সুখ অসুখ || বাংলা নাটকের রিভিউ
সুখ অসুখ বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
কিছু কিছু ভালোবাসা সত্যিই অদ্ভুত রকমের সুন্দর হয়ে থাকে। সেই সুন্দর ভালবাসা গুলো মানে না কোন বাধা, মানে না কোন আপত্তি, মানে না কোন পাগলামি কিংবা কোন মানুষের সৃষ্টি করা বাঁধ। আজকের এই সুখ অসুখ নাটকটি ছিল এমনই এক অসাধারণ সুন্দর কাহিনী। আমার কাছে এই দুজনের জুটিটাকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ও তাদের নাটক দেখতে আরো বেশি ইচ্ছে করছে। সত্যিই অসাধারণ এক ভালবাসার গল্প নিয়ে আজকের এই নাটক। আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে নাটকটি নিজের মত করে রিভিউ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | সুখ অসুখ |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | নাসির খান |
অভিনয়ে | খায়রুল বাসার, সাদিয়া আয়মান ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | ১০ জুলাই ২০২৩ |
সময় | ৫১:৪০ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
---|
নাটকে নায়ক চরিত্রের ছেলেটি ছিল একটু পাগল প্রকৃতির। প্রকৃতপক্ষে সে আসলে পাগল নয়, তবে মুহূর্তের মধ্যেই ভুলে যাওয়ার একটা স্বভাব রয়েছে তার। আর এই স্বভাবের কারণে তার আশেপাশের লোকজন তাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে। আর এই কারণে সে আরও বেশি নিজেকে অসুস্থ ভাবতে মনে করে। নাটকের শুরুতে দেখা যায় সে একটি বদ্ধ ঘরে থেকে মেয়েটি মাকে ডাকছে। তখন তার মামা এসে তাকে শান্ত করে ও বলে শ্যামলী এসেছে তার সাথে দেখা করতে। তখন সে বলে শ্যামলীকে বলতে বলে রেডি হয়ে থাকে। সে তার সাথে বাইরে ঘুরতে বের হবে। তাহলে তার একটু ভালো লাগবে। তখনি এই সে আবার শ্যামলী কে ? কেন শ্যামলীকে রেডি হতে বলল ? এই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। কারণ মুহূর্তে সে ভুলে গিয়েছে শ্যামলী কে।
শ্যামলী সম্পর্কে একটু বলে নেই। সে হচ্ছে বাবা-মা ছাড়া এতিম একটি মেয়ে। ছোট থেকেই চাচির কাছে বড় হয়েছে। চাচি সবসময় তাকে অত্যাচার ও বিভিন্নভাবে টর্চার করে থাকে। মেয়ের চাচি ছেলের পক্ষ থেকে অনেকগুলো টাকা যৌতুক হিসেবে নিয়ে মেয়েকে এই পাগল ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হয়। তিনি চান মেয়েকে দিয়ে একরকম ব্যবসা করতে। এই ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে কিছুদিন থাকার পর আবার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে আরও কিছু টাকা নিবে। আর এভাবেই মেয়েকে দিয়ে টাকা ইনকাম করবে। কারণ এই মেয়ে গ্রামের শিক্ষিত ও সুন্দরী মেয়ে বলে। কিন্তু মেয়ের চিন্তাভাবনা মোটেও এমন নয়। মেয়ের চিন্তাভাবনা হলো ভালো একজন মানুষের কাছে সে যাবে এবং সারা জীবন তার ভালোবাসা দিয়ে সেই মানুষের সাথে সংসার করবে। এখানে তার কোন সার্থকতা নেই। কিন্তু তার এই কথার কোনো মূল তার চাচির কাছে নেই।
ছেলে মেয়ে একসাথে হলে তাদের বেশ কিছু রোমান্টিক দৃশ্য দেখা যায়। ছেলেটি মেয়েটির কাছে আসলেই যেন বেশ শান্ত হয়ে যায় ও ভালোবাসার মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। মেয়েটিও ছেলেটিকে বেশ পছন্দ করে ও ভালোবাসে। আর ভালোবাসা বিধায় ছেলেটির সাথে সকল কিছু অতিক্রম করে তারা দেখা করে ও গ্রামে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু এখানেও চাচি বলে তুই বলবি যে ছেলেটি উন্মাদ পাগল ও তোর সাথে অনেক বেশি খারাপ ব্যবহার করে। তাহলে তাদের কাছ থেকে আমি আরো বেশি টাকা হাতিয়ে নিতে পারব। আর তুই যদি আমার কথা মতো না থাকিস তাহলে তোকে আমি গলা টিপে মেরে ফেলবো। মেয়েটি নিশ্চুপ ও নিরুপায় হয়ে চাচির কথা মত বাধ্য হয়ে চলতে হয় তার যেন কিছুই করা থাকে না।
এক পর্যায়ে চাচি ছেলের বাড়িতে কাছে গিয়ে আরো বেশি টাকা ও জমি লিখে দিতে চায়, কারণ ছেলেকে আরও বেশি পাগল বলে। আর এই গ্রামে ওনার মেয়ের মত এত সুন্দরী মেয়ে আর কোথাও পাবে না বলে আরো বেশি টাকা ডিমান্ড করে আর এখানেই ছেলের পরিবার থেকে রাজি না হলে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ছেলে বলে যে আমি ওকে বিয়ে করব কারণ ওই হচ্ছে আমার দেখা সবচেয়ে বেশি ভালো ও লক্ষী মেয়ে। আর সেও জানে মেয়েটিও তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। সেও অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে না।
মেয়ের চাচী বিয়ে ভেঙ্গে চলে যাওয়ার পর মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করতে চায় কারণ সে অলরেডি ছেলের সাথে দেখা করে সব ঘটনা খুলে বলে। এর পরেই মেয়েটি ক্ষেপে যায় ও মেয়ের নামে যে জমিন ছিল ও তার কাছে তার মায়ের শেষ স্মৃতি হিসেবে যে গয়নাগুলো ছিল সবকিছু তার চাচিকে দিয়ে বলে এই নেন এই সব কিছু আপনার। আপনি আমাকে ছোট থেকে বড় করেছেন যে খরচ হয়েছে তার থেকেও বেশি টাকা আপনি এখানে পাবেন। এগুলো আমি আপনাকে দিয়ে গেলাম আর চিরদিনের জন্য আপনার কাছ থেকে চলে গেলাম। আমি আর এই বাড়িতে কোনদিন ফিরব না। এই কথা শুনে চাচ্ছি তাকে বলে একি বলছিস তুই তুই এখনই ঘরে যা। এ কথা বলে মেয়েটির হাত ধরতে গেলেই মেয়েটি একটি ধাক্কা মেরে চাচিকে ফেলে দিয়ে ছেলের বাড়িতে চলে আসে।
আর ছেলের বাড়িতে এসে সবকিছু খুলে বলে, যে আপনাদের কোন টাকা-পয়সা দিয়ে আপনাদের ছেলেকে বিয়ে দিতে হবে না। আমি নিজে থেকেই আমি আমার সব লেনদেন শেষ করে এখানে চলে এসেছি। তার সাথে জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে চাই। আর এই দেখে ছেলের পরিবারের সকলেই অনেক বেশি খুশি হয় ও গ্রামের সকলকে দাওয়াত দেওয়ার কথা বলে। অনেক বড় অনুষ্ঠান করে তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আর এখানেই সুন্দর একটি মুহূর্তে নাটকটি শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
এই জন্যেই আমি বললাম ভালোবাসা মানে না কোন বাধা, মানে না কোন আপত্তি, মানে না কোন মানুষের সৃষ্টি করা কোনো বাঁধ। ভালোবাসা এমনই এক শক্তি যা মানুষকে জয়ী করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আর ভালোবাসার শক্তির কাছে কোন শক্তি যেন টিকতে পারে না। ভালোবাসা এমনই এক শক্তি যা চাইলে মানুষকে নিয়ে যেতে পারে অজানা এক সুন্দর গন্তব্যে। তাদের দুজনের মিলনের শেষ পর্যায়ে দৃশ্যটা অত্যন্ত বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। নিচে দেয়া লিংক থেকে আপনারা চাইলে নাটকটি দেখে নিতে পারেন।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
খায়রুল বাসার এবং সাদিয়া আয়মান এর অনেক কয়েক টা নাটক দেখেছি। এদের দুজনের অভিনয় ভীষণ ভালো লাগে। আর বিশেষ করে নাটকের গল্প গুলো খুব সুন্দর হয়ে থাকে। এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। অবশ্যই দেখবো সময় করে। চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপু আপনি বরাবরের মতো আজকেও খুব সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে ভালোবাসার শক্তি যে কঠিন সেটা এই নাটকের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। ছেলের কাছে এই মেয়ে হচ্ছে তার কাছে লক্ষ্মী এবং ভালো। যদিও ছেলের পরিবার থেকে বিয়ে ভেঙ্গে দিতে চাই কিন্তু ছেলে তাকে ভালোবাসে ওই মেয়েটা তাকে অনেক ভালোবাসে। সুতরাং ভালোবাসার এই কঠিন বাঁধনে কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে চাই না। আরে ভালোবাসার শক্তির কাছে সবারই হার মানতে হয়।
আপু আপনার করা নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই আপু সত্যিকারের ভালোবাসা মানে না কোন বাধা।মানে না কোন আপত্তি।চমৎকার ভাবে আপনি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। নাটকটি যদিও আমার দেখা হয়নি।আশাকরি সুযোগ মতো দেখে নেব।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে। আসলে আপনি একদম ইউনিক একটি নাটক শেয়ার করেছেন আসলে এই নায়ক এবং নায়কার নাটক আগে আমি কখনো দেখিনি আপনার শেয়ার করা নাটকের মাধ্যমে দুজনকে চিনতে পারলাম। মেয়েটি সব দেনা পাওনা শেষ করে ছেলেটির কাছে চলে এসেছিল। বাকিটা জীবন তার প্রেমিকের সাথে কাটাবে বলে। এই খুশিতে গ্রামের লোকের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল বিষয়টা বেশ মজার। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য সময় পেলে অবশ্যই আপনার শেয়ার করা নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।
আসলে এটা সত্যি যে ভালোবাসা থেকে বড় শক্তি আর কিছুই নেই। ভালোবাসার কাছে সবকিছুই হার মানে। দুইজনের ভালোবাসাটা যদি এক থাকে তাহলে পুরো পৃথিবীটাও জয় করা সম্ভব। এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে আমার তো এই নাটকটা দেখার অনেক বেশি ইচ্ছে জেগেছে।। তাই আমি ভাবছি যখনই সময় পাবো তখনই এই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ।
আপু সত্যি কথা বলতে সুখ অসুখ নাটকটা আমি আজকে সকালেই দেখেছি। আসলে আমি সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। আমার কাছে এই ধরনের নাটক গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে দেখতে। আমি যখন এই নাটকটা দেখেছিলাম আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে এরকম ভালোবাসার সম্পর্ক দেখলে একটু বেশি ভালো লাগে। আসলে ভালোবাসা কোন বাধা বিপত্তি মানে না। ভালোবাসা সব সময় সবকিছুকে জয় করে নিতে পারে।