ভেদাভেদ।

"বৈষম্য" যদিও আগের তুলনায় এখন এর প্রভাব তেমন বেশি দেখা যায়না। কেননা মানুষ আস্তে আস্তে তাদের ভুল গুলোকে বুঝতে শিখেছে। তবে এখনো মাঝে মধ্যে কিছু বৈষম্য দেখা যায় যার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায় , কোনো কিছুর যোগ্য হওয়ার পরও আপনি সেটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে শুধু মাত্র বৈষম্যতার কারণে। সেটা যে কোনো বৈষম্যই হতে পারে যদিও এই বৈষম্য বিরুধী একটা আন্দোলন কিন্তু আমরা দেখেছি। এইসবের মূল ঘটনা কি ছিল ? বৈষম্যতাকে দূর করা না ? অবশ্যই সেটা , কেননা আপনি সেটার যোগ্য হওয়ার পরও যদি সেটার থেকে বঞ্চিত হন তাহলে অবশ্যই সেখানে আপনার অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।

বৈষম্য জিনিষটা সত্যিই অনেক খারাপ। এতে করে সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হয়। যেমন ধরুন কোনো ভর্তি পরীক্ষায় আপনি মেধার তালিকায় অনেক এগিয়ে আছেন , কিন্তু কেউ একজন আপনার থেকেও যে পিছিয়ে আছে সে এসে যদি আপনার সিটটা নিয়ে যায় তাহলে আপনার কেমন অনুভব হবে ?খুব কষ্ট হবে না ? এইটা স্বাভাবিক , এটিকে আমরা একটা অধিকার ক্ষুন্ন করাও বলতে পারি। কেননা আপনি সেটা আপনার মেধা দিয়ে অর্জন করেছেন। কেউ কেন আপনার সেটাকে বাড়তি কিছু সুবিধার জন্য আপনার সিটটা দখল করে নিবে ?

আসলে আমরা সব সময় চেয়েছি একটা বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে। যেখানে সকলকে সমান চোখে দেখা হবে। কোনো ধর্ম বর্ণ এইসব কে দেখা হবে না। যদিও ধর্মের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরী হয় সেটা আসলে আমরা মানুষরাই তৈরী করি। কেননা কোনো ধর্মেই বলা নেই যে অন্য ধর্মের মানুষের সাথে না মিশতে।উল্টো প্রতিটা ধর্মই বলে একে অপরের সাথে মিলে মিশে চলতে। এবং এতে করেই সত্যি কারের শান্তি। এবং আমরা যদি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়তে পারি তাহলেই সকলের সমান ভাবে অধিকার নিশ্চিত করা যাবে।

তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো আমাদের সমাজকে সব সময় বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে। কেননা , আমরা যদি আমাদের সমাজকে না গড়ি তাহলে আর কেউই গড়তে পারবে না। যাই হোক , আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।