স্বরচিত কবিতা - কৃতজ্ঞতা
কৃতজ্ঞতা, আমাদের বিপদের সময় কেউ আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা তাকে কত ভাবেই না আপ্যায়ন করি বা করার চেষ্টা করি। আর এই উপকারের কথা আজীবন মনে রাখি। কিন্তু যিনি আমাদের প্রভু সব সময় আমাদের সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে যাচ্ছেন, প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের একের পর এক নিয়ামত দান করে যাচ্ছেন, উনার কৃতজ্ঞতা কি কখনো প্রকাশ করতে পেরেছি সঠিকভাবে??
না কারণ, আমরা আজও ডুবে আছি পৃথিবীর মায়ায়। এই মায়া ভরা পৃথিবীতে ডুবে গিয়ে আমরা সত্যিকারের জীবনের কথা ভুলে যাচ্ছি। এটাই কিন্তু আমাদের স্থায়ী জীবন নয়। যে জীবনে ফিরে গেলে কখনো মৃত্যু আসবেনা। আমাদের সেই জীবন থেকে ফিরিয়ে দিতে আমরা সেই জীবনের চিন্তা না করে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত।
যে প্রভু আমাদের এত নিয়ামত দান করে যাচ্ছেন তার শুকরিয়া আদায় আমরা করছি না বললেই চলে। দিনের পর দিন নাফরমানিতে লিপ্ত হচ্ছি। কি জবাব দেব!!! যেদিন সকল প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। যাইহোক, আজকে আমি এমনি কিছু বিষয় বস্তু নিয়ে কৃতজ্ঞতা নামে একটি কবিতার কিছু লাইন লিখেছি ও মনের অনুভূতি দিয়ে মনের কথা গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার লেখা কবিতার লাইন গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.......
কৃতজ্ঞতা |
---|
তবুও পেয়েছি অনেক কিছু,
আমার রব আমাকে অসন্তুষ্ট রাখেননি
তবুও আমি ছাড়ছি না পৃথিবীর পিছু।
ভাবছি না একবারও পরকালের কথা,
যে রব আমাদের ভালোবেসেই যাচ্ছেন
আমরা শুধু দিচ্ছি তাকে ব্যথা।
অভাব পাইনি কোনো দিকে,
কিন্তু যখন ভাবি পরকালের কথা
পৃথিবীর সব হয়ে যায় ফিকে।
হয়ে যায় অসহায়,
এদিকে তাকাই সেদিকে তাকাই
পাইনা তো কুল ঠাই।
প্রিয় আপন মানুষগুলো,
তাদেরই স্বার্থে বিলিয়ে দেই মোদের
শেষ সম্বলগুলো।
অন্তর ভীতর বাহির সবকিছুই জানে,
আমরা কজনই বা ডাকি তারে
কজনই বা তারে মানে।
মোটেও যার যোগ্য নই,
কতইনা ভালোবাসেন প্রভু মোদের
এত কৃতজ্ঞতা কোথায় থুই।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আসলেই আপু আমরা পৃথিবীর রং তামাশা তে এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছি,আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করার সময় পর্যন্ত হয়ে উঠে না। আমরা কিন্তু ভুলেই গিয়েছি আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, সৃষ্টিকর্তার ইবাদত বন্দেগি করার জন্য। কিন্তু আমরা কাজের কাজ না করে, অযথা হেলাফেলায় জীবনটা শেষ করে দিচ্ছি। সৃষ্টিকর্তার এতো এতো নেয়ামত ভোগ করছি, কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি না। আমাদের সবার উচিত সৃষ্টিকর্তার অনুগত্য স্বীকার করা এবং বেশি বেশি সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা। যাইহোক চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন আপু। কবিতাটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পৃথিবীর মায়ায় পড়ে সত্যি আমরা ভুলে গিয়েছি আমাদের আসল ঠিকানা। সৃষ্টিকর্তা কখনোই আমাদের নিরাশ করেন না। দেন সবকিছু। কিন্তু আমরা তাকে মনে রাখিনা। আমাদের খারাপ সময়ে আমাদের অনেক কাছের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়ায় না। কিন্তু আমাদের সৃষ্টিকর্তা ঠিকই থাকে আমাদের পাশে। কবিতা টা অসাধারণ লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে সুন্দর একটা কবিতা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপু আপনার লেখা কৃতজ্ঞতা শিরোনামের কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আপু আমরা পৃথিবীর বুকে যতই স্বাচ্ছন্দ্যে থাকি না কেন মৃত্যুর কথা ভাবলে কিংবা পরকালের কথা ভাবলে সবকিছুই কেমন যেন শূন্য হয়ে যায়। আসলে পরকাল হলো আমাদের আসল ঠিকানা। তাই আসল ঠিকানায় সফল হওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ধর্মীয় নিয়ম নীতিগুলো বাধ্যতামূলকভাবেই মেনে চলা উচিত।