চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল |
|---|
হ্যালো বন্ধুরা।
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হলাম।
আজকে আমি অন্যান দিনের থেকে একদম আলাদা ও ভিন্ন রকম একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার আজকের রেসিপিটি হলো চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল। এই থানকুনি পাতা সকল জেলাতেই গ্রামঅঞ্চলে পাওয়া যাই, তবে অনেকের কাছে অনেক নাম পরিচিত এই থানকুনি পাতা। আমি নিজেও এই পাতার কয়েকটি নাম জানি। আপনারা কোন নামে চিনেন ও কি নাম আপনাদের কাছে পরিচিত আমাকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ছোটবেলায় দেখতাম বাড়ির আশেপাশে ও ঝোপঝাড়ে থানকুনি পাতা অনেক জন্মাতো। আর সেগুলো তুলে এনে ভর্তা অথবা ভাজি করে খেতাম। কি যে স্বাদ লাগতো তখন বলে বুঝানোর মতো না। আপনারা হয়তো অনেকেই এই থানকুনি পাতার ভর্তা অথবা ভাজি খেয়েছেন। আমরা সকলেই জানি এই থানকুনি পাতা অনেকটা ওষুধ পাতার মতো। আমাদের মানব দেহের অনেক উপকারে আসে ও অনেক সমস্যা সমাধান করতে থানকুনি পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজকে আমি চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি। এই ঝোলটি স্যুপের মতো করে খাওয়া যেতে পারে যা শরীরের অনেক উপকারে আসবে।
এখন হয়তো আগের মতো এই থানকুনি পাতার স্বাদ টা পাওয়া যাই না তবে আমার বিশ্বাস উপকারিতা আগের মতোই রয়েছে। এখন শহরে কিংবা গ্রামের বাজার গুলোতে প্রায় সময় থানকুনি পাতা কিনতে পাওয়া যাই। আমাদের সকলের উচিত এই থানকুনি পাতা খাওয়া। আপনি চাইলে যেকোনো ভাবে এটি খেতে পারেন। তবে চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল স্যুপের মতো করে রান্না করে খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। চিংড়ি মাছ , থানকুনি পাতা ও প্রয়োজনীয় কিছু মসলা ব্যাবহার করে সহজ ভাবেই রান্না করা হয়েছে এই রেসিপি। আপনিও চাইলে বাসায় এটি তৈরি করে খেতে পারেন।
আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কি ভাবে বাসায় চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল তৈরি করেছি। চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল তৈরির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে একে একে শেয়ার করেছি ও ছবির মধ্যে লিখে দিয়েছি। আপনারা খুব সহজেই আমার পোস্ট দেখে বাসায় এভাবে চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল তৈরি করতে পারেন ও শিখে নিতে পারেন। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার আজকের চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল তৈরিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক...........
আমার আজকের বাসায় তৈরি চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল রেসিপি কেমন হয়েছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের আঞ্চলে এই নামে ডাকে থানকুনি । তবে আমি এটি প্রথম কোন মাছের সাথে রান্না করতে দেখলাম। থানকুনি পাতার রস করে খেলে কিছু রোগ ভালো হয় যেমন -হজম ক্ষমতার উন্নতি এবং আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর আর বিশেষ করে এই পাতা খেলে পেটের রোগের নিরাময় হয়। যা আমি প্রমানিত নিজেই। জানি না রান্নার স্বাদ কেমন হয়েছে। শুভকামনা
থানকুনি পাতার মধ্যে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আর এই থানকুনি পাতা দিয়ে ভর্তা ,ভাজি ,রস ও স্যুপ এমন অনেকভাবেই খাওয়া যায়।
আপু আমার এলাকায় থানকুনি পাতা ঢোলমন পাতা হিসেবে পরিচিত। এই থানকুনি বা ঢোলমন পাতার ঔষধি গুণাবলী রয়েছে বলে অনেক নাম শুনেছি। বিশেষ করে আমার নানী এই পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঔষধ হিসেবে তৈরি করে খেত। আর সেই ঔষধি গুণাবলীর পাতা দিয়ে আপনি চিংড়ি মাছের সাথে ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে অনেক অনেক মজার হয়েছে। আজ নতুন করে বলার মতো কিছু নেই, কেননা সব সময়ই আপনার রেসিপি গুলো অনেক অনেক মজার হয়ে থাকে। ভিন্ন স্বাদের চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি এটির কয়েকটি নাম জানি, তবে ঢোলমন এই নামটি এই প্রথম শুনলাম।
