বান্দরবান ট্যুরের দ্বিতীয় পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নীলাচল পাহাড়ের সৌন্দর্য ও আমার অনুভূতি। হোটেলে ঘুম থেকে উঠলাম দুপুর দুইটা। মন ও শরীর দুটাই তখন অনেক ফুরফুরা হয়ে গেলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হলাম ও হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমি এখনো কিছু জানিনা আমি কোথায় যাবো। আমি শুধু উনার পিছন পিছন হেটে যাচ্ছি। হোটেলের নিচেই ছিল খাওয়ার হোটেল। হোটেলে ঢুকে খুব সাধারণ কিছু খাবারের অর্ডার করলাম। দুপুরের খাবার শেষ করে একটি সিএনজি নিয়ে সোজা চলে গেলাম নীলাচল পাহাড়ে। নিচ থেকে পাহাড়ের উপরে উঠার রাস্তা টা ছিল খুবই সুন্দর। আমি সিএনজি থেকে বাহিরের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। মনে হচ্ছে আমি এখনো স্বপ্নের মধ্যে আছি। রাস্তার দুই পাশের উঁচু উঁচু পাহাড়। সিএনজি আস্তে আস্তে ঘুরে ঘুরে উপরের দিকে উঠছে।
আধা ঘণ্টার মধ্যেই চলে আসলাম নীলাচল পাহাড়ের উপরে। এখানে বেশ মানুষজনের ভিড় ছিল ও বেশ কিছু গাড়ি পার্কিং করা। গাড়ি থেকে নেমেই ৫০ টাকা করে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকতেই যেন আমি প্রকৃতির অপুরূপ সৌন্দর্যে হারিয়ে গেলাম। এদিক থেকে ওদিক ছোটাছুটি শুরু করলাম। কোনদিকে যাবো আর কিসের ছবি তুলবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি আগে কখনো পাহাড়ের এত উপরে উঠিনি। নীলাচল পাহাড় থেকে ছোট্ট বান্দরবান শহর টা দেখা যাচ্ছে। হালকা কুয়াশা ঘেরা শতশত পাহাড় যেন ডাকছে আমায়।
এক দিক থেকে বেশ কিছু ছবি তুললাম। মনের আনন্দে আনন্দিত হয়ে চলতে লাগলাম একদিক থেকে অন্য দিক। অনেকটাই বড় ছিল এই নীলাচল পাহাড়। প্রায় চার ঘন্টা ঘুরলাম এই নীলাচল পাহাড়ে। পাহাড়ের প্রতিটা স্পট ছিল দেখার মতো। প্রতিটি স্পটে মানুষের ভিড় ছিল সবাই সবার মতো ছবি তোলা নিয়ে ব্যাস্ত। চারপাশের মধ্যে এই নীলাচল পাহাড়টি সবার থেকে উঁচু পাহাড় মনে হলো। কারণ চারপাশে পাহাড় গুলো দেখা যাচ্ছে তবে এই পাহাড় থেকে কিছুটা নিচু। চারপাশে সবুজে ঘেরা ও হাজার রকমের সবুজ গাছ আর গাছের উপরে থকা থকা সাদা মেঘ জমাট বাধা। দৃশ্য গুলো দেখলেই যেন মন জুড়িয়ে যাই।
আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে নীলাচল পাহাড়ের বেশ কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আগামী পর্বে এই নীলাচল পাহাড়ের আরো কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম সাজেক ভ্যালিতে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে নীলাচলের সঙ্গে সাজেকের বেশ মিল আছে। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনারা। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য।
পাহাড়ের উপর সবুজ গাছ সত্যি আপু দেখার মত দৃশ্য হয়। পাহাড়ের উপর প্রতিটা ছবি অনেক সুন্দর ছিল এবং মনে হয়েছে খুব অল্পতেই আবার ঘুরতে যাব ফ্যামিলিকে নিয়ে। আপু আপনার প্রতিটা ফটো ভালো হয়েছে এবং উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা।
আপনার নীলাচল ভ্রমন দারুন লাগলো। আমি যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন পাহাড়ে উঠে আমারও আপনার মত হয়েছিলো। ছবি গুলি ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম সাজেক ভ্যালিতে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে নীলাচলের সঙ্গে সাজেকের বেশ মিল আছে। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনারা। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পাহাড়ের উপর সবুজ গাছ সত্যি আপু দেখার মত দৃশ্য হয়। পাহাড়ের উপর প্রতিটা ছবি অনেক সুন্দর ছিল এবং মনে হয়েছে খুব অল্পতেই আবার ঘুরতে যাব ফ্যামিলিকে নিয়ে। আপু আপনার প্রতিটা ফটো ভালো হয়েছে এবং উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু!কি অপূর্ব দৃশ্য।
আপনাকে দেখতে আসলেই বেশ ফ্রেশ লাগছে।
আর আপনাদের একসাথে দেখতে সুন্দর ও লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।