দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা
প্রতিদিনের মতোই রাস্তায় বের হই আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষ। কেউ যায় ক্লাসে, কেউ যায় অফিসে,কেউ যায় ঘুরতে, আবার কেউ কেউ হয়তো হেঁটে চলে গন্তব্যহীন। আচ্ছা একটা ব্যাপার লক্ষ করেছেন আমরা যার যার ঘর থেকে বের হওয়ার পরেই সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়। বাস কিংবা নিজের গাড়িতে উঠার পর কেউ হয়তো বই পড়ি, আবার কেউ পত্রিকা। কেউ কেউ আবার তাকিয়ে থাকি আমাদের মোবাইল ফোনের স্কিনের দিকে। আবার কখনো কানে হেডফোন লাগিয়ে ডুবে থাকি সুরের সাগরে। আমাদের আশেপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে সব যেন কখনো খেয়ালেই করা হয় না। আর এর থেকে মাঝে মাঝে হয়ে থাকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা যা পরবর্তীতে চাইলেও নিজেকে ঠিক করার কোনো উপায় থাকে না। আজকে আমি এমনি একটি দুর্ঘটনার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
একজন লোক যে কিনা কয়েকদিন হলো নতুন জীবনে পা রেখেছেন। শহর থেকে তার গ্রামের বাড়ি বেশি দূরে না তাই বিয়ের জন্য অফিস থেকে ছুটিটাও একটু কম দিনেরই পেয়েছিলেন। ছুটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে করেই রওনা হলো শহরের উদ্দেশ্যে। বাসায় গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে চলে যাবে অফিসে। কিন্তু সেকি তার ইচ্ছা কিংবা কল্পনাতে সেখানে গিয়ে পৌঁছাতে পারবে? সেও আমাদের মতোই গাড়িতে উঠে মনের আনন্দের গুন গুন করে গান গাইতে লাগলো ও পকেট থেকে ফোন বের করে কানের মধ্যে হেডফোন লাগিয়ে ফুল ভলিউম দিয়ে গান শুনতে থাকে এবং চোখ বন্ধ করে ডুবে যায় সুরের সাগরে।
হাইওয়েতে উঠার পর গাড়ি চলছিল বেশ গতিতে। গাড়িতে উঠার পর থেকে ড্রাইবার বেশ কয়েকবার বলেছে সিটবেল্ট পরার জন্য কিন্তু সে শুনেনি। একটা সময় ড্রাইবার খেয়াল করলো তার গাড়ির ব্রেক কাজ করছে না। অনেক্ষন ব্রেক করার চেষ্টা চালিয়ে যায় কিন্তু সে খুব ভালো ভাবেই বুঝে গেছে এখন বড় ধরণের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। তখন সে অনেক বার জোরে চিৎকার করে স্যার স্যার বলে ডাকতে থাকে ও সমস্যার কথা তাকে বলার চেষ্টা করে কিন্তু লোকটির কোনোকিছুই বুঝতে পারলো না। একটা সময় জীবন বাঁচানোর জন্য গাড়ির দরজা খুলে ড্রাইবার গাড়ি থেকে লাফ দেয় আর ঠিক তখনই সামনে থাকা একটা ট্রাকের নিচে গাড়িটি ঢুকে যায় আর এতে গাড়ির অবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
ড্রাইবারটি চলতি গাড়ি থেকে লাফ দেয়ার কারণে অনেকটা আহত হয় কিন্তু মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়। আর সেই মানুষটির লাশের প্রতিটা অঙ্গ একসাথে করতেও অনেক কষ্ট হয়ে যায়। এমন এক খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে যে তাকে দেখলে কেউ চিনতেও পারবে না যে আসলে সে কে। তার ভাগ্যে হয়তো মৃত্যু এভাবেই লেখা ছিল কিন্তু আমরা মানব জাতিরা এমন ভয়ংকর মৃত্যু কখনো আশা করি না। আমাদের সবজায়গায় সব অবস্থাতে চোখ ও কান খোলা রাখা প্রয়োজন। কখনো নিজেকে এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে দিবোনা যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমার গল্প থেকে হয়তো আমি আমার মূল কথাটি বুঝাতে পেরেছি।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
হে আপু মূল কথাটি বুঝতে পেরেছি। সুখের সাগরে হারিয়ে গেলে চলবে না। চোখ, কান সব সময় খোলা রেখে চলতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্পের মাধ্যমে বর্তমান সমস্যাটা তুলে ধরার জন্য।
আসলে একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না ৷ তাই আমাদের রাস্তায় চালা চলের সময় সতর্ক থাকা খুবই জরুরি ৷ কিন্তু আসলেই আমরা সতর্ক থাকি না ৷ সব সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখি নানান ভাবে ৷ এটাই বড় সমস্যা ৷ যাই হোক এমন ঘটনা যেনো কারো সাথে না ঘটে ৷ আমাদের সতর্ক হতে হবে , থাকতে হবে ৷
আপু চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে শিক্ষনীয় রয়েছে। একটু ভুল এর জন্য বড় দুর্ঘটনা গুলো হয়ে থাকে। তা আমাদের সব সময়ই সাবধানে থাকা উচিত। পোস্টটি পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
আমরা আজকাল মোবাইল নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে পরেছি যে অন্য আর কোন দিকে আমাদের লক্ষ্য থাকে না। আর এ কারনে দূর্ঘটনার পরিমানও বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের চলার পথে সব সময় চোখ,কান খোলা রেখে চলা দরকার। একটি সুন্দর গল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের চলতি পথে সবসময় চোখ কান খোলা রেখে চলতে হবে। বিপদ আমাদের আশেপাশেই থাকে। কোন দিক থেকে বিপদ আসে কেউ বলতে পারেনা। আর এখন মোবাইল ফোনে সবার এত ব্যস্ততা বেড়ে গেছে যে বিপদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। খুবই সুন্দর একটি সতর্কতামূলক গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।