থানকুনি পাতা কে আমাদের এলাকাতেও থানকুনি পাতাই বলে আপু।
যাইহোক আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু, খুবই ইউনিক একটি রেসিপি আপনি আজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে আপনার উপস্থাপন করা রেসিপিটি খুবই ভালো লেগেছে । যদিও আমি চিংড়ি মাছ খুব একটা খাই না হিহিহি।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলে ঔষধি উপকারী খাবার যেমনই হোক না কেন সবার খাওয়া উচিত।
থানকুনি পাতা আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আমি প্রায় সময় থানকুনি পাতা দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খাই। তবে থানকুনি পাতার ঝোল দিয়ে চিংড়িমাছ এটি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম প্রথমবারের মতো ধন্যবাদ আপনাকে।
থানকুনি পাতার ভর্তা ও ভাজি আমি অনেক খেয়েছি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
থানকুনির পাতা একটি মাল্টি ভিটামিন এবং ঔষধের অনেক উপকারে আসে আপনি চিংড়ি মাছের সাথে খুব লোভনীয় প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল
এই রেসিপিটি কতটুকু সুস্বাদু হয়েছে এটি বড় কথা নয়, সবচেয়ে বড় কথা হল এটি অনেক উপকারী একটি খাদ্য।
আপু চিংড়ি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার ঝোল আমি আগে কখনো খাইনি। থানকুনি পাতা অবশ্য আমি ভালো করে চিনলাম না আর যেহেতু এই পাতার ভর্তা বা ভাজি আমি আগে কখনো খাইনি তাই এটা সম্বন্ধে ভালো - মন্দ কিছু বলা আমার ঠিক হবে না। কিন্তু চিংড়ি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার স্যুপের মত আপনি যে রেসিপিটি করেছেন এটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। চিংড়ি মাছ ও থানকুনি পাতা দিয়ে ঝোল রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
থানকুনি পাতা চিনে না এমন কেউ নেই, তবে আমার বিশ্বাস আপনি অন্য কোন নামে চিনেন। বাংলাদেশের সকল অঞ্চলেই থানকুনি পাতা হয়ে থাকে। আর থানকুনি পাতা অনেক রোগ নিরাময় কাজে সহযোগিতা করে।
ঠিক বলেছ তুমি থানকুনি পাতা তে অনেক প্রাকৃতিক পুষ্টি গুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন থানকুনি পাতা খাওয়ার।তোমার রান্না করা চিংড়ি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার ঝোল রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে।আমি থানকুনি পাতা বিশেষ করে শিং মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়েছি, কখনো চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি।তোমার এই রেসিপিটি দেখে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম আর তুমি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছ। ধন্যবাদ,তোমাকে এতো সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
থানকুনি পাতার মধ্যে এমন কিছু বিশেষ গুন রয়েছে যা সত্যিই মানবদেহের জন্য অনেকে উপকারী। তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে মন্তব্যটি করার জন্য।
চিংড়ি মাছের সাথে থানকুনি পাতার ঝোল দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
এই রেসিপিটি সুস্বাধু এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আসলে এটি একটি ঔষধি ও উপকারী খাবার।
আপা আপনার তৈরি করা রেসিপিটি আমার কাছে একটি ইউনিক রেসিপি মনে হয়েছে। আমি কখনো এই ধরনের রেসিপি খাইনি। কিন্তু আপু আপনার এই রেসিপিটি দেখার পর আমার খেতে ইচ্ছা করতেছে। 😋😋😋 চিংড়ি মাছের রেসিপি আমি খুবেই পছন্দ করি। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছে। সব মিলিয়ে আপনার পোস্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আপনাকে একটা ধন্যবাদ আপু।
থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুনাগুন,যা খেলে মানুষ কয়েক রকম সমস্যা থেকে সমাধান হতে পারে।
প্রথমে ভেবেছিলাম ডাল এর রেসিপি হয়তো। ছবি দেখে আরকি। পরে দেখলাম না এ তো অন্য রেসিপি। আসলেই আপু থানকুনি পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তবে কিছু মানুষ এটা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো বহু আগে।
গুজবে কখনো কান দিতে নেই। আর আমরা নিজেরাই এর থেকেও অনেক উপকার পেয়েছি এবং এখনো পেয়ে যাচ্ছি।