প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা ।
বর্তমানে আমরা যে সময়টাতে বসবাস করছি সেটা হচ্ছে প্রযুক্তির দিক থেকে সব থেকে বেশি উন্নত। আমরা বর্তমানে সব থেকে উন্নত মানের প্রযুক্তি গুলোর সাথে নিজেদের জীবন যাপন করছি। এক কথায় বলতে গেলে বর্তমান সময়টা হচ্ছে প্রযুক্তিক দিক থেকে সব থেকে আধুনিক।আর আস্তে আস্তে সেটা আরো আধুনিক হবে। কেননা সময়ের সাথে প্রযুক্তিও নিজেকে খাপ খাওয়ায়। তার সব থেকে বড় সাক্ষী কিন্তু আমরা নিজেরাই। একবার ভেবে দেখুন , আপনার আমার ছোট বেলার দুনিয়া আর আমাদের আজকের দুনিয়া। আকাশ পাতাল পার্থক্য। এখন আমাদের জীবনের অর্ধেক এর বেশি কাজই প্রযুক্তি নির্ভর করে।
ছোট বেলায় সব জায়গায় দেখতাম কেউ যদি কারোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতো তাহলে মোবাইল এর দোকানে গিয়ে তারপর কারোর সাথে কথা বলতে হতো। আবার অনেক জায়গায় দেখতাম মোবাইল ফোন না থাকার কারণে তারা চিঠি আদান প্রদান করার মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতো। আর এই ব্যাপারটা ছিল খুবই সময় সাপেক্ষ। জরুরি মুহূর্তে কাউকে খবর দেয়ার মতো কিছুই ছিল না তখন। সেই যুগে জন্ম গ্রহণ করে আমরাই আবার একটা মোবাইল ফোন এর মাধ্যেম পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মানুষের সাথে ভিডিও কল এর মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছি । ভাবা যায় প্রযুক্তি কত তাড়াতাড়ি উন্নত হচ্ছে।
এটা তো শুধু ছিল একটা নরমাল উদাহরণ গুলোর মধ্যে একটি। এইসব থেকেও আরো চোখ ধাঁধানো আবিষ্কার রয়েছে যেগুলো আমাদের কল্পনা শক্তিরও বাইরে ছিল কিছুদিন আগে। আর এখন বলতে গেলে সেইসব প্রযুক্তি গুলোকে ছাড়া আমাদের জীবন এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারিনা আমরা। এক কথায় বলতে গেলে আমরা সেইসব প্রযুক্তির সাথে নিজেদের জীবনকে জড়িয়ে নিয়েছি। সেই কারণে আমাদের জীবনের চলা ফেরা অনেকটা সহজও হয়ে গিয়েছে। যেইসব কাজ গুলো করার জন্য আমাদের অনেক কষ্ট পোহাতে হতো সেইগুলো আমরা মুহূর্তের মধ্যে শেষ করে ফেলছি।
যাই হোক , সব শেষে একটা কথায় বলতে চাই তা হচ্ছে আমাদের সৃজনশীলতার কোনো বিকল্প নেই। আর আমরা যত বেশি নিজেদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারবো ততই জীবনে সফলতা আনতে পারবো। তাই আমরা চেষ্টা করবো একদম সব কাজেই প্রযুক্তি নির্ভর না হতে। তো আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধৈর্য্য সহকারে এতক্ষন অব্দি পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হ্যাঁ একটা সময় ছিল যখন দূরে কারো সাথে কথা বলার জন্য দোকানে গিয়ে মোবাইল ফোন থেকে কথা বলতে হতো তখনো মানুষ ধারণা করতে পারেনি প্রযুক্তির এতটা উন্নতি হবে, মানুষ ঘরে বসে তার প্রিয়জনের সাথে ভিডিও কলে সবকিছু দেখতে পারবে কথা বলতে পারবে।
এমনটা আমরা নিজেরাই করেছি। আমার একটু একটু মনে আছে, আব্বু বিদেশ থেকে ফোন দিলে, দোকানদার ইনকামিং কল চার্জ নিতো প্রতি মিনিট ৫ টাকা। আর এখন তো বাসায় বসেই কথা বলা যায় যেকোনো দেশে থাকা মানুষের সাথে। প্রযুক্তির আসলেই অনেক দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন আপু আসলে ছোটবেলায় প্রায় সকলেই দেখেছে যদি দূরবর্তী কোনো জায়গার মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হতো তাহলে মোবাইলের দোকানে গিয়ে যোগাযোগ করা হতো মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে ছিল না বললেই চলে। ঠিক বলেছেন আমাদের সব সময় নিজেকে সৃজনশীল কাজের সাথে জড়িত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।