বন্ধুত্ব।
বন্ধুত্ব সম্পর্কটা খুবই মধুর সম্পর্ক। ভালোবাসা , রাগ , অভিমান , আনন্দ , দুঃখ সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়েই এই সম্পর্কটা। এমন অনেক সময় অনেক জায়গায় দেখেছি যে ছোট বেলার বন্ধুত্ব একদম বুড়ো কালে গিয়েও সেই আগের মতো থাকে। যদিও সেটা সবার ক্ষেত্রে হয়না। কেননা বন্ধুত্ব সম্পর্ক সবার সাথে ঠিক রাখা যায়না। কেননা এইটা এমন একটা সমর্ক যেখানে কোনো হিংসা বিদ্বেষ এইসব চলে না। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন , আপনি যদি আপনার বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে হিংসা বা অহংকার রাখেন তাহলে সেটা কোনোদিনও স্থায়ী হবে না , এটা সময় গিয়ে সেই এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে।
বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে যদি হিংসা বা অহংকার থাকে তাহলে সেটা কোনোদিনও স্থায়ী থাকবে না তার কারণ হচ্ছে বন্ধুত্ব আপনি কখনোই তার পরিস্থিতি দিয়ে করতে পারবেন না। ব্যাপারটা এমন না যে আপনি বাছাই বাছাই করে বন্ধুত্ব করবেন। হয়তোবা আপনি সেটা করতে পারবেন কিন্তু সেটা সত্যি ববলতে প্রকৃত বন্ধুত্ব হবে না। একটা বন্ধুত্বের মধ্যে ধনি গরিব এইসব কোনো কিছুই মানে রাখবে না। এবং এইসব বিভেদ ভুলে যারা তাদের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে তাদের বন্ধুত্বটাই অনেকদিন পর্যন্ত টিকে থাকে। যদিও এটা খুবই কম সংখক মানুষ করতে পেরেছে যারা কিনা তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে অনেকদিন পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছে।
তবে বন্ধুত্বের মধ্যে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেটা আমার মতে আমাদের ফলো করা উচিত। বন্ধুত্বের মধ্যে ধনী গরিবের পার্থক্য না রেখে ভালো আর খারাপের পার্থক্য থাকা উচিত। কেননা আমরা সবাই কিন্তু জানি সঙ্গে দোষে লোহা ভাসে । হয়তোবা বন্ধুত্বের খাতিরে একটা ভালো ছেলে বা মেয়ে খারাপ হয়ে উঠতে পারে। তাই আমাদের সেইদিকেও খেয়াল রাখা উচিত। আর একজন ভালো বন্ধু তার বন্ধুর জন্য জীবন পর্যন্ত দিতে পারে আবার একটা খারাপ বন্ধু সামান্য কিছুর জন্য তার বন্ধুর জীবন পর্যন্ত নিতে পারে।
তাই আমি মনে করি বন্ধুত্ব যেই সম্পর্কটা সেটা স্বভাব চরিত্র দেখে করা উচিত নাকি ধনী বা গরিব দেখে। এতে করে যেমন আমরা বন্ধুর দ্বারা অনেক উপকৃত হতে পারবো তেমন বন্ধুকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পাবো। এবং আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে। এবং আমরা জীবনে কিছু সুন্দর বন্ধু পাবো। যাই হোক , আজ এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে। আপনাদের ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আসলেই বন্ধুত্বের মধ্যে হিংসা এবং অহংকার রাখা মোটেই উচিত নয়। এতে করে সম্পর্ক তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোটবেলার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো খুব সুন্দর হয়। কারণ ছোটবেলার বন্ধুদেরকে বিপদের সময় পাশে পাওয়া যায়। তাই আমি মনে করি ছোটবেলার বন্ধুত্ব হচ্ছে বেস্ট। যাইহোক দারুণ লিখেছেন আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুত্ব এমন একটা বন্ধন যেটা আমি মনে করি অন্য সবকিছু থেকে আলাদা। এই সম্পর্কটা সত্যি অনেক মধুর হয়ে থাকে। বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে যত কিছুই থাকুক না কেন, দিন শেষে যখন আবারো এক হয় তখন সেই সম্পর্কটা ভাঙ্গে না সহজে। বন্ধুত্বের মাঝে ভালোবাসা, রাগ, অভিমান সেই সাথে বিশ্বাস থাকা বেশি জরুরী। রাগ অভিমান মাঝেমধ্যে হলেও যখন একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাস টা অনেক বেশি থাকে, এখন দেখা যায় সবশেষে বন্ধুত্ব টিকে থাকে। বন্ধুত্বের মধ্যে হিংসা এবং অহংকার থাকা অনেক বেশি খারাপ। কারণ এগুলো বন্ধুত্বের সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়।