ইফতারে প্রাণ ঠান্ডা করা বাঙ্গির জুস বা শরবত তৈরি |
হ্যালো বন্ধুরা।
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি ইফতারে প্রাণ ঠান্ডা করার জন্য বাঙ্গির জুস বা শরবত তৈরি করা নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি।
সত্যি বলতে বাঙ্গি আমার মোটেও পছন্দরের ফল না। আমি অনেক ছোট থেকেই এই ফলটি দেখলে অনেক দূরে থাকতাম। আর এই বাঙ্গি ফল দিয়ে যে এত মোজদার জুস বা শরবত তৈরি করা যাই সেটাও আমি জানতাম না। একদিন আমাদের পরিচিত কেউ এভাবে বাঙ্গির শরবত তৈরি করে আমাকে পেঁপের জুস বলে খেতে দিলো। আর আমি মুখে দিয়েই বললাম এত মজা কি ভাবে করলো। আর পুরোটা খাবার পর জানতে পারলাম এটা বাঙ্গির জুস ছিল। আর তখন থেকে আমার বাঙ্গি ফলের প্রতি অনীহা চলে গেলো। তবে শুধু বাঙ্গি ফল আমি এখনো খাইনা। যদি এভাবে দুধ দিয়ে মজাদার ভাবে জুস তৈরি করা হয় তাহলে সেটাই খাওয়া হয়। আর এটি সত্যি অনেক মজাদার ও মনে তৃপ্তি আনার মতো একটি জুস। প্রতিদিন ইফতারে হয়তো অন্য কোনো জুস থাকে তাই আরেকটু ভিন্নতা আনার জন্য আজকে আমি ইফতারে তৈরি করেছি এই বাঙ্গি ফলের জুস। সেই সাথে আপনাদের সাথেও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা বাঙ্গি খেতে পছন্দ করে না ,আবার অনেকেই আছে খুব পছন্দ করে। তবে আমি বলবো যারা বাঙ্গি খেতে একদমই পছন্দ করেন না তারা অন্তন এইভাবে বাঙ্গি জুস তৈরি করে একবার খেয়ে দেখতে পারেন। আমার বিশ্বাস আমার মতো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে ও পছন্দ হবে। বাঙ্গি ফল, তরল দুধ , পাওয়ার দুধ , চিনি ও বিট লবণ একসাথে করে তৈরি করা হয়েছে এই মজাদার বাঙ্গি ফলের জুস। আর যেখানে দুধ দেয়া হয়েছে সেখানে শরবত বা জুস মজাদার হবে না তা তো হতেই পারে না। আপনারা আপনাদের ইফতারে অথবা এই প্রচন্ড গরমের যেকোনো সময় তৈরি করে নিতে পারেন বাঙ্গির শরবত বা জুস। এটি তৈরি করাটা খুবই সহজ ও অল্প সময়ে করা যাই।
আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কি ভাবে বাসায় তৈরি করেছি ইফতারে প্রাণ ঠান্ডা করার জন্য বাঙ্গির জুস বা শরবত রেসিপি। বাঙ্গির জুস বা শরবত তৈরির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে একে একে শেয়ার করেছি ও ছবির মধ্যে লিখে দিয়েছি। আপনারা খুব সহজেই আমার পোস্ট দেখে বাসায় এভাবে বাঙ্গির জুস বা শরবত তৈরি করতে পারেন ও শিখে নিতে পারেন। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার আজকের বাঙ্গির জুস বা শরবত তৈরিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক...........
আমার আজকের বাসায় তৈরি ইফতারে প্রাণ ঠান্ডা করার জন্য বাঙ্গির জুস বা শরবত তৈরি টি রেসিপি কেমন হয়েছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আমিও আপনার মত বাঙ্গি মোটেও পছন্দ করতাম না। এরপর আমার আম্মু একদিন চিনি বাঙ্গি এবং আরো কিছু ফল দিয়ে আমাকে জুস বানিয়ে খেতে দিয়েছিল, সেই জুস খাওয়ার পরে সত্যি কথা বলতে বাঙ্গি ফল টা আমার কাছে এখন খুব ভালো লাগে। আপনার ক্ষেত্রেও তো দেখছি ঘটনাটা প্রায় এক। তবে আপনি দুধ-চিনি বিট লবণ এবং বাঙ্গি ব্লেন্ড করে খুবই লোভনীয় ভাবে জুস তৈরি করেছেন। রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু টাইটেল দেখেই তো প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। আপনি অসাধারণ ভাবে বাঙ্গির জুসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আমার তো ইচ্ছে করছে দুই গ্লাস শরবত একসাথে খেয়ে ফেলি। কিন্তু খেতে তো পারব না রোজা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
বাঙ্গির জুসের রেসিপি চাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হাই হাই ... আপু এগুলা কি বলেন ?রোজা রেখে এসব বলতে নেই, রোজা হালকা হয়ে যাবে। ইফতার পর্যন্ত একটু কষ্ট করে অপেক্ষা করেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ইশ এই রোদে কি মজার একটি শরবত দিলেন,যদি ও রোজা। যাই হোক আমার নিজের ও বাঙি পছন্দ না,তবে আমি এভাবে জুস বানিয়ে খাই। ভালোই লাগে খেতে।ছবি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ দারুন হয়েছে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
