প্রেম রোগ || বাংলা নাটকের রিভিউ
প্রেম রোগ বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তৌসিফ মাহমুদ ও কেয়া পায়েলের এই প্রেম রোগ নাটকটি আমার কাছে ভালো লাগলেও একটু বিরক্ত লেগেছে। কারণ ভালোবাসা এক পক্ষ থেকে কখনো হয়না। একপক্ষের ভালোবাসার গল্পগুলো কিছুটা ভালো লাগলেও বিরক্তিকর। কারণটা হলো পুরো নাটক জুড়েই এক পক্ষের ভালোবাসা ছিল। নাটকের শেষের দিকে দুই পক্ষের ভালোবাসা তৈরি হয়ে নাটকের গল্প শেষ হয়। আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে নিজের মতো করে এই নাটকের পুরো কাহিনী রিভিউ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | প্রেম রোগ |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | মাশরিকুল আলম |
অভিনয়ে | তৌসিফ মাহমুদ ও কেয়া পায়েল ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | ৭ আগস্ট ২০২৩ |
সময় | ৫৪:১৭ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
---|
ছেলেটি সম্পর্কে প্রথমেই কিছু বলেনেই। সে হচ্ছে সাইন্সের স্টুডেন্ট। সারাক্ষণ সে নিজের ঘরে বই এর ভিতরেই ডুবে থাকে। সে বই পড়তে পড়তে খারাপ লাগলেও আবার বই পড়ে আবার পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেলেও আবার বই পড়ে। সে তার জীবনে প্রতিটি কথাকে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চায় ও প্রতিটি বিষয়কে বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে ব্যাখ্যা দিতে চায়।
আর এদিকে তার বড় ভাইয়ের শালী মানে তার বেয়াইন তার উপর ক্রাশ খেয়ে বসে আছে। প্রথম দেখার পর থেকেই তাকে ছাড়া যেন কিছুই বুঝে না। আর তার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে সে এই বাসায় চলে আসে মাকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে। কিন্তু এখানে এসেও যেন কোন লাভই হচ্ছে না। অনেক ভাবে অনেক কিছু বলে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে সেই মেয়েটা তাকে কতটা ভালোবাসে। কিন্তু কখনোই কোন ভাবে ছেলেটি বুঝতেই পারেনা মেয়েটির অনুভূতি কিংবা ভালোবাসা। আর যখনই ভালোবাসা নিয়ে কোন কথা বলা হয় তখন ছেলেটি মেয়েটিকে অশ্লীল বলে দূরে সরিয়ে দেয় ও অশ্লীল কথা বলতে নিষেধ করে। তখন মেয়েটি বেশ বিরক্তি হয়ে যায় ।
একেক সময় একেক ভাবে সাজুগুজু করে তার সামনে যায়। আবার একেক সময় তাকে স্পর্শ করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার ভালোবাসার অনুভূতি, কিন্তু কোনভাবেই কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। সে এগুলোকে সাইন্সের ভাষায় অশ্লীল বলে ব্যাখ্যা করে ও সাইন্সের ভাষায় প্রেম করা একটি খারাপ ও অশ্লীল কাজ বলে মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু মেয়েটিকে এত ইগনোর করার পরেও সে কোনভাবেই ছেলেটির পিছু ছাড়ছে না। তার যত দিন যাচ্ছে ততই যেন ছেলেদের প্রতি আরো আকর্ষণ বাড়ছে ও ছেলেটির প্রতি মায়া ভালোবাসা বেরিয়ে যাচ্ছে। আর এই ভালোবাসা দেখে আমার খুব বিরক্ত বোধ হচ্ছিল কারণ একপক্ষ ভালবাসা কিভাবে এত ধৈর্য নিয়ে হয়ে থাকে আমার জানা নেই।
তারপর একদিন বিরক্ত হয়ে মেয়েটিও ছেলেটির সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এরপর কলেজ থেকে একদিন একটি ছেলের বাইকের পিছনে করে বাসায় আসে। তখন তখন ছেলেটি দেখতে পায় যে সে একটি ছেলের বাইকে করে বাসায় এসেছে। এরপর থেকে ওর মনের মধ্যে কেমন যেন একটা জেলাস ফিল হতে থাকে। তখন সে একদিন ছাদে ডেকে এনে বলে তুমি যে ছেলেটির সাথে বাইকে করে কলেজ থেকে এসেছিলে সেই ছেলেটি কে ? তখন সে বলে যে সেই ছেলেটি আমার বয়ফ্রেন্ড। এ কথা বলার পর ছেলেটির মনের মধ্যে একটু কষ্ট লাগা শুরু করে ও সে বৈজ্ঞানিক ভাষায় এই কষ্ট ব্যাখ্যা করতে থাকে। তখন মেয়েটি বলে যে তুমি কি এখনো বুঝতে পারছ না যে তুমি আমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছো। তুমি আমাকে অনুভব করতে শুরু করে। আর এখানেও সে অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে থাকে ও তাদের ভালোবাসা বুঝার চেষ্টা করে। একটা সময় দুজনের মধ্যেই ভালোবাসা তৈরি হয় ও নাটকের গল্প এখানেই শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
