নিজেকে সময় দেয়া।
বর্তমানে আমরা আমাদের জীবনে খুবই বেশি ব্যস্ত থাকি। এই কাজ সেই কাজ , সব কিছু মিলিয়ে যেন ঠিক থাকে ভাবে ঘুমটাও হয়না। শুধু মাত্র কাজের চিন্তায়। এই না সময় পেরিয়ে গেলো , এই না দেরি হয়ে যাচ্ছে। আসলে ব্যাপারটা শুধু নারী পরুষের নয়, পুরুষদের যেমন দায়িত্ব থাকে তেমনি আমরা নারীদেরও দায়িত্ব আছে। তেমনি দায়িত্ব পালনে আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। কখন কোন কাজটা করা লাগবে , এই দেরি হয়ে যাচ্ছি কিনা। এইসব চিন্তা সব সময়ই মাথায় ঘুরতে থাকে। তো দেখা যায় দিন শেষে সব কাজ শেষে নিজেদেরকে কিছু সময় দিতে পারি না। ঠিক থাকে ভাবে অনেক সময় ঘুমও হয়না।
যদিও নিজের সংসার নিজেকেই সামলাতে হবে এটা নিয়ে আমার মোটেও কোনো সমস্যা নেই। বরং আমার কাছে আমাদের নিজের সংসার গুছাতে আরো বেশি ভালো লাগে। আর আমি মনে করি আমি যদি নিজের হাতে আমার সংসার সাজাই তবেই আমার সংসার সুন্দর হবে। যাই হোক , তো এইসব করতে করতেই দিন প্রায় শেষের দিকে হয়ে যায়। আর বাবুকে নিয়েই যত দুষ্টামি। ওর সাথে দুষ্টামি করে কি সময় ফুরানো যাবে ? যতই বেশি দুষ্টামি করি ততই করতে ইচ্ছে করে। আর দিনের বেলা কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু পর পর এসে ওর সাথে খেলা করা হয় তা তো আপনারা বুঝতেই পারবেন আশা করছি।
তবে এইসব শেষেও আমার মনে হয় আমাদের নিজেদের কিছু সময় দেয়া উচিত। যেমন এই ধরুন কিছুক্ষন বিশ্রাম , অথবা কিছুক্ষন শরীর চর্চা । এইগুলো করার মাধ্যমে আমরা আরো বেশিদিন সুস্থ সবল থাকতে পারবো। এবং আরো লম্বা সময় ধরে নিজের হাতে পরিবারকে সামলাতে পারবো। এইগুলো হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি। তাই আমি মনে করি , সব কিছু করার মধ্যে দিয়েই আমাদের নিজেদের সামান্য কিছু সময় বের করা উচিত। যাতে আমরা সেই সময়টা আমাদের সমস্যা অথবা আমাদের নিজেদের সুস্থ সবল জীবনের জন্য কাজে লাগাতে পারি।
আমি জানি এতো কাজের ফাঁকে আলাদা করে সময় বের করা অনেক কঠিন। আমিও সেটা উপলব্ধি করতে পারি কিন্তু তাও কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের কিছুটা সময় নিজেদের জন্য রাখা উচিত। যাই হোক , আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Whole heartedly agreed with taking time to ourself as it grounds us with the tasks of life. Rest well, eat well, recuperate your soul.
নিজের জন্য আলাদা সময় থাকলে সেটা নিজের প্রতি কনফিডেন্স বাড়িয়ে দেয় যে কোন কাজের ক্ষেত্রে মনোবল বৃদ্ধি করে সেই সাথে নিজের মন মানসিকতা পরিবর্তন হয় এটা আমি বাস্তব জীবনে উপলব্ধি করেছি।
কাজের ফাঁকে নিজেকে সময় দেওয়া উচিত কেননা নিজের ভালো থাকতে হলে নিজেকে সময় দিতে হবে।শরীরচর্চা থেকে শুরু করে নিজের পার্সোনাল কাজ গুলো করলে তবেই ভালো থাকা সম্ভব।তবে সময় বের করাটা সবারই কষ্টের কাজ।তারপর ও চেষ্টা করতে হবে নিজেকে সময় দিতে।ভালো লাগলো টপিকটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই প্রতিটি মানুষের উচিত নিজেকে সময় দেওয়া। কারণ জীবন একটাই, আর এই এক জীবনে আমাদেরকে সবকিছু করতে হয়। তাই সবকিছু ব্যালেন্স করে চলা উচিত আমাদের। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে নিজের জীবনটাকে উপভোগ করতে পারে না। এমনকি নিজের যত্ন নিতে পারে না এবং জীবনের কোনো শখ আহ্লাদ পূরণ করতে পারে না। তাছাড়া পরিবারকেও সময় দিতে পারে না। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।