হ্যা আপু এভাবে জুস বানিয়ে খেলে খাওয়া যেতে পারে, বেশ মজাদার হয়। আর এই গরমে তো কোন কথাই নেই।
আমিও বাঙ্গি ফল অনেকদিন পর দেখলাম। খায়ছিলাম কিন্তু জুস বানিয়ে খায় নাই।আসলে বাঙ্গি ফল খেতে ভালো না লাগলেও জুস আকারে তৈরি করলে খেতে ভালো লাগে আপু। আপনি দারুণ দক্ষতায় তৈরি করেছেন এবং আপনার উপস্থাপনা সবসময় অনেক সুন্দর হয়। আমাদের ও বুঝতে সুবিধা হয়। আপনি দারুণ দক্ষতায় তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বাঙ্গি ফল দিয়ে জুস তৈরি করে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর এভাবে দুধ দিয়ে তৈরি করলে অসম্ভব মজাদার হয়।
সত্যি বলতে এই বাঙ্গি ফল আমিও খুব একটা পছন্দ করি না। সব সময় দূরে দূরে থাকারই চেষ্টা করি বাঙ্গি ফল থেকে। তবে আপনার পোস্ট টি পড়ার পর মনে হচ্ছে এখন আমিও বাঙ্গি ফল খেতে পারব। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে ভালই হবে। আমি অবশ্যই ট্রাই করে দেখব বাঙ্গি ফলের জুস। ধন্যবাদ আপু।
বাঙ্গি ফল খেতে পারবেন কিনা আমি জানি না, তবে আমার মতো করে এভাবে দুধ দিয়ে জুস তৈরি করতে পারলে অনেক মজা করে খেতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রচন্ড গরমের সময় এখন, তাই ইফতারিতে অবশ্যই জুস খাওয়া প্রয়োজন। আর আপনি সেই জুস সুন্দরভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাঙ্গি ফলের জুস খেতে খুবই ভালো লাগে।
প্রচন্ড এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা জুস যেন ভিতরটাকে ঠান্ডা করে দিয়ে যায় ও একটা শান্তি নিয়ে আসে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় আমার বাবা আমাকে বাঙ্গি ফল খাওয়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি কখনোই বাঙ্গি ফল খেতে চাইতাম না। যদিওবা বাবার জড়াজড়িতে ছোটবেলায় একটু আকটু খেতাম কিন্তু বড় হওয়ার পরে তা একদম বয়কট করে দিয়েছি। কিন্তু এখন আবার আপনার তৈরি বাঙ্গির জুস বা শরবত দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক অনেক মজার হবে। আর মজার যে হবে, তার গ্যারান্টিতো আপনি দিয়ে দিয়েছেন। আপু আপনি যেহেতু বাঙ্গির জুস বা শরবত খেতে অনেক ভালো লাগে বলেছেন তাই আমিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করছি এই জুস খেলে অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে। অত্যন্ত সুস্বাদু করে তৈরি করেছেন প্রাণ ঠান্ডা করা বাঙ্গির জুস। আর তৈরীর পরে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি বাঙ্গি ফল না খান তবে এভাবে বাঙ্গি ফলের জুস তৈরি করে খেতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনার কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি নিজেও বাঙ্গি ফল মোটেও পছন্দ করি না।আমার কাছে এটি একদমই ভালো লাগে না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খুব সুস্বাদু হয়েছে ।কারণ দুধ দেয়ার কারণে হয়তো এটি খেতে খুবই ভালো লাগবে ।তবে আমি চেষ্টা করব কোন একদিন তৈরি করার।
সত্যি বলেছেন শুধুমাত্র দুধ দেয়ার কারণে এই জুসটি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়েছে এবং মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু দুপুরের সময় আপনার জুস দেখে গলা যেন আরো শুকিয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এখনই গলা শুকিয়ে গেলে তো সারাদিন আপনার কষ্ট হবে, আপনি ঠান্ডা একটি জায়গায় গিয়ে বসেন। হাহা......
আপু সারাদিন পাখার নিচে থাকার পরেও প্রচন্ড গরম লাগে কি আর করা। গলা এত বেশি শুকিয়ে থাকে আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।
এই গরমে জুস যেনো একটু ঠান্ডার ছোয়া নিয়ে আসে। ব্যাক্তিগত ভাবে বাঙ্গি আমার খুবই পছন্দের। তবে বাঙ্গির জুস কখনো খাওয়া হয়নি। এখন তো বাঙ্গির সিজন। দেখি একদিন ট্রাই করতে হবে। এমনি খাইতেই তো সেই ভালো লাগে সে হিসেবে জুস মনে হয় আরো মজা হবে।