অভিমান থেকে অসম্মান
অভিমান থেকে অসম্মান
অভিমান করা হয়তো এটা একটা ভালোবাসার পার্ট। যাকে ভালোবাসি তার সাথেইতো অভিমান করবো এটা কি স্বাভাবিক নয় ? তবে এই অভিমান যদি অহংকারে পরিণত হয় তাহলে বিষয়টা কেমন দেখাই। নাহ অভিমানের সাথে অহংকার বিষয়টা একদম যায় না আর অহংকার কোনো ভাবে কারো সাথেই করা ঠিক না সেটা হোক ভালোবাসার মানুষ কিংবা অন্য কেউ। একটা মানুষ কখন অভিমান করতে পারে যখন তার প্রিয়জন তাকে আঘাত দিয়ে কিছু করে বা বার বার না করা সত্তেও এমন কিছু করে। এছাড়াও আরো হাজার রকমের কারণ থাকতে পারে। একেকজন মানুষের কাছে একেক রকম অভিমান করার কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে তবে আমরা অন্য কারো অভিমানের কারণ না খুঁজে নিজেদের কারণটাই খুঁজতে থাকি।
ভালোবাসলেই কেউ অভিমান করতে পারে আর এই অভিমান থেকেই হয়তো ভালোবাসারও প্রকাশ ঘটে কিন্তু একটা কারণে একটা মানুষ কতক্ষন অভিমান করে থাকতে পারে? আসলে এটারও সঠিক ভাবে সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারবে বলে আমার মনে হয় না কারণ এটাও যার যার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। কেউ হয়তো এক ঘন্টা আবার কেউ হয়তো একদিনও অভিমান করে থাকতে পারে