উত্তরা দিয়া বাড়িতে প্রথম বার ঘুরতে যাওয়ার এক অন্যরকম অনুভূতি ও আনন্দ !! @shy-fox 10% beneficiary
আজকে আমি প্রথমবারের মতো উত্তরা দিয়া বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছি। আমি ঢাকা শহরের সব জায়গাতেই ঘুরেছি। শুধু দেখার বাকি ছিল দিয়া বাড়ির এই জায়গাটা। অনেক নাটক অনেক শর্ট ফিল্মে আমি এই জায়গাটি দেখেছি । অনেক দিন ধরেই যাওয়ার কথা কিন্তু সময় করতে পারছিলাম না। অনেক দিন পর আজ সময় হলো আমি ও আমার হাসবেন্ট সহ সেখানে গেলাম। আমি ছিলাম ঢাকা পল্টন সেখান থেকে একটা সিএনজি নিয়ে সোজা দিয়া বাড়িতে গেলাম।
দিয়া দাড়ির উপর দিয়ে এখন অনেক সুন্দর একটি মেট্রো রেলের রাস্তা হয়েছে। দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো। এই জায়গাটিতে আমি প্রথম বার আসলেও আমার কাছে খুব পরিচিত একটি জায়গা মনে হচ্ছিলো। কারণ নাটক মুভিতে এত পরিমানে এই জায়গাটা দেখেছি যে জায়গাটা পরিচিত হয়ে গিয়েছে। আমরা যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন দুপুর তিন টার মতো বাজে। মানুষ তেমন বেশি ছিল না। তবে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে মানুষের ভিড় বাড়তে লাগলো।
দিয়া বাড়ি থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট অনেক কাছে থাকার কারণে দেখা যাচ্ছিলো একটি পর পর একটি আকাশ থেকে বিমান গুলো এয়ারপোর্টে লেন্ড করছে। আমি যে দিকে তাকাই সেই দিকেই যেন আনন্দের ছোয়া খুঁজে পাই। ছোট ছোট খালের পাশ দিয়ে অনেক গুলো ফোচকার দোকান সাজিয়ে রেখেছে। আমার যেন খুব ইচ্ছা করছে পুরো দিয়া বাড়িটা ঘুরে দেখতে। ঠিক তাই করলাম। এক প্রান্ত থেকে হেটে হেটে অন্য আরেক প্রান্তে চলে গেলাম। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সেই বিল্ডিং গুলো। যা প্রতিটা মানুষের কাছে অনেক পরিচিত বিল্ডিং। নাটক মুভিতে অনেকে এই বিল্ডিং গুলোকে পিছনে রেখে অনেক অভিনয় করেছেন এক্টর রা।
আকাশের রং ছিল কিছুটা কালো। মেঘেরা খেলা করছে আকাশের বুকে। এখনই যেন বৃষ্টি নামবে। হালকা বাতাস এসে গায়ের মধ্যে ধাক্কা দিচ্ছে। ছোট ছোট কাশঁফুলেরা নিজের মতো করে উড়ছে। এই দেখে বেশ আনন্দ হচ্ছে আমার। বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ইচ্ছা করছিলো আমার কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলে বাসায় যাবো কি করে সেটাও মাথায় আছে।
এর মধ্যে নিজের অনেক গুলো ছবি তুলাও হয়ে গেছে। নাটক মুভিতে দেখা প্রতিটা জায়গা যেন আমার মুখস্ত হয়ে গেছে। আর ঠিক সেই জায়গা গুলোতে দাঁড়িয়ে আমিও আমাকে ফ্রেম বন্দি করেছি। আমার যেন এক নতুন আনন্দের ছিল আজকের এই দিন টা। নতুন এক অনুভূতি কাজ করছিলো আমার ভিতর। দিয়া বাড়ির মাঝখান থেকে শুরু করে রয়েছে অনেক গুলো নার্চারী। সেখানে সাজানো আছে হাজারো ফুল গাছের চারা । দেখলে ইচ্ছা করে পুরো নাৰ্চারিটা উঠিয়ে নিয়ে আসি।
মাথার উপর দিয়ে কিছুক্ষন পর পর বিমান যাচ্ছে অনেক বার চেষ্টা করেছি আমার মাথার উপর বিমানটিকে রেখে নিজের একটা ছবি তুলবো কিন্তু সেটা আর পারলাম না। মোবাইলের ক্যামেরা অন করতে করতে সে চলে যাই মাথার উপর থেকে সরে। তবে মনের আনন্দে তাকিয়ে থাকতাম বেশ কিছুক্ষন সেই বিমান গুলোর দিকে।
এর মধ্যে হটাৎ করেই বৃষ্টি নামলো। আমরা গিয়ে ঢুকলাম এক ফুচকা ওয়ালা মামার দোকানে সেখানে গিয়ে এক প্লেট ফোচকা অর্ডার করলাম। দুইজনে মিলে এক প্লেট ফুচকা খেতে খেতেই বৃষ্টি থেকে গেলো। বৃষ্টি হওয়ার পর আকাশ টা সাদা হয়ে গিয়েছে। হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ও লাগছিলো। এর মধ্যে আইসক্রীম সামনে দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করলো। একটা আইসক্রীম কিনে সেটাও দুইজন ভাগাভাগি করে খেলাম। ঘুরতে ঘুরতে প্রায় অনেকটা সময় পার করে দিয়েছি। এখন প্রায় সন্ধ্যা হওয়ার আগ মুহূর্ত । অনেক হয়েছে ঘুরাঘুরি। এবার বাসায় ফিরা যাক।
এতক্ষনে আমার পা দুটো বেশ ব্যথা হয়ে গেছে। কিছুক্ষন হাটছি আবার কিছুক্ষন ঘাসের উপর দুটো পা ছেড়ে দিয়ে বসছি। এভাবেই দিন পার হয়ে গেলো। তারপর সেখান থেকে একটা রিকশা নিয়ে উত্তরা হাউজবিল্ডিং চলে আসি ও বাসে করে বাসায়।
আমার আজকের এই আনন্দের দিনের কথা যদি আপনাদের সাথে শেয়ার না করি তাহলে কি হয় বলেন। আমার আনন্দ ও অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমার সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আমার সেখানে তুলা বেশ কিছু ছবির মধ্যে সুন্দর কিছু ফোটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আমিও কয়েকবার দিয়া বাড়ি গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর একটি জায়গা মন খারাপ থাকলেই এমন সুন্দর জায়গায় গেলে মন ভালো হয়ে যায়।
প্রথমবারের যাওয়ার কারণে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যটি করার জন্য।
গতকাল ডিসকোর্ড এ বিষয়ে আপনার সাথে কথা হয়েছিল। খুব সুন্দর জায়গাটা।এবং শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরের বার আমি ঢাকা গেলে এখানে ঘুরতে যাব।
জি অবশ্যই এখানে ঘুরে যাবেন বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্য ভাগ নেয়ার জন্য।
🙂🙂
আমার কাছেও উত্তরা ডিয়াবাড়ী জায়গাটা অনেক ভালো লাগে যখন কাশফুল ফোটে ঐসময়ে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে।
ভালো লাগার মতো একটি জায়গা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার জায়গাটা।অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যটি করার জন্য।