সম্মান।
আমাদের জন্মের পর আস্তে আস্তে বড় হওয়া শুরু করার সাথে সাথে আমাদের একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য যেসব গুণাবলী দরকার হয় সেইগুলো শিখানো হয়। ছোটদের স্নেহ এবং বড়দের সম্মান , মিথ্যা না বলা ইত্যাদি ইত্যাদি। সত্যি কথা বলতে আমাদের সমাজে সবাইকেই কম বেশি আদর্শ ব্যক্তি হওয়ার জন্য যেসব গুণাবলী সব গুলোই শিক্ষা দেয়া হয়। আপনি দেখবেন একটা ছোট বাচ্চাকে কোনোদিনও আমরা মিথ্যা কথা অথবা কারোর সাথে খারাপ ব্যবহার এইসব কিন্তু মোটেও শিখাই না। তাদেরকে ছোট থেকেই ভালো অভ্যাস এর শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু সবাইকে যদি ছোট বেলা থেকে ভালো খারাপ চেনানো হয় তাহলে আমাদের আসে পাশে যে এইসব খারাপ মানুষদের আনাগোনা তারা কোথায় থেকে আসলো ?
এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু পরে আলোচনা করছি। প্রথমে আশা যাক সমাজের সব থেকে লক্ষণীয় একটা বিষয় , কাউকে সম্মান না দেয়া। বর্তমান সময়ের তুলনায় আমাদের সময়কার তুলনা যদি করি পার্থক্যের শেষ হবে না। প্রযুক্তিগত দিক থেকে , পরিবেশের পরিবর্তন এমনকি মানুষের ব্যবহার। যুগের সাথে সাথে কেন জানি মানুষ তাদের সভ্যতা হারিয়ে ফেলছে। সত্যি কথা বলতে , আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বড়দের সাথে তর্ক তো দূরের কথা চোখে চোখ রেখেও কথা বলতে পারতাম না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বড়দের সাথে তর্ক করা যেন তাদের স্বাভাবিক মনে হয়।
যাই হোক , এই ব্যাপারটা সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই। তবে আমার মনে হয় আমাদের বর্তমান ছেলেমেয়েদের সভ্যতার সম্পর্কে আরো বেশি জ্ঞান দেয়া উচিত। যাতে করে তারা ছোট থেকেই সকলকে সম্মান দিতে শিখে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এখন তাদের হাতে। তাদের জাতি আমরা সঠিক শিক্ষা দিতে পারি এবং একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি তাহলেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সার্থক হবে। তবে শুরুতে যে বললাম , ছোট বেলায় আমাদের সকলকেই কম বেশি ভালো শিক্ষা গুলো দেয়া হয় কিন্তু তারপরও আমাদের চারপাশে খারাপ মানুষের অভাব নেই।
এইগুলো হয় মূলত স্বার্থপরতার জন্য। তবে আমি মনে করি এইসব জায়গায় পারিবারিক শিক্ষা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখাযায় আমরা তাদের সামনেই কোনো ভুল কাজ করে ফেলি , যেমন কারোর সাথে মিথ্যা বলা অথবা কারোর সাথে খারাপ ব্যবহার করা। এইসব কারণে তারাই আস্তে আস্তে এইসবএ অভভস্থ হয়ে যায়। তাই আমি মনে করি , আমাদের বাবা মায়েদের আরো সাবধানতা অবলম্বন করে আমাদের বাচ্চাদের সঠিক শিক্ষায় বড় করা উচিত। তো আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ , ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে পারিবারিক শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো প্রতিটি মানুষের উচিত বড়দেরকে সম্মান দেওয়া এবং ছোটদেরকে স্নেহ করা। বেশ কয়েক বছর আগেও প্রতিটি সমাজে এমন চিত্র দেখা যেতো। কিন্তু এখন আসলে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে। কারণ দিনদিন বেয়াদবের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাইতো বড়দেরকে সম্মান না দিয়ে, উল্টো তর্ক করে থাকে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আমাদের সবার আগে দরকার পারিবারিক শিক্ষা। আমরা যতই শিক্ষা গ্রহণ করি না কেন পারিবারিক শিক্ষা ছাড়া আমাদের কিছুই করা যায়। আর যার পরিবেশ যেমন শিক্ষা তার তেমনি হবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
একটা বিষয় কী আপু যারা সম্মান পাবার যোগ্য তাদের সম্মান দিতে হবে। এটা যদি কেউ না দেয় ভবিষ্যতে সে নিজেও কারো থেকে সম্মান পাবে না। আর এটার পেছনে পারিবারিক শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। খুবই চমৎকার লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে সবার আগে পারিবারিক শিক্ষাটা থাকতে হবে। ছোটবেলা থেকেই একটা বাচ্চাকে শেখাতে হয় কোন জিনিসটা ভুল আর কোন জিনিসটা ভালো। যাদের মধ্যে পারিবারিক শিক্ষা নেই, তারা কখনো অন্যদেরকে সম্মান দিতে জানে না। তারা সম্মান দেওয়ার পরিবর্তে তর্ক একটু বেশি করে। তাই বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকে পারিবারিক শিক্ষাটা দিতে হবে ভালোভাবে। তবেই তারা ছোট বড় সবাইকে সম্মান করবে। আপনি অনেক সুন্দর করে সম্মান নিয়ে আজকের লেখা লিখেছেন।
একটা বাচ্চা সব থেকে বেশি জ্ঞান অর্জন করে তার পরিবার থেকে। তবে এখনকার পরিবারগুলো বাচ্চাদের শাসন করার পরিবর্তে আদর করে বেশি। আমাদের সময় বাচ্চাদের যে জ্ঞান দেওয়া হতো তারা সেগুলো শুনত, তবে এখনকার বাচ্চা সেগুলো শুনতে চায় না। তাই আমার মনে হয় যে বাচ্চাদের নম্রতা শেখাতে পরিবারের গুরুত্ব অবশ্যই সব থেকে বেশি।