পিজ্জা দিয়ে ইফতার
পিজ্জা দিয়ে ইফতার
শবে বরাতকে কেন্দ্র করে মুসলিম ধর্মের অধিকাংশ মানুষ রোজা রাখে। আমি নিজেও ছোট থেকে এই বিষয়টি দেখে আসছি আর তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি এই দিনগুলোতে রোজা রাখার। প্রতিবারের মতো এবারো রোজা রাখলাম কিন্তু ইফতার কি দিয়ে করবো কিছুই জানি না কারণ বাসায় তেমন কিছুই নেই। আমার উনি রোজা রাখবে বলেছিলো কিন্তু ভোর রাতে ডাক দিলে বলে উনার নাকি পেটে সমস্যা। সবই হচ্ছে ঘুম থেকে না উঠার ধান্দা। যাইহোক দুপুর পেরিয়ে বিকাল হয়ে গেলো কিন্তু কিছুই এখনো কিনে আনলোনা কি দিয়ে কি করবো বুঝতে পারছিনা।
বিকেল পাঁচটার পর দেখি আমার উনি বিশাল একটা পিজ্জার বাক্স নিয়ে বাসায় ঢুকলো। আমিতো দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। পিজ্জাটা ছিল পিজ্জা বার্গের। আমি বেশ কিছু রেস্টুরেন্টের পিজ্জা খেয়েছি তবে পিজ্জা বার্গের পিজ্জা গুলোই আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। তার উনি নিজেই একটি ডিম, সয়াবিন তেল, লেবুর রস, ভিনেগার, চিনি ও পাউডারের দুধ একসাথে মিক্স করে ব্লেন্ড করে পাঁচ মিনিটের মধ্যে মেয়োনিজ তৈরি করে নিয়েছে। এবার পিজ্জাটা খেতে সত্যি অনেক মজা হবে আশাকরি।
ফুডপান্ডা থেকে অর্ডার করেছে পিজ্জাটি। চল্লিশ মিনিটের মধ্যে হোমডেলিভারি দিয়েছে। ভাগ্না ও ভাগ্নি সহ চার জন একসাথে পিজ্জার বাক্স খুলে শরবত সাজিয়ে বসে আছি মাগরিবের আজানের অপেক্ষায়। সময় মতো আজান দিলে সবাই একটা একটা করে বাইট খুলে মেয়োনিজ ভালোভাবে লাগিয়ে পিজ্জা খাওয়া শুরু করি কিন্তু একটা বাইট খাওয়ার পরেই সবাই যেন একদম ঝিমিয়ে গেছে। আসলে এসব জিনিস খেতে হয়তো অনেক মজাদার কিন্তু অল্পতেই পেট ভরে যায়। একটা খাওয়ার পর আরেকটা বাইট খেতে সবারই একটু কষ্ট হয়ে গেছে। তবে পিজ্জা টির স্বাদের কথা বললে বলবো সত্যি অসাধারণ একটি পিজ্জা। আমার কাছে সবসময়ের জন্য পিজ্জা অনেক পছন্দের একটি খাবার। পিজ্জা কোম্পানি যদি জানতে পারে তার পিজ্জার এত প্রশংসা করছি তাহলে হয়তো পিজ্জাটা আমরা ফ্রীতেই খেতে পারতাম।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপু পিজ্জা আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। তবে আপনার মত এরকম বিশেষ মুহূর্তে কোন বিশেষ মানুষের নিকট থেকে এখনো পিজ্জা খেতে পারিনি। সারাদিন রোজায় থেকে ইফতারিতে পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতির কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি,পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, চালের আটার রুটিসহ
আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরি করার তৈরি করে সবাই । এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করে।আমাদের বাড়িতেও দিয়ে যেতো খেতে অনেক ভালো লাগতো।আপু আপনি শবেবরাতের রোজা রেখে পিজ্জা দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই ইফতার সেরে নিয়েছেন।পিজ্জা টা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।কিছু কিছু দোকানের খাবারের স্বাদ সত্যিই অনেক ভালো হয় তাই বার বার খেতে ইচ্ছে করে।ভাইয়া নিজ হাতে মেয়োনিজ বানিয়ে দিয়েছে জেনে ভালো লাগলো হাসবেন্ড রা যদি মাঝে মাঝে এরকম করে কিছু বানিয়ে খাওয়ায় তাহলে ভালোই লাগে। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
পিজ্জা দিয়ে ইফতার করার অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি আপু। ভাইয়া কিন্তু ভালোই করেছেন মেয়োনিজ নিজের হাতে তৈরি করে। ইফতারি আর আলাদা করে তৈরি করতে হয়নি। শরবত আর পিজ্জা একেবারে দারুণ হয়েছে। সবাই মিলে দারুন ভাবে ইফতারের সময়টা কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনি তো দেখছি পিজ্জা বার্গের পিজ্জা অর্ডার করেছিলেন এখানকার পিজ্জার অনেক সুনাম রয়েছে। তবে এখানকার পিজ্জা আমার খাওয়া হয়নি, এর পরবর্তী সময় ঢাকা গেলে এখানকার পিজ্জা টেস্ট করব ইনশাআল্লাহ। আর সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় মনে যেটি খেতে ইচ্ছা করে সেটি না খেলে আসলেই ভালো লাগেনা। আপনার অর্ডারকৃত পিজ্জা টি বেশ টেস্টি ছিল শুনে বেশ ভালো লাগলো। এমন একটি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আপনি সবসময় রোজা রাখার চেষ্টা করেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আমিও গত বছর রোজা রেখেছিলাম, তবে এবার রাখতে পারিনি। পিজ্জা বার্গের পিজ্জা দিয়ে বেশ ভালোই ইফতার করেছেন আপু। পিজ্জাটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে বেশ ইয়াম্মি লেগেছে। পিজ্জা আমারও খুব পছন্দ, তবে আমি ডমিনোস এবং মি: পিজ্জার পিজ্জা বেশি পছন্দ করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু একদম ঠিক বলছেন আসলে উনাদেরকে ডাকতে গেলে ভোর বেলায় কোন একটা বাহানা দিয়ে আর ওঠেনা হা হা হা। আমিও প্রায় সময় রোজা রাখার চেষ্টা করি আপনি অনেক ভালো একটি কাজ করছেন রোজা রাখছেন। তবে একটা কথা সত্য সেটা হচ্ছে যে রিজিকের মালিক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা রোজা যে রেখেছেন উনি হয়তো আপনার জন্য উত্তম একটি খাবার রিজিকের রেখেছিলেন। তাই আপনার প্রিয় একটি খাবার দিয়ে অনেক মজার করে ইফতারি করতে পেরেছেন। পিজ্জাটি দেখে সত্যিই লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে গেছে আপু জিভে জল এসে গেছে। মনে হয় বাইরে যেয়ে খেয়ে আসতে হবে না হয় অর্ডার করে নিয়ে আসতে হবে।