জীবনের কর্মব্যস্ততা

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

জীবনের কর্মব্যস্ততা

image.png

image source

জীবনের সময় গুলো কখনো শান্ত আবার কখনো অশান্ত। কখনো অস্থির আবার কখনো স্বস্থির। প্রতিটা মানুষ কোনো না কোনো কাজে ব্যাস্ত আর জীবন ও জীবিকার টানে হয়ে থাকে কর্মব্যাস্ত। আর এই কর্ম ব্যাস্ততাও যেন সবসময় একই নিয়মে কিংবা একই গতিতে চলে না। কখনো অবসর সময় ঝিমিয়ে কাটাতে হয় কিংবা মোবাইল ফোনের আলোতে সোশ্যাল মিডিয়া আর গেমস খেলে। কখনো সাধারণ গতিতেও নিজের স্বাধীন মতো কাটতে থাকে সময়। কর্ম ব্যাস্ততার সময় গুলো কি সব সময় একই রকম ? না, কখনো অনেক বেশি ব্যাস্ততা আবার কখনো সাধারণ নিয়ম। আর এখানেই হয়ে থাকে মনের বিরুদ্দে যাওয়া কিছু কষ্ট।

কষ্টের কথাটা কেন বললাম? কারণ এই কষ্টটার সাথে কিংবা এই ব্যাস্ততার সাথে নিজেকে মানিয়ে না নেয়ার কারণে। নিজেকে এই ব্যাস্ত সময়ের জন্য প্রস্তুত না করার কারণে। যখন আপনি সারা বছর এক নিয়মে কাজ করেন কিন্তু হুট করেই আপনার কাঁধে আরো অনেক গুলো কাজ এসে পড়ে তখন সত্যি অনেক বুঝা মনে হতে থাকে আর এই মুহূর্তে কষ্টটাও অনেক বাড়তে থাকে। এর কারণ হলো নিজেকে সেই কাজের জন্য প্রস্তুত না করা ও সেই কাজ নিয়ে কখনো না ভাবা।

তবে জীবন ও জীবিকার জন্য আমাদের সকলের যে কাজ করতে হয় সেই কাজের মধ্যে কর্ম ব্যাস্ততা যতই বারুক কিংবা যতই কষ্ট হোক কাজের গতি আমাদের ঠিক রাখতে হবে। কখনো বলা যাবেনা এই কাজটি আমার না কিংবা এই কাজটি আমি করতে পারবোনা। কারণ এখানে নিজের মতামত গুলোর কোনো দাম থাকে না। আবার কখনো নিজের কিছু ভুলের কারণে বেড়ে যেতে পারে জীবনের কর্ম ব্যাস্ততা।

নিজের ইচ্ছা না থাকলেও করে যেতে হয় সমস্ত কাজ কারণ এখানে নিজের কোনো স্বাধীনতা থাকে না। নিজের কোনো সমস্যাকে কেউ সমস্যা হিসেবে গণ্য করে না। কারণ একটায়, কাজটা নিজের না অন্যের উপর নির্ভর করে করে যেতে হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। যদিও সময়ের সাথে সাথে কাজের চাপ কিংবা ব্যাস্ততার মুহূর্ত গুলো কমে আসে ধীরে ধীরে। তবে এই কয়েক দিনের কর্ম ব্যস্ততা যেন কেড়ে নেই সেই পুরো বছর কাজ করার এনার্জি। নিজেকে সব সময়ের জন্য কর্মের মধ্যে ডুবে রাখলে হয়তো এত কষ্ট হয় না। তবে সবসময় স্বাভাবিক কাজের মধ্য দিয়ে যখন হুট করে কিছু কাজ এসে মাথায় পড়ে তখন মানিয়ে নেয়াটা খুব কষ্টের হয়ে যায়।

সমাপ্ত

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 9 months ago 

জীবিকার তাগিদে কাজের জন্য ছুটে যেতেই হবে সেটা আপনার ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক। যারা অভাব অনটনে দিন যাপন করছে তারাই বুঝতে পারে কাজের প্রতি ভালোবাসা কতটা থাকা উচিত কেননা দিনশেষে কাজ করে যে অর্থ হয় সেই অর্থ দিয়েই তাদের পেটের ক্ষুধা নিবারণ করে।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

