আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ভৌতিক কাহিনী
একটি ভৌতিক কাহিনী
আজকে আমি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সত্যি কারের একটি ভৌতিক কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আমি তখন অনেক ছোট। বয়স বারো কি তেরো হবে। চট্টগ্রামে বাবার চাকরির সুবাদে জন্মের পর থেকে সেখানেই বড় হয়েছি। বাসা বাড়িতে থাকতাম, বাবার চাকরির ট্রান্সফারের কারণে হয়তো বছরের কয়েকবার বাসা চেঞ্জ করতে হতো । আমরা কিন্তু তেমন বড়লোকি ফ্যামিলি ছিলাম না তবে বলতে পারেন মধ্যবিত্ত।
যেমনই হোক ছোট থেকে কখনো কোনো কিছুর অভাব অনুভব করিনি। পরিবারের সকল সদস্য মিলে সাতজন হওয়া সত্ত্বেও বাবাকে কখনো পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে দেখিনি। চলে যেত এভাবেই, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত আর বছর। হঠাৎ একদিন বুঝতে পারলাম আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আসতে চলেছে। আমাদের সকলের আদরের নাদুস নুদুস ছোট ভাই, দেখতে দেখতে মাস পার হতে লাগলো। আর একদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের ঘর উজ্জ্বল করে আসলো আমাদের ছোট ভাই, আনন্দের কোন সীমা নেই, আমরা প্রত্যেকে অনেক বেশি খুশি হয়েছি এই মুহূর্তটাকে ঘিরে। আর এভাবে দেখতে দেখতে চল্লিশ দিন পার হয়ে গেল।
ঘটনা ঘটলো এরপর। সময় তখন সন্ধ্যা ৭ টা। বাবা একটি বিশাল কাতলা মাছ নিয়ে আসলো। যদিও মাছটা বাসায় রেখে বেশি দেরি করতে পারেনি। অফিসের ব্যস্ততার কারণে চলে গিয়েছিল। আম্মু মাছটাকে ভালো করে কেটে কুটে ধুয়ে রান্না করল। সময় গড়াতে গড়াতে রাত 9:00 টা বেজে গেল। বাবার এখনো অফিস থেকে আসার খবর নেই। আমার তো বড্ড ক্ষুধা পেয়ে গেছিল বড় মাছ বলে কথা।
তাই আর দেরি না করে মাকে খাবার রেডি করতে সাহায্য করছিলাম। আচ্ছা এখানে কিছু কথা বলি, আমাদের বাসাটা ছিল তিন রুমের একদম ত্রিভুজ আকৃতির। আর মাঝেই ছিল কিচেন রুম, তাই রুমের পিছনের দরজা খুলে আমাদের কিচেন রুমে যেতে হতো।
আপু পিছনের দরজা খুলে কিচেন রুমে গিয়েছে কিছু জিনিস আনতে। আর আমি খাবার রেডি করতে একটি মেট বের করছিলাম। যেটাতে আমরা বসে সবসময় খাবার খেতাম। যেই না আমি দরজা বরাবর গিয়ে মেট নেব এমনিতেই হঠাৎ একটা কালো অবয়ব দেখলাম, আমাদের কিচেন রুমের বাহিরে থেকে মেইন ঘরে ঢোকার জন্য চৌকাঠে পা রাখল।
আমি হঠাৎ দেখে থমকে গিয়েছিলাম, মাথা নিচু করে মাদুর ধরে রেখেই দরজার চৌকাঠে কে দাঁড়িয়ে তার যাচাই করছিলাম, দেখতে একদম বন মানুষের মতো, হাতে পায়ে পুরো শরীরে কালো বড় বড় লোম।
আমি প্রথমে কি ভাববো বুঝতেই পারছিলাম না। ভয়ে আমার মাথা কাজ করছিল না, যেই না হাল্কা আন্দাজ করে কিছুটা নরে উঠলাম এমনিতেই ওই কালো বন মানুষের মতো অবয়ব টা চলে গেল। আর তো আমার বুঝার বাকি নেই এটা আমি কি দেখলাম। এক চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে আছাড় খেয়ে মেজেতে পরে গেলাম।
তারপর কি হলো বুঝতেই পারছেন। পরে জ্ঞান ফিরে আসার পর দেখলাম সবাই আমার পাশে বসে আছে বাবা ও আছেন। জিজ্ঞাসা করলো কি হয়ছে আমার আমি কি দেখেছি ৷ পরে সব খুলে বললাম।
তারপর শুধু এই ঘটনায় নয় আরও অনেক কিছু ঘটে গেছে আমার লাইফে আরও একদিন সময় করে গল্পের মাধ্যমে শেয়ার করবো। তবে এটাই ছিল আমার জীবনের সব থেকে ভয়ঙ্কর একটা সত্যি ঘটনা। যেটা আমি একদম স্পষ্ট নিজের চোখের সামনে দেখেছি। যা একদমই ভুলার মতো নয়।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপু আপনার ঘটনাটা পড়ে আমার শরীরের লোমগুলো শিউরে উঠেছিল। হয়তোবা আপনার সাথে ঘটনাটি ঘটেছে দশটা প্রায়ই বাজে। ঠিক এই সময় যদি দেখতে পারেন একদম বন মানুষের মতো গায়ে সমস্ত লোমে ডাকা এমন কিছু দেখলে এমনিতেই ভয় পেয়ে যাবে। আপনার লেখা পড়ছিলাম এবং মনে মনে ভাবছিলাম আসলে এমন অবস্থায় নিজের কোন হুশ থাকে না। যাহোক ওই সময় আপনার খুব বেশি কোন ক্ষতি হয়নি এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ভৌতিক কাহিনীর পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার গল্পটি সত্যিই ভীষণ ভয়ঙ্কর ছিল । এ ধরনের ঘটনা কারো সঙ্গে ঘটলে তার তো ফিট হয়ে যাবারই কথা । আপনি ভালো করে আবার দেখেছিলেন জেনেও বেশ অবাক লাগলো । আমি হলে তো ভয়েই শেষ হয়ে যেতাম । দ্বিতীয়বার চাওয়ার সাহস পেতাম না ।যাই হোক বেশ ভালো ছিল গল্পটি ধন্যবাদ।
ওরে বাপরে বাপ আমি হলে তো জ্ঞান হারাতাম না একদম মরেই যেতাম গো আপু। এমন জিনিস দেখলে তো ভয়ে শরীরে কাপুনি ধরে যাওয়ার কথা। আমি তো আপনার গল্পটি পড়ছিলাম আর আমার শরীরের লোম গুলো দাড়িয়ে যাচ্ছিলো। দেখতে নাকি আবার বন মানুষের মত। আপু এটা কি ছিল? ভূত না পেত্নী?
আপু দারুন একটি ভূতের গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে রাত্রেবেলায় এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হলে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার জ্ঞান ফেরার পরে আপনার কথা শুনে সবাই কি করলো সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে।
আপনি ভয়ংকর একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন। আর যেহেতু ঘটনা রাতের বেলা ঘটেছে তাই ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনার জীবন ঘটে যাওয়া ভূত বা পেত্নীর কাহিনি টা পড়ে খুব ভালো লাগল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ভৌতিক কাহিনি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।