বিপদে ও দুঃসময়ে ধৈর্য ধারণ করুন

প্রতিটি মানুষের জীবনেই একটা কঠিন সময় আসে, আর সে কঠিন সময়ে ধর্য্য ধারন করা হচ্ছে সব থেকে বড় ব্যাপার । আর এই কাজটি আমাদের পক্ষে আরও বেশি কঠিন। আমরা যে কোনো বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য কতো কিছুই না করি, হাজার হাজার টাকাও খবচ করতে দিধাবুধ করি না, কিন্তু যদি এমনটা হয় আপনার শান্তি কিংবা ভালো সময় কখন আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তা আপনি নিজেও জানেন না। আর না জানেন তার কোনো সমাধান।

এই সময়ে আপনার জন্য একমাত্র সমাধান হচ্ছে ধর্য্য ধারণ করা। কঠিন সময়ে ধর্য্য ধারন করা আমাদের সকলের প্রয়োজন। সেটা জেনেও কি পারি আমরা ধর্য্য ধারন করতে? মুলত এটাই আমাদের মেইন সমস্যা। মুখে বলি অনেক কিছুই কিন্তু কাজের বেলায় নেই।

আসলে আমরা মানুষ জাতিটাই এমন যে অন্যর বিপদের সময় তাকে শান্তনা দেই কিন্তু নিজের বিপদের সময় কোন সমাধান খুঁজে পায় না। ধৈর্য ধারণ করা সেটাতো ইম্পসিবল। কারণ বিপদের সময় সবথেকে কঠিন কাজ হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করা, যেটা আমরা পারিনা বললেই চলে। আর তাই বলেই আমাদের সমস্যা কমে না গিয়ে উল্টো আরো বেড়ে যায়।

একটা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমরা অনেক বেশি অস্থির হয়ে পরি। কিভাবে করব, কি করব, কোথায় যাব, কার কাছে যাব, কাকে জিজ্ঞাসা করব এ ধরনের হাজার প্রশ্ন উকি দেয় আমাদের মনে। আমাদের এই ছোট্ট জীবনে হাজার বিপদের সম্মুখীন হবো আমরা। আর বিপদ যত বড়ই হোক না কেন সমাধান একটাই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

যে আমাদের বিপদ আপদ দেন তিনি আমাদের বুঝে শুনেই দেন। আমরা সেই জিনিসটারই যোগ্য যেটা আমাদের সাথে ঘটে। তাই নির্দ্বিধায় মনের সব দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে মন থেকে একজনকে স্মরণ করতে হবে ও তার উপর ভরসা করতে হবে। তিনি পারবে আপনার সকল সমস্যার সমাধান করতে। যিনি হলেন আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা।

একটা জিনিস ভাবুন !! কত জাইগায় যাবেন আপনার সমস্যা নিয়ে? কত জনের মন জয় করবেন? কত টাকা উরাবেন? শুধু একজনের মন জয় করুন তাহলে সব সমাধান। হয়তো সময় লাগবে অনেক, কিন্তু ধর্য্য ধরলে ফল ভালো হয় সেটা কিন্তু ভুল নয়।

আমাদের সৃষ্টিকর্তা সব কিছুই বুঝেন সব কিছুই দেখেন, আর আমাদের যা কিছুই উনি দেন বুঝে শুনে দেন। হয়তো আমাদের এই বিপদের মধ্যেও কোনো ভালো কিছু আছে যা আমরা জানিনা। আর যখন বুঝতে পারবো তখন বলবো আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তাই বিপদের সময় ধর্য্য হারা নয় বরং নিজেকে শক্ত করতে হবে মোকাবেলা করতে।