স্বরচিত কবিতা - অহংকার
অহংকার পতনের মূল আমরা সবাই জানি, তবে কি কোনোভাবে বেঁচে আছি আমরা অহংকার থেকে? সামান্য একটা দামী কাপড়, দামি প্যান্ট, দামি জুতো পড়লে আমরা অহংকার দেখায় । অহংকারের নেশায় নিজেকে নিজেই যেন ভুলে যায়।
পৃথিবীতে এমনও হাজারো কাহিনী আছে যাদের অহংকারের কারণে পতন হয়েছে। কারণ অহংকার কখনো উন্নতি ঘটায় না পতন ছাড়া। দিনের পর দিন মানুষকে অত্যাচার অনাচার করে চলেছি, কখনো কি ভেবে দেখেছি তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটা পাব কিনা!!
অহংকার নয় আসুন বদলে যায়। গরিবের হক নষ্ট না করি, নিজের সম্পদ থেকে তাদেরও ভাগীদার করি। অন্যায় ভাবে কাউকে অপমান না করি। কারো মনে কষ্ট না দেই। কারণ এই দুনিয়া দুদিনের। যতই ধন-সম্পদের গরিমানায় অহংকার করি না কেন একদিন তো মাটির নিচে যেতে হবে। এমনি কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে আমার আজকের লেখা কবিতা। আজকে আমি অহংকার নামে একটি কবিতা কিছু লাইন লিখেছি ও মনের অনুভূতি দিয়ে মনের কথা গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার লেখা কবিতার লাইন গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.......
অহংকার |
---|
কারন অহংকার অন্তরকে করে ক্ষয়।
কিছু মানুষ আছে যারা নিজেকে ভাবে অনেক কিছু,
তাই অহংকারও ছাড়ে না তাদের পিছু।
যেখানে সেখানে মানুষকে অপমান করা,
তবে নিজের বাস্তবতাকে কখনো
দেয় না ধরা।
তবে সম্পদ আছে অনেক,
তাইতো মাটিতে পা পড়ে না
সামান্য একটু খানেক।
করবে কে তাদের মানা,
জ্ঞান দিতে গেলে বলবে দূর হ দূর হ
এই সবই আমাদের জানা।
সব শেষ হবে একদিন,
সম্পদ ফুরাবে যৌবন দৌড়াবে
কিভাবে দেবে অপমানের ঋণ।
কেন এত অহংকার।
এই গরীমানা কি করবে তোমায়
বিপদ থেকে পার।
শুধরে এসো তীরে,
নয়তো বা একা থাকবে তুমি
ওই আগুন লেলিহার নীড়ে।
তার কি আছে কোন খোঁজ,
অন্যের হক কে নষ্ট করে
পার্টি দিয়ে করেছ ভুজ।
নেই একটু অনুতপ্তের খেলা,
এই অহংকার থাকবে না বেশিদিন
ভেসে যাবে হয়ে ভেলা।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপু, আপনার লেখা "অহংকার" কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে অহংকারের মাধ্যমে মানুষ তার নিজের পতন দেখে আনে। আর অহংকারী মানুষ সহজে অন্যের উপদেশ গ্রহণ করতে চাই না। আমাদের সকলের উচিত অহংকার পরিত্যাগ করে স্বাভাবিকভাবে সকলের সাথে মিলেমিশে বসবাস করে।
আপনার কবিতা বরাবরের মতো আজও অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনার কবিতার লাইনগুলো খুব ভালো লাগলো। এই অহংকার মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে।অহংকার করা ভালো নয়।অহংকারী মানুষ নিজেদেরকে মানুষ ভাবে আর বাকিদের তা মনে করে না।এই অহংকার করে নিজেরই বিপদ ডেকে আনে।কবিতাটি চমৎকার হয়েছে আপু।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আপু আপনার অহংকার কবিতা টি পরে আমার খুব ভালো লাগলো। আসলেই আপু অহংকার পতনের মূল।এই অহংকার এর জন্য অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। যার মনে অহংকার আছে সে এক দিন ধ্বংস হবেই। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
বাহ!! আপু চমৎকার। আপনি তো দেখছি খুব বড় মাপের লেখিকা। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা অহংকার কবিতাটি পড়ে।আসলেই অহংকারই পতনের মূল। অহংকারের জন্য অনেক আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায। যার মনে অহংকার থাকবে সে একদিন ধ্বংস হবেই । আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। খুব সুন্দর কবিতা লেখেন আপনি।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা আপু।
অনেক সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের সাথে। অহংকার করা কিছুতেই ঠিক না।মানুষ অহংকারের জন্যই একদিন অধপতন ডেকে আনে তার জীবনে। গরীবের হক নষ্ট না করে তাদের সুখে দুখে তাদের পাশে থেকে যাওয়াই আমাদের দরকার। আর এ বিষয় টি নিয়ে অসাধারন একটি কবিতা লিখেছেন আপনি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি বিষয় নিয়ে কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতাটি পড়ছিলাম আর নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করছিলাম নিজের মধ্যে কোন অহংকার আছে কিনা। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু অহংকারী মানুষ প্রতিটা পদেই অন্য মানুষদের অপমান করার চেষ্টা করে। আসলে মানুষ মিনিটের মধ্যে ধনী এবং ফকির হয়ে যেতে পারে কোন ঠিক নেই তাই আমি মনে করি মানুষের কোন অহংকার করা উচিত নয়। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য।
বেশ সুন্দর একটি কবিতা রচনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি কথা বলেছেন এই কবিতার মধ্যে,অহংকারী মানুষেরা নিজেদেরকে বড় মনে করে আর অন্য মানুষদেরকে অপমানিত করে থাকে কিন্তু তারা যে সবচেয়ে নিচু জঘন্য সেটা কিন্তু বুঝতে চায় না।
বাহ আপু খুব চমৎকার একটি কবিতা আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার কবিতাগুলো অনেক চমৎকার হয়।আর প্রত্যেকটি কবিতার লাইনগুলো অর্থবহুল হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য।