বিজ্ঞানীরা সবকিছুর ব্যাখ্যা করতে পারে। বিজ্ঞানীদের কাছে সব কিছুরই উত্তর রয়েছে, তবে আমি মনে করি ভালবাসার অনুভূতিগুলো কিভাবে আসে কিংবা এর থেকে দূরে থাকার উপায় কি ও মনের যে কাজগুলো হয় সেগুলোর সাথে বিজ্ঞানী হয়তো পেরে উঠবে না। ভালোবাসা কখনো বিজ্ঞানী কিংবা বিজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে আটকে রাখা সম্ভব নয়। আর কোন মানুষ পৃথিবীতে ভালোবাসা ছাড়া বাঁচতে পারে না। আজকের এই নাটকটি এমনই একটি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে। নিচে দেয়া লিংক থেকে আপনারা চাইলে নাটকটি দেখে নিতে পারেন। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি বাংলা নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে বাংলা নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। নাটকটা কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে এখনো দেখা হয়নি তবে দেখার চেষ্টা করব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেখার জন্য। শেষ দিকে নায়ক এবং নায়কার বেশ রোমান্টিক কিছু মুহূর্ত ছিল সেগুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছে আপু।এমনিতেই কেয়া পায়েলের অভিনয় করা নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে নতুন একটা নাটক শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার রিভিউ করা আজকের নাটকটি আমি দেখেছি। ভেবেছিলাম রিভিউ দিবো।কিন্তু পড়ে কি মনে করে যেন আর দেওয়া হলো না।আপনি কিন্তু নাটকটির বেশ দারুন রিভিউ করেছেন। প্রতিটি চরিত্রকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন নাটকের মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ করার জন্য।
আসলে বিজ্ঞানীদের কাছে সবকিছুর উত্তর থাকলেও, ভালোবাসার অনুভূতিগুলো থেকে দূরে থাকার উপায় এবং এরকম কিছুর কখনোই উত্তর থাকে না। আসলে আমার কাছেও এরকম নাটক গুলো দেখতে ভালো লাগে, তবে একজনের ভালোবাসা থাকলে বিরক্তিও লাগে। তবে সবশেষে এ নাটকটার মধ্যে দুইজনের ভালোবাসা দিয়ে সমাপ্তি হয়েছে এটা দেখতে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলে আপু পরিচালক দের দোষ এটা তারা প্রতিটি নাটকের কন্সেপ্ট গুলো প্রায় একই রকম হয়ে থাকে এই নাটক গুলো দেখলে তো আমার খুব বিরক্ত লাগে।পথম দিকে এক পক্ষ প্রেম পরে আবার একটু মন কষাকষি এরপরে আবার দুজনের এক হওয়া এটাই হলো এখনের নাটকের কনসেপ্ট। মানুষ বিনদন এর জন্য নাটক সিনেমা দেখে সেগুলো যদি বিরক্ত সৃষ্টি করে তাহলে রাগ হওয়াটাই সাভাবিক।ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু।নাটকের নাম প্রেম রোগ-বেশিরভাগ মানুষই এখন এ রোগে আক্রান্ত।সব নাটকের মধ্যে একি কাহিনী দেখতে পাই আমরা ছেলে রাজি থাকলে মেয়ে রাজি থাকে না। আবার কখনো মেয়েরা রাজি থাকলে ছেলেরা রাজি থাকে না।কখনো ছেলে মেয়ে দুজনই রাজি থাকলে তাদের পরিবার রাতে থাকে না।সব সময় ভালোবাসা বাধার সৃষ্টি হয়ে থাকে।অবশেষে নাটকের সমাপ্তি ঘটেছে তাদের দুজনের ভালোবাসার মাধ্যমে।নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
বরাবরই বাংলাদেশের নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আর প্রতিটা নাটকের মধ্যে যেকোনো একটা শিক্ষনীয় দিক থাকে। আপু নাটক বা সিনেমাতে যদি এক পক্ষ ভালোবাসা শুধু চলতে থাকে তাহলে এটা দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে আমার। কারণ, সব সময় একটা টানটান উত্তেজনা থাকে। মনে হয় কখন তারা একে অপরের মিলন হবে। আর প্রথম দিক থেকে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হলে তার মধ্যে একটু মজাটা কম থাকে। নিজের কাছে মনে হয় ভালোবাসা তো হয়ে গেছে আবার কি। আর বিপরীত ঘটে তাহলে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যে এই নাটকের শেষে কি হবে। যাক আপনি প্রেম রোগ নিয়ে দারুন একটি নাটক রিভিউ করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
নাটকের নামটা দেখেই মনের মধ্যে কেমন কেমন করছে। নাটকটি আসলে দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে কিছুটা হলেও নাটক দেখার অনুভূতি হলো।ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন সর্বদায় সব সময় এই কামনা করি।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন আপনি আপু৷ নাটকের নামটি শুনেই আলাদা একটি শান্তি অনুভূত হয়। কারণ এখানে আপনি নাটকের যে সকল ঘটনাগুলো শেয়ার করেছেন সেই ঘটনাগুলো অনেকটাই সুন্দর। পাশাপাশি এই নাটকের নায়িকা হলো কেয়া পায়েল৷ আমার অন্যতম পছন্দের একজন নায়িকা৷ তার সকাল নাটক গুলো আমি দেখার চেষ্টা করি৷
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু। আপনি অনেক নাটক দেখেন বোঝা যায়। আমারও ইচ্ছা নাটক দেখার তবে তেমন একটা সময় পাইনা নাটক দেখার।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।