পুরোনো স্মৃতির পাতা থেকে (আহসান মঞ্জিল )
আহসান মঞ্জিল
ঢাকার সকল দর্শনীয় জায়গার মধ্যে এই আহসান মঞ্জিল বেশ জনপ্রিয় ও সৌন্দর্যময় একটি জায়গা। ছবি গুলো ১৭ নবেম্বর ২০১৯ সালের তোলা। ঘুরাঘুরি কার না পছন্দের। জীবনের একটা সময় গেয়েছে যখন প্রচুর ঘুরতাম ফিরতাম, খেতাম আর আনন্দ ফুর্তি করে সময় পার করতাম। এখনো যে আনন্দ করিনা বিষয়টা এমন না। তখন আনন্দ করার কারণ ছিল একটা এখন হয়তো আরেকটা। আজকে আমি পুরোনো স্মৃতির পাতা থেকে আহসান মঞ্জিলের কিছু ছবি শেয়ার করলাম ও আমার কিছু অনুভূতির কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।
ভালোবাসাময় আরেকটা সুন্দর মুহূর্ত। ঢাকায় আসার পর আমি সর্ব প্রথম এই আহসান মঞ্জিলে আসি। নতুন শহরে নতুন একটা দর্শনীয় জায়গায় আসতে পেরে সত্যি অনেক আনন্দিত ছিলাম সেদিন। সেদিনের আনন্দময় অনুভূতি গুলো এখনো যেন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসতে থাকে। টিকেট কিনে নিচতলার পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরের প্রতিটি রুম দেখতে দেখতে দুইতলার সামনের মেইন গেইট দিয়ে বের হয়েছিলাম। সেখানের পরিবেশটা বেশ সুন্দর ও ঠান্ডা। কারণ এই আহসান মঞ্জিল ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
সেখানে অনেকটা সময় আমরা দুইজন ঘুরাঘুরি করে আহসান মঞ্জিলের সামনে বসে অনেক সময় আড্ডা দেয়। এর পর চলে যাই সদরঘাটে। আর সেখান থেকে একটি নৌকা ভাড়া করে অনেকটা সময় ঘুরেবেড়ায় বুড়িগঙ্গা নদীর বুকে। নদীর ঠান্ডা বাতাস আর চারদিকে বড় বড় জাহাজ ,উত্তাল ঢেউ আর সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন এক স্বপ্নের জায়গা। হটাৎ করে নতুন কোনো জায়গায় গেলে সেটা সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা যারা সদরঘাট ও আহসান মঞ্জিল গিয়েছেন তারা হয়তো আমার অনুভুতিটা কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।
এরপর ঢাকা শহরের কিংবা বাংলাদেশের অনেক সুন্দর জায়গাই গেলেও সেই আহসান মঞ্জিলে আর যাওয়া হয়নি। তবে আমার খুব ইচ্ছা আছে সেখানে আবারো যাওয়ার ও আগের মতো আবারো একদিন বুড়িগঙ্গা নদীর বুকে নৌকা নিয়ে ব্রহ্মণ করার। পুরোনো কিছু স্মৃতি যা মানুষকে হাসতে পারে আবার কাঁদাতেও পারে, নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারে, কিছু স্মৃতি আনন্দ দিতে পারে আবার কষ্টও দিতে পারে। আমাদের সকলের জীবনেই আনন্দই ও কষ্টের কিছু স্মৃতি থাকে তবে আমাদের উচিৎ কষ্টের দিন গুলো ভুলে গিয়ে আনন্দময় স্মৃতি গুলোকে মনে করে নিজের মনকে সমবসময় আনন্দিত রাখার।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
ঠিক বলেছেন আপু পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে হাসাতে পারে আবার মাঝে মাঝে কাঁদাতেও পারে। হাসি কান্না মিলিয়েই আমাদের জীবন। আর এই জীবনের কিছু মধুর স্মৃতিগুলো বারবার দেখতে ভালো লাগে। আহসান মঞ্জিলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আবারও সময় সুযোগ হলে কোন একদিন ঘুরতে যাবেন এই প্রত্যাশাই করি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
সেই পুরনো স্মৃতিগুলো আজ শেয়ার করলেন ৷ আপু ছবি এমন একটা জিনিস ৷ ঠিক সেই সময়ে তোলা ছবি গুলো নিয়ে যায় ৷ সেই সময়ের কাটানো মুহূর্ত স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায় ৷
আপনি ২০১৯ সালে আহসান মঞ্জিল গিয়েছিলেন ৷ আর আজকে তার পুনাবৃত্তি করলেন৷ অনেক ভালো লাগে মাঝেমধ্যেই পুরনো স্মৃতি মুহূর্তগুলো যখন মনে পড়ে আর মনে পড়ে সেই পুরনো ছবি গুলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আসলেই আপু ফোনের গ্যালারিতে ঢুকলে স্মৃতির পাতায় অনেক কিছুই দেখতে পাই। ছবি গুলোই মূলত স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। আহসান মঞ্জিলের কথা শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। আপনি প্রথম ঢাকা যাওয়ার পরেই সেখানে গিয়েছেন এটা ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখলাম। জায়গাটা দেখতেও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
জীবনের সেই দিনগুলো বুঝি আবার ফেরত চান? ঘুরবেন ফিরবেন আর খালি খাইবেন? তাহলে কিন্তু নিশ্চিত ভূড়ি বেড়ে যাবে, হি হি হি। আহ! কতদিন হয়ে গেলো আহসান মঞ্জিল যাওয়া হয় না।
হাহাহা, 😄 এই দিন আর চাইলে ও ফেরত পাবো না, এখন তো জেলখানায় বন্দী জীবন চাইলে ও সব কিছু সম্ভব না। তবে ভুড়ি বাড়া থেকে এই জীবন অনেক ভালো, ভুড়ি আলা মানুষের যেই কষ্ট। 🤓
প্রতিটি মানুষের জীবনে অনেক পুরনো স্মৃতি রয়েছে সেই স্মৃতিগুলো কখনো সেই মানুষ গুলোকে হাসায় আবার কখনো কাঁদায় এই কথা আপনি ঠিক বলেছেন আপু। আপনি আপনার পুরনো স্মৃতি থেকে আহসান মঞ্জিলের অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আহসান মঞ্জিলের অনেক নাম শুনেছি আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। অনেক ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ আপনাকে
প্রত্যেকটা মানুষের কোনো না কোনো স্মৃতি আছে। এটা ঠিক পুরনো স্মৃতি মানুষকে হাসায় আবার পুরনো স্মৃতি মানুষকে কাঁদায়। আমিও বেশ কিছুদিন আগে আহসান মঞ্জিলে গিয়েছিলাম ঘুরতে। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীর বুকে নৌকা নিয়ে ঘোরা হয়নি। আপনি খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এইজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আহসান মঞ্জিল জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমিও গত ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে গিয়েছিলাম। চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সেখানে ছিলাম। ভিতরের সব কিছু দেখেছি। আপনার ছবিগওলো ধারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।