থেমে যেতে নেই || বাংলা নাটকের রিভিউ
থেমে যেতে নেই বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবার একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আজকে যে নাটকটি নিয়ে আমি রিভিউ করবো সেই নাটকটি কোনো রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পকে কেন্দ্র করে না তবে যদিও ভালোবাসার একটা অধ্যায় ছিল এই নাটকে। মূলত একটা জীবন কাহিনীর উপর নির্ভর করে এই নাটকটি নির্মিত। সত্যিই দারুন একটা নাটক, এতে করে আমাদের তরুণদের অনেক কিছু শিখার আছে। আশা করছি আপনাদের কাছেও এই নাটকের আমার রিভিউটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | থেমে যেতে নেই |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | জামাল হোসাইন |
অভিনয়ে | জোভান , আয়শা খান ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | মে ১৬ , ২০২৪ |
সময় | ৪৮.১৭ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
---|
নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই যে জোভান অর্থাৎ আমাদের এই নাটকের অভিনেতা তার প্রেমিকার বাসায় তার বাবার সাথে কথা বলছে আর তার প্রেমিকা হচ্ছে আয়শা। সেখানে তার বাবা জোভান বিসনেস ম্যান হতে চায় দেখে কোনো ভাবেই উনি রাজি হচ্ছে না উনার মেয়েকে জোভান এর কাছে তুলে দিতে। তারপরই সিন শিফট হয় একটা অনুষ্ঠানে। যেখানে জোভান তার ভার্সিটি লাইফ শেষ করা ইউনিভার্সিটি তে গিয়ে একজন সফল ব্যাবসায়ী হওয়ার বক্তিতা দিচ্ছিলো। তখন সে জিজ্ঞেস করে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের যে তাদের মধ্যে কতজন চাকরি এবং কত জন বিসনেসম্যান হতে চান। তার মধ্যে প্রায় সবাই বলে তারা চাকরি করবে আর মাত্র ৩ জন হাত তুলে বলে যে তারা একজন সফল ব্যাবসায়ী হতে চায়।
তারপর জোভান এর বক্তব্য শেষে সেই ৩ জন তার কাছে আবদার করে তার এই সফল একজন ব্যাবসায়ী হয়ে উঠার গল্প শুনার । তারপর জোভান শুরু করে তার সেই ভার্সিটি লাইফ এর থেকে। শুরু থেকেই সে চেয়েছিলো একজন সফল ব্যাবসায়ী হতে। তবে এই ক্ষেত্রে তার প্রেমিকা এবং তার মা কেউই তেমন বেশি একটা সাপোর্ট দিতো না। তবে তার বাবা বেশ ভালো সাপোর্ট দিতো উনার ছেলেকে। শবে মাত্র সে তার ভার্সিটি লাইফ শেষ করেছে। এখন বিসনেস শুরু করার পালা তখন সে কি নিয়ে বিসনেস করবে সেটা ভেবে পাচ্ছিলো না। তো একদিন সে তার প্রেমিকাকে নিয়ে রাস্তার পাশে বসে গল্প করার সময় একটা পানির বোতল রাস্তার পাশে ফেললে দেখতে পায় যে একটা টোকাই এসে সে বোতলটা নিয়ে যায়। তারপরই ওর মাথায় একটা চিন্তায় আসলো এমন এইসব ভাঙারি জিনিস নিয়ে ব্যবসা করলে কেমন হয়। তবে তার প্রেমিকা একদমই নারাজ ছিল এই ব্যাপারে। সে কোনোভাবেই চাচ্ছিলোনা জোভান এই ভাঙারি গুলোকে নিয়ে ব্যবসা করুক।
তবে জোভান মোটেও থামার পাত্র নয়। তার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে তার বিসনেস শুরু করে দেয়। তবে নতুন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তাকে বেশ হয়রানি হতে হয়েছিল। তবে সে কোনো ভাবেই দমে যায়নি।নিজের আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং মোটামোটি সে ভালো করতে শুরু করে নিজের ব্যাবসায় সেই মুহূর্তে তার প্রেমিকার বাসা থেকে চাপ আসলে আয়শা জোভানকে বলে তার বাবার সাথে দেখা করতে এবং সেই প্রথমে আমাদের এটাই দেখানো হয়েছিল। বাবা রাজি হয়নি দেখে আয়শাকে অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে বসতে হয়। তা আজ প্রায় ৬ বছর , হটাৎ জোভান এর কাছে কল আসে তার একজন কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তখন ফোন সেই এমপ্লয়িকে কল করলে আয়শা তার কল ধরে এবং সে জানতে পারে আয়শা হচ্ছে তার এমপ্লয়ি এর স্ত্রী। সেই সেটা এতদিন জানতো না। এবং হাসপাতালএ তাদে প্রায় ৬ বছর দেখা হয়। আরএখানেই নাটকটি শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
নাটকটি আমার কাছে বেশি ভালো লাগার কারণ হচ্ছে এই নাটকটির দ্বারা আমাদের বেশ অনেক কিছু শিখার আছে। আসলে বর্তমান সময়ে আমাদের ছেলেরামেয়েরা যেভাবে চাকরির পিছনে দৌড়কাচ্ছে এভাবে করতে থাকলে দেশে বেকারত্বের হার অনেক বেড়ে যাবে। তাই আমাদের চিন্তা ভাবনা প্রসারিত করতে হবে। জীবনে রিস্ক না নিলে সফল হওয়া বেশ কষ্টকর। বেশ সুন্দর একটি নাটক ছিল আমার মতে ।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপু জোভানের নাটক গুলো আমি প্রায়ই দেখে থাকি বেশ ভালো লাগে। আর যখন এর সাথে আয়েশা এদের জুটি খুবই ভালো লাগে আমার সেই সাথে নাটকগুলো সেই লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান জীবনের উদ্দেশ্য হয়ে গিয়েছে চাকরি যেটা সবার ভাগ্যে খুবই কম জোটে। সেজন্য নিজের চিন্তা ভাবনা কাজে লাগিয়ে নিজে কিছু করার ইচ্ছাটা তৈরি করে অগ্রসর হতে হবে। তাহলে চাকরি থেকে ভালো কিছু করা সম্ভব। যেটা দেশকে এবং সমাজকে বুঝিয়ে দিতে হবে । এই ধরনের নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে শিক্ষামূলক নাটক।
এই নাটকটি আমি এর পূর্বে দেখেছি একবার, আসলে সত্যি বলতে আমাদের এই সমাজ এখন সবাই চাকরির পিছনে দৌড়াচ্ছে আর এমন যদি ঘটতে থাকে তাহলে অবশেষে এমন হয়ে যাবে যে মানুষ চাকরি খুঁজে পাবে না কারণ কেউ যদি ব্যবসা না করে সেক্ষেত্রে চাকরি দিবে কে? যাইহোক এই নাটক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে খুব সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করেছেন।
বাহ্! দারুণ একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু। রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম এই নাটকটি বেশ শিক্ষণীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই ব্যবসা পছন্দ করি। চাকরির প্রতি আমার মন একেবারেই টানে না। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তা হতে পারলে বেশি ভালো হয়। কারণ চাকরির বাজার খুবই খারাপ। যাইহোক জোভান সবসময়ই খুব ভালো অভিনয় করে থাকে। এই নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। তবে বর্তমান সময়ে বেশ এমন শিক্ষনীয় নাটক দেখা যায়। তবে প্রেম পিরিতির নাটকের মধ্যে শিক্ষনীয় বেশ কিছু বিষয় থেকে থাকে সেগুলো আমরা যদি বোঝার চেষ্টা করি এবং দেখার চেষ্টা করি এই থেকে কিন্তু অনেক উপকার হয়।
বাহ্ দারুণ একটা পোস্ট শেয়ার করছেন আপু।আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। কিন্তু নাটকটি ডাউনলোড করে রাখছি। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল। খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও নাটকটি আগে কখনো দেখা হয়নি, তবে আপনার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই এই নাটক দেখে বর্তমান তরুণদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। তার জন্য চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজের বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া উচিত। ঠিক বলেছেন আপু জীবনের রিস্ক না নিলে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আপনার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ আপু এত শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এটি দেখে। আসলে নাটকের রিভিউ দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এমনিতে নাটক দেখার সময় পাইনা তারপরেও রিভিউ দেখলে দেখার চেষ্টা করি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
এই নাটকের মাধ্যমে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে আপু। যে হারে সবাই চাকরির পিছে দৌড়াচ্ছে তাতে করে বেকারত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর এটা একপ্রকারের সমস্যায় রূপ নিচ্ছে। আয়শা খান আমার খুবই পছন্দের একজন অভিনয় শিল্পী। ইদানিং উনার অভিনয় দেখতে ভালোই লাগে। দারুন একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু।