগুলো আমাদের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কেননা আমাদের আর দেরি করা যাবে না , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা চেষ্টা করবো আমাদের পরিবেশের ক্ষতি এড়িয়ে চলতে। যাই হোক , আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে পোস্ট টি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।