আপু সত্যি বলছি আপনার কথা গুলো পড়ছিলাম আর নিজের সাথে নিজেকে মিলাছিলাম। আজ কাল যেন ব্যস্ততার কারনে জীবন চলেই না। কোন দিক দিয়ে যেয়ে রাত যায় আর দিন আসে সেটাও বুঝতে পারি না।সকাল হতে হতেই যেন রাত হয়ে যায়। আর ব্যস্ততার ক্লান্তিতে দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কিন্তু বড় কথা হলো বাস্তবতা যে এত কঠিন, তাই জীবিকার টানে আমাদের কে তো কাজ করেই যেতে হয়।

 9 months ago 

সবসময় কাজের যে গতি, তার সাথে এডিশোনাল কাজ যুক্ত হলে প্রথমে প্রথমে বেশ এলোমেলো লাগে আমারো। কিন্তু ওই যে, বলা যাবে না যে এটা আমার কাজ না বা এই কাজটি আমি পারবো না। কষ্ট করে এক্সট্রা ইফোর্ট দিয়ে করে যেতে হয়।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

আমাদের জীবনটাই হচ্ছে যুদ্ধের মত যতক্ষণ আমরা এই জীবনে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারবো ততক্ষণই ভালো থাকতে পারবো এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। জি আপু এটাও অবশ্য আপনি ঠিক বলেছেন একটা কন্টিনিউ কাজের মধ্যে যদি আরো কিছু কাজ যুক্ত হয় তাহলে সবাইকে হিমশিম খেতেই হবে সেটাও একসময় করতে করতে আয়ত্ত করে ফেলতে পারে। আমরা যতই হাপিয়ে উঠি না কেন যতই দুর্বল হয়ে পড়ি না কেন এই জীবন যুদ্ধের টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেই হবে। ভালই লিখেছেন আপু পড়ে বেশ ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

সাধারণত আমাদের সবারই একটা রুটিন বা নিয়ম থাকে। যেটা অনুসরণ করে আমরা বিভিন্ন কাজ করে। নিজেদের কাজগুলো যথাযথভাবে শেষ করি। এটা আমাদের অভ‍্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু যদি কোনভাবে অন্য কারো দায়িত্ব বা কাজ আমাদের কাঁধে এসে পড়ে তখন সেটা কম হলেও আমার কষ্ট হয়ে যায়। কারণ তখন আমাদের রুটিনের বা নিয়মের বাইরে চলে যেতে হয়।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

চাকরি জীবনে অনেক মানুষকে নিজের কাজ করার পাশাপাশি অন্যের কাজও করে দিতে হয় অনেক সময়। যারা জুনিয়র তাদেরকে সিনিয়রেরা এভাবে খাটায়। যার বা যাদের উপর এতো চাপ পড়ে একমাত্র তারাই হাড়ে হাড়ে টের পায় সেই ব্যাপারটা। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মানিয়ে নিতে হয়। কারণ বর্তমানে চাকরি পাওয়াটাই সোনার হরিণ। হয়তোবা একটা সময় মানিয়ে যায়, কিন্তু তবুও মনের মধ্যে একটা কষ্ট থেকেই যায়। প্রতিদিনের যে রুটিন থাকে সেই রুটিন অনুযায়ী কাজ করার পর একটু সময় পেলে বিশ্রাম নেওয়া যায় ফাঁকে ফাঁকে,কিন্তু বাড়তি কাজের জন্য সেটাও সম্ভব হয় না। মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনটাই এমন,যতদিন যাচ্ছে কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে। যাইহোক দারুণ লিখেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

আপু সত্যি হুট করে বাড়তি চাপ আসলে মানিয়ে নেওয়া অনেক কষ্টের। আর জীবন হলো যুদ্ধ ক্ষেত্র ।আর আমাদের বেঁচে থাকার জন্য জীবনকে কর্মব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হবে। তবে এই ব্যস্ততা একেক সময় একেক রকম। ধন্যবাদ আপু শিক্ষা মূলক একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66895.91
ETH 3499.24
USDT 1.00
SBD 2.89