রক্তের সম্পর্ক বলতে কিছু নেই, শূন্য পকেটে পৃথিবী ভয়ানক
শূন্য পকেটে পৃথিবী ভয়ানক
রক্তের সম্পর্ক বলতে কিছু নেই, শূন্য পকেটে পৃথিবী ভয়ানক। এই কথাটার মধ্যে আপনি বাস্তবতা খুঁজে পাবেন। বাস্তবতা এমন একটা জিনিস যা কোনো কথার জ্বালে আটকায়না, যা কোনো মায়া বুঝে না, যা কোনো ভালোবাসা বুঝে না, যা কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক বুঝে না। আমরা মুখে হয়তো অনেক কিছুই বলতে পারি, আর সেই মুখে বলা অনেক কথা বাস্তবে করতে পারি না। আমরা আবেগ দেখে, কথা শুনে, পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেককেই অনেক রকমের আশা,ভরসা কিংবা কথা দিয়ে থাকি কিন্তু বাস্তবে সেই কথা কখনোই রাখতে পারি না।
আজ আপনার পকেট ভর্তি টাকা আছে তাই আপনার সবাই আছে, সাথে আছে আপনার সম্মান, ইজ্জৎ, আর আছে ভালোবাসা। আর যখন আপনার পকেট থাকে ফাঁকা তখন সেই আপনি হয়ে যাবেন একজন অবহেলিত মানুষ, পরিবারের বোঝাঁ আর একজন কুলাঙ্গার সন্তান। একজন বেকার সন্তান সবার চোখে যেন অভিশপ্ত। মায়ের কাছে বেকার সন্তান হয় কুলাঙ্গার, স্ত্রীরির কাছে একজন বেকার স্বামী হয়ে থাকে বিষাক্ত ও অবহেলিত। পরিবারের সবার কাছে বোঝাঁ আর আত্মীয়জনদের কাছে হয়ে থাকে অসম্মানিত। সেই মানুষটার সাথে যেন কারোর এই ভালো ভাবে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। ইচ্ছা করেনা কাছে ডাকতে, ইচ্ছা করেনা সেই মানুষটার প্রতি একটু নির্দয় হয়ে ভালোবাসা দেখাতে।
শুন্য পকেটে আপনি আত্মীয়স্বজনদের কাছে তো কোনো সম্মানের আশা করতে পারবেন এই না বরং নিজের পরিবারের কাছে পর্যন্ত সবসময় ছোট হয়ে থাকতে হয়। বেকারত্ব যেন একটা পুরুষের জন্য অভিশাপ। কেউ কেউ শুন্য পকেটে অস্তিরতা অনুভব করতে থাকে আর অপেক্ষা করতে থাকে তার শুন্য পকেট পূর্ণ করার দিনের আশায়। কারণ দিন কখনো সবসময় একই রকম থাকে না। শুন্য পকেটে থাকা ঠিক সেই মুহূর্তে চেনা যায় প্রতিটি মানুষকে, চেনা যায় পরিবারকে , চেনা যায় কাছের মানুষটাকে, চেনা যায় আত্মীয়স্বজনদের, চেনা যায় কাছের বন্ধুদের।
অসুস্থতা, বিপদগ্রস্থ, বেকারত্ব এই বিষয় গুলো সব প্রায় একই প্রকৃতির। এই সময় গুলো মানুষের জীবনে আসবেই, তবে কোনোটায় স্থায়ী নোই। আর এই সুযোগে এই সময়ের মধ্যে চেনা যায় অনেক মানুষেকে। দেখা যায় অনেক আসল চেহেরা কিংবা আসল রূপ। তাই আমি বলবো যে আপনি আজ একজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন কিংবা অবহেলা করছেন হয়তো সময়ের পরিবর্তনে আপনি নিজেও সেই অবস্থানে চলে যেতে পারেন। আর তখন যদি আপনার সাথেও সবাই ঠিক এই ব্যবহারটায় করে তাহলে আপনার অনুভূতি কেমন কাজ করবে? তাই যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতে একজনকে ছোট না করে তাকে ভালোবাসা দিয়ে উৎসাহিত করুন ও তাকে ভালো কিছু করার প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তুলুন।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আসলেই পকেট শূন্য থাকলে কিংবা বড় ধরনের কোনো বিপদে পরলে মানুষ চেনা যায়। ছোটবেলায় শুনতাম রক্তের সম্পর্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পর্ক এবং রক্তের সম্পর্ক কখনোই ছিন্ন হয় না। কিন্তু বর্তমানে রক্তের সম্পর্ক ছোট ছোট কারণেও ছিন্ন হচ্ছে এবং এমন ঘটনা অহরহ দেখা যায়। মা বাবা হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে আপন। সেই মা বাবা ও ছেলের পকেট শূন্য থাকলে দেখতে পারে না। বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষ স্বার্থপর। সবাই শুধু নিজের কথা ভাবে। কারো বিপদে কেউ এগিয়ে যায় না। সুতরাং বর্তমান যুগে খুব হিসাব নিকাশ করে চলতে হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু শূন্য পকেটে সবারই ভালো করে চেনা যায়।আসলে নিজের টাকা না থাকলে তখন রক্তের সম্পর্ক দূরে চলে যায়। সত্যি আপু সবাই বলে বাবা মার কাছে সবাই সমান আসলে কি তাই?যে সন্তানের কাছে টাকা পয়সা বেশি আছে সেই সন্তানকে বাবা মা একটু বেশি ভালোর চোখে দেখে। সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
একেবারে নির্মম সত্য কথা । পৃথিবীটা অনেক কঠিন জায়গা। এখানে টাকা ছাড়া কোনই দাম নেই। শূণ্য হাতে কোথাও মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। আজকাল আত্নীয় স্বজনগুলোও সেরকম হয়ে গেছে। অর্থ না থাকলে কেন জানি কোন দামই দিতে চায় না। আপু বেশ গুছিয়ে কিছু বাস্তাব সত্য কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার কথা গুলোর প্রতিটি কথাই যেন চরম সত্য কথা।
অপ্রিয় হলেও সত্য এবং বাস্ত কথা গুলো।আসলে তাই শূন্য পকেটে পৃথিবী ভয়ানক। মা বাবা পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন সবার কাছেই বোঝা।ঠিক বলেছেন এই সময় চেনা যায় এই মানুষ গুলোকে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
বাস্তব কথা আপু শূন্য পকেটে পৃথিবী খুব ভয়ানক।রক্তের সম্পর্ক বলেন আর যাই বলেন না কেন।পকেটে টাকা না থাকলে কোন জায়গায়ই দাম পাওয়া যায় না।আপনি খুব চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন। আপনার লেখাগুলো খুবই বাস্তবতা নির্ভর।বর্তমানে বেশীর ভাগ মানুষ স্বার্থপর।টাকা আছে যার তার খুব কদর আজকাল।চমৎকার এই বিষয়টিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।