মৃত্যু !! @shy-fox 10% beneficiary
মৃত্যু
মানুষ মাত্রই মরণশীল। এই পৃথিবীতে কখনো কেউ চিরকাল বেঁচে থাকে না। আমরা সকলেই এটা জানি মৃত্যু কখনো কাউকে আগে থেকে বলে আসে না। তবুও একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে মৃত্যুকে মানিয়ে নেয়াটা অনেক বেশি কষ্টের। আসলে যার সাথে এমন ঘটনা ঘটে শুধু সেই বুঝতে পারে তার যন্ত্রনা কতটুকু। আমার সাথে ও আমার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা যে কতটা কষ্টের কতটা মর্মান্তিক সত্যি বলে কখনোই বুঝানো সম্ভব না। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা আমি এবং আমার পরিবারের কেউ কখনো ভাবতেও পারেনি।
আমার পাঁচ বোনের মধ্যে দ্বিতীয় নাম্বার বোন আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে ওপারে। যেখান থেকে আর কখনো ফিরে আশা সম্ভব না। ঈদের আগের দিন কথা হয়েছে আপুর সাথে ঈদের দিন ব্যস্ততার কারণে কথা হয়নি। ঈদের পরের দিন হটাৎ করে সন্ধ্যার দিকে আমি এই খবর পায়। আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না এমন একটি সংবাদের জন্য। কথাটি শোনার সাথে সাথে আমি আমার নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমার বোন আর নেই। আমি জানি না তখন আমার কি হয়েছিল। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি কষ্ট আর যন্ত্রনায়।
যেভাবেই হোক আমার স্বামীকে সাথে নিয়ে চলে যায় হসপিটালে। ঘন্টা খানিকের পথ হলেও যেন এই পথ শেষ হচ্ছে না। হসপিটালে পৌঁছানোর পর আমার বোনের চেহেরার দিকে তাকিয়ে থেকে একটা বারের জন্যও মনে হচ্ছে না আমার বোন নেই, আমার কাছে মনে হচ্ছে আমার বোন খুব আরাম করে ঘুমাচ্ছে। চারদিকে আত্মীয়স্বজনরা এসে ভিড় করেছে। এর পরের ঘটনা আর নাই বলি....................
আপুর বেবি হয়েছে মৃত্যুর ঠিক পাঁচদিন আগে। সবাই খুবই আনন্দিত ছিল। সুন্দর ফুটফুটে একটা বাবু হয়েছে। এর জন্য আপুর ও দুলাভাইয়ের আনন্দের যেন শেষ নেই। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসে। তেমন বড় কোনো সমস্যা ছিল না। এর পরেও হয়তো কোনো এক জটিল সমস্যার কারণে আপু আজ আমাদের মধ্যে নেই।
বাবার মৃত্যুর পর আমাদের পাঁচ বোনের খুঁটি হিসেবে ছিল আমার এই বোন। প্রত্যেকের যে কোনো সমস্যা, যে কোনো কথা , যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা উনার থেকে পরামর্শ নিয়ে করতাম। সবসময় ভালোকিছু করার ও বলার চেষ্টা করতো। আল্লাহ হয়তো উনাকে অনেক বেশি পছন্দ করেছেন তাই অনেক তাড়াতাড়ি নিয়ে গেলেন। আমার বোন চলে যাওয়ার পর থেকে আমি মানসিক ভাবে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছি। আমার এখন আর কোনো কিছুতেই মন বসেনা। অনেক কষ্ট হয় যখনি আমার বোনের চেহেরাটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। দুই চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝরে। বুকের ভিতরটা যেন চুরমার হয়ে গেছে। আপন মানুষ চলে যাওয়ার যন্ত্রনা কতটুকু সেটা বলে বুঝানো সম্ভব না।
সকলের কাছে আমি দোআ প্রার্থনা করছি আমার পরিবার ও আমার বোনের জন্য। আপু চলে গেলেও রেখে গিয়েছেন সাত বছর ও নয় দিনের ছোট দুইটি সন্তান। তাদের জন্যও আপনাদের কাছে দোআ চাচ্ছি। আল্লাহ যেন সবাইকে ভালো রাখে ও সুস্থ রাখে সেই দোআ করি।
আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে
আপু আপনার পোস্টটা পড়ছিলাম আর বুকের ভেতরটা ভেঙে যাচ্ছিল। সত্যি অনেক কষ্টের। জানিনা আপনারা কি করে সহ্য করেছেন ।অসময়ে চলে যাওয়া সত্যি মেনে নেওয়া যায় না ।তবুও মানতে হয় এটাই নিয়ম ।আমরাও চার বোন। আসলে বোনদের কারো কিছু হলে সত্যিই সহ্য করা খুবই কঠিন। তারপরেও আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন আপুর জন্য। আর আপুর সন্তানদের জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা উত্তম ফয়সালাকারী।
জি আপু তিনিই সবকিছুর মালিক। তিনিই সব সিদ্ধান্ত নেন। দোয়া করবেন আপু বাচ্চা গুলোর জন্য।
এমন মৃত্যুকে মন থেকে মেনে নেওয়া না গেলেও মেনে নিতে হবে। কারণ মৃত্যুর নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। তবে খুবই খারাপ লাগলো ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য। হয়তো এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনা অনেক জানি অনেক দেখেছি এরপরও বড় যন্ত্রণাদায়ক এইজন্য যে বাচ্চাটি মানুষ করবে কে এখন। অকালে এতিম হয়ে গেল বাচ্চাটা। নিয়তির লেখা বোঝা বড় দায়।
আমি এখন কোনো কিছুই ভাবতে পারিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে। অনেক বেশি কষ্ট হয়। দোয়া করবেন বাচ্চা গুলোর জন্য।
প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া কতটা বেদনাদায়ক সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আসলে মানুষের জন্ম নেওয়ার সিরিয়াল আছে কিন্তু চলে যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই। ঈদের খুশি শেষ না হতেই এমন একটি দুঃখ আপনাদের পরিবারের উপর বয়ে আসবে এটা কেউ কখনো কল্পনা করতে পারেনি। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
সত্যি অনেক বেশি কষ্ট হয় বোনের কথা মনে পড়লে। দোয়া করবেন আমার পরিবারের জন্য ও আমার বোনের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এরকম ঘটনা যার সাথে ঘটে সেই শুধু উপলব্ধি করতে পারে। আপনার পোস্টটি পড়ে কেন জানিনা বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিল জানিনা আপনাদের কেমন লেগেছে। এই পরিস্থিতিতে সান্তনা দেওয়ারও কিছু নেই আল্লাহ যেন আপনাদেরকে শক্তি দেন সবকিছু সহ্য করবার আর ওপরে আপনার বোনটা যেন শান্তিতে থাকে এই কামনাই করি ।ছোট বাচ্চাটার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে।আল্লাহ মালিক।
আপু সত্যি এই ঘটনা এখনো আমি মানতে পারছিনা। অনেক বেশি কষ্ট হয়। দোয়া করবেন আপু বাচ্চা দুইটার জন্য।
আল্লাহ পাক আপুকে বেহেশত নসিব করুন 🤲
আসলে অসময়ের মৃত্যু সত্যিই খুব কষ্ট দেয়। তারপরও উপর ওয়ালা উত্তম ফয়সালাকারী, তিনিই সব ঠিক করেন। তাই আপু দোয়া করুন বেশি বেশি এটাই সবথেকে বড় উপকার হবে আপুর জন্য। তার ছোট্ট ছোট্ট সন্তানদের জন্য দোয়া করছি 🤲
এই কথাটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আর আল্লাহ যা কিছু করে সবকিছু ভালো জন্য করে। দোয়া করবেন ছোট দুইটা বাচ্চার জন্য।
আপন মানুষ চলে যাওয়ার যন্ত্রনা সত্যি কাউকে বোঝানো যায় না। যে হারায় সেই শুধু সেই কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। আপু আপনার বোনের খবর শোনার পর থেকে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। সৃষ্টিকর্তা এভাবেই হয়তো সবাইকে তার কাছে নিয়ে যাবেন। নিজেকে শান্ত রাখুন আপু এবং আমরা সবাই দোয়া করি বড় আপু যেন পরপারে ভাল থাকেন।🤲🤲
একদিন সবার এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে আর এটা ভেবেই নিজেকে শান্তনা দিচ্ছি আপু। দোয়া করবেন।
আপু পোস্ট পড়ে বেশ খারাপ লাগছে।
আল্লাহ আপনাদেরকে ধৈর্য ধারন করার ক্ষমতা দান করুক।আপুর সন্তানের দীর্ঘআয়ু কামনা করছি।
জি আপু দোয়া করবেন।
দুঃখজনক । আচ্ছা আমি এই বিষয়টি নিয়ে কিছু পর্যালোচনা করতে চাই । কারণ এমন মৃত্যু কোনভাবেই কাম্য নয় । আপু আমি আপনাকে মেসেজে নক দিচ্ছি , ব্যাপারটি জানা আমার খুবই দরকার।
কখনোই ভাবতে পারিনি ভাইয়া এমন একটি ঘটনা ঘটবে। দোয়া করবেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে চিরন্তন সত্য কথা হচ্ছে মৃত্যু। যখন জন্মেছি মৃত্যু হবেই।আজ না হয় কাল।কিন্তু এই ক্ষনস্থায়ী জীবনের মাঝেও পৃথিবীর বুকে গড়ে উঠে এক মায়ার বন্ধন।নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও সমাজে বসবাসের মাধ্যমে এক নিবিড় বন্ধন তৈরি হয়।আর সেই নিবিড় বন্ধনের শক্ত খুঁটি হচ্ছে নিজের পরিবার, বাবা -মা ও ভাই-বোন। আসলে আপনার বোনের অকাল মৃত্যুতে আপনার মনের ভেতরের যে কষ্ট তা হয়তবা দূর করতে পারবো না।কিন্তু এতটুকু বলতে পারি আপনার বোন মানে আমাদের বোন।আর সেই বোনকে আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের নসিব করেন। সেই দোয়াই করি। আমিন।
রাব্বুল আলামিন বড় আপুকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে আসে একটি সিরিয়াল ধরে কিন্তু চলে যাওয়ার কোন সিরিয়াল মেনটেন করে না মহান সৃষ্টিকর্তা।মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার ধৈর্য এবং শক্তি দান করুক আমিন।
আমিন।..... দোয়া করবেন আপু।