নিয়মিততা।

আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু বদঅভ্যাস থাকে যেগুলোর থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই কিন্তু সেইগুলো অভ্যাস এ পরিণত হওয়ার কারণে অতটা সহজে সেই অভ্যাস কে ত্যাগ করতে পারিনা। তবে আমি আজকে আপনাদের এমন কিছু উপায় বলবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার বদঅভ্যাস গুলো সহজেই ত্যাগ করতে পারবেন। যদিও সেই প্রক্রিয়াটা সময় সাপেক্ষ কিন্তু অনেক কার্যকরী। এবং আমি মনে করি এইভাবে যদি আপনি আপনার বদঅভ্যাস গুলো ত্যাগ করেন তাহলে আপনার তত বেশি কষ্টও করতে হবে না। খুব সহজেই আপনি সেইসব অভ্যাস গুলো থেকে মুক্তি পাবেন।

প্রথমেই আশা যাক নিয়মমাফিক কাজ নিয়ে। আসলে মানুষ হচ্ছে অভ্যাস এর দাস । কোনো বদঅভ্যাসকে যদি তাড়াতে হয় তাহলে সেটা আবার অভ্যাস গড়ে তুলার মাধ্যমেই ত্যাগ করতে হবে। সহজ ভাষায় , কোনো বদঅভ্যাসকে তাড়ানোর জন্য সেই বদঅভ্যাসকে না করার অভ্যাস তৈরী করতে হবে। যেমন ধরুন , আমাদের আসে পাশে অনেকেই আছে যারা ধূমপান করে। এখন তারা যদি সেই ধূমপান এর অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তাকে ধূমপান না করার অভ্যাস তৈরী করতে হবে। আর এখানেই হচ্ছে মূল কথা। আসলে বলা যতটা সহজ করা ততটাই কঠিন। তাই কেউ যদি অভ্যাস এর পরিবর্তন করতে চায় তাকে অবশ্যই আস্তে আস্তে অভ্যাস গুলোকে পরিবর্তন করতে হবে।

এবং কেউ যদি হুট্ করে সব কিছু ছেড়ে দিবে বলে তাহলে সেটা ভুল। সে কোনোদিনও পারবে না। এই ট্রিকসটা সত্যিই অনেক কার্যকর। এমনকি আমাদের মহানবী (সা.) কোনো বদঅভ্যাস ত্যাগ করার জন্য ঠিক এই পরামর্শটি দিয়েছেন। এতে করে যেমন খুব বেশি কষ্ট হয়না তেমনি এটা খুবই কার্যকরী একটা উপায়। আরো একটা টিপস হচ্ছে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখা। এতে করে আপনার সেই অভ্যাস এর কথা মনেই থাকবে না। যত বেশি নিজেকে ব্যস্ত রাখা যাবে ততই সহজে আপনি আপনার বদঅভ্যাস ভুলতে পারবেন।

তাই আমি মনে করি সব থেকে বড় কথা হচ্ছে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। এতে করে সব কিছুই সহজ হয়ে যাবে। আপনারা আপনাদের মতামত অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। যাই হোক , আশা করছি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধৈর্য সহকারে এতক্ষন অব্দি পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ আপনাদের।