ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
আমার এখনো মনে পরে আমরা ছোট বেলায় আমাদের শিক্ষকদের বাঘের মতো ভয় পেতাম। যদি রাস্তায় কোনো ভাবে দেখা হতো তাহলে অনেক আগে থেকেই রেডি হয়ে থাকতাম স্যার কাছাকাছি আসলে উনাকে সালাম দিতে হবে। উনাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ছিল অসীম। হাজার কথা শুনালেও মুখে একটা কথা বলার মতোও সাহস ছিল না। তখনকার শ্রদ্ধা ছিল একদম খাঁটি শ্রদ্ধা। এবং বড়দের কাছ থেকে আমরা যে ভালোবাসাটা পেয়েছি সেটাও সত্যি বলতে একদম খাঁটি ছিল। উনাদের আমাদের সব সময় মঙ্গল কামনা করতো। এবং সব সময় ছোট হিসেবে আমাদের স্নেহ এবং ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতো।
উপরের সব গুলোই সত্যি বলতে এখন অনেক কম দেখতে পাওয়া যায়। দিন দিন মানুষের প্রতি মানুষের যেমন ভালোবাসা কমছে তেমনি মানুষে মানুষে শ্রদ্ধা , সম্মান সব কিছুই কমে যাচ্ছে। কেননা আপনি এখনার যুগের অনেকে ছেলে মেয়েকে লক্ষ করলে দেখবেন তাদের মধ্যে আমাদের মতো শিক্ষক বা বাবা মার্ প্রতি তেমন শ্রদ্ধাটা নেই। এখন এমন একটা পরিস্থিতি যে রাস্তায় যদি কোনো শিক্ষক এর সাথে তাদের দেখা হয় তাহলে তারা হয় পাশ কাটিয়ে চলে যাবে অথবা তারা তাদের রাস্তায় পরিবর্তন করে ফেলবে। যদিও আমি এখানে সবার কথা বলছি না , তবে এখনকার সময়ের বেশিভাগ ছেলে মেয়েরাই এমন।
এবং সত্যি বলতে শুধু ছোটদের বললেও ব্যাপারটা খারাপ হবে। যুগের সাথে সাথে আমাদের পুরো মানব জাতির মধ্যেই একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আকাঙ্খা থাকে ছোটদের থেকে সম্মান পাওয়ার কিন্তু ছোটদের ভালোবাসার দেয়ার থেকে আমরা একদম পিছিয়ে। আসলে আমরাই হচ্ছে ছোটদের পথ প্রদর্শক , আমরা যদি ছোটদের সাথে সুন্দর ভাবে ব্যবহার না করি বড় হয়ে তারাও আমাদের মতো ছোটদেরকে ভালোবাসা ও স্নেহ দিতে শিখবে না। তাই আমাদেরও সব সময় ছোটদের ভালোবাসা এবং স্নেহ দিতে হবে যাতে তাদের বিকশিত মনএ মানুষকে যে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে হয় সেটা তৈরী হয়।
আজকে এই পোস্টটি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে আমাদের মধ্যে কিছুটা হলেও শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার আবির্ভাব ঘটে। যাতে আমরা ছোটদের সুন্দর ভালো ভালোবাসতে পারি এবং তারা যাতে সেটার মূল্য বুঝতে পারে । এবং তাদের মধ্যে বড়দের সম্মান করার মতো একটা মন মানসিকতার তৈরী হয়। এতে যেমন আমাদের মধ্যে আরো মিলবন্ধন তৈরী হবে তেমনি এই ভালোবাসা আমাদের মানব জাতির জন্য অনেক মঙ্গলজনক হবে। আজ এই পর্যন্তই , আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের পোস্টটি ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আসলেই দিন দিন অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। আগে ছোটরা বড়দের কে সম্মান করতো আর বড়রা ছোটদেরকে স্নেহ করতো। তবে এখন ছোট-বড় সবাই বন্ধুর মতোই আচরণ করে। আর তার জন্য ছোটরাও বড়দেরকে বন্ধু মনে করে তেমন একটা সম্মান দিতে চায়না। যদিও বা এগুলা আমি কিছু মানুষদের ক্ষেত্রেই বলছি। আর যেহেতু আগের ঘটনা গুলো দেখিনি তাই সেগুলো সম্পর্কে বলতে পারবো না। যাইহোক পাশ কাটিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার যে কথাটা বললেন আমার মনে হয় এরকমটা খারাপ স্টুডেন্টরা বেশিরভাগ করে থাকে। আবার যারা স্যারকে পাত্তা দিতে চায় না,আবার যারা স্যার কে বেশি ভয় পায় তারাও এমনটা করে থাকে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় শুনতাম বড়দেরকে শ্রদ্ধা এবং ছোটদেরকে স্নেহ করতে হবে। আমরা কিন্তু সবসময় এমনটাই করতাম। তাছাড়া টিচারদের তো প্রচুর সম্মান করতাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। টিচারদেরকে সম্মান দিবে তো দূরে থাক,বরং তাদেরকে হুমকি দেয় রাস্তায় পেলে মারধর করবে। তাছাড়া বড়দেরকে দেখলে সম্মান না দিয়ে, সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট পর্যন্ত খায়। মোটকথা এখনকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ নেই বললেই চলে। সামনে যে আরও কতো কিছু দেখবো, সেটাই ভাবছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পরিবর্তন তো হবেই আপু তার অর্থ তো এটা না আমরা শালীনতা ভদ্রতা শ্রদ্ধাবোধ একেবারে ভুলে যাব। বতর্মান জেনারশনের মধ্যে এই সমস্যা টা প্রবল। শিক্ষকদের তো গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করে না তারা। বাবা মা কে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন ও মনে করে না। অবস্থা খুবই শোচনীয়।।
আমি বলবো শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আর নমনীয়তা এসব কিছু পরিবার থেকে শিখিয়ে নিতে হয় বাচ্চাদেরকে। কারণ আমি যখন বাচ্চাকে শ্রদ্ধা, ভালবাসা, নমনীয়তা শিখাবো তখন বাচ্চা এমনিতেই শিখে নিবে। একদম ঠিক বলছেন এখনের বাচ্চাদের এবং বড় মানুষদের কাছেও এসব কিছুর উপস্থিত লক্ষ্য করা যায় না।
শুধু ছোটবেলায় না আপু, এখনো আমাদের সেই পুরনো দিনের শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে সম্মান প্রদর্শন করি এবং তাদের সাথে শ্রদ্ধার সাথে কথা বলি। কিন্তু বর্তমান জেনারেশনের ছেলেপেলের ভিতর এই ব্যাপারটা নেই, এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে এখনকার শিক্ষকদের ভিতরেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে, এজন্য তারা সঠিক সম্মান পায় না কিংবা তাদের সম্মান দিতে চায় না বাচ্চারা। এটা ঠিক যে, আমরা যারা বড় আছি তারা যদি ছোটদের সাথে ভালো ব্যবহার করি,তাহলে হয়তো তারাও পুনরায় আবার আমাদের সম্মান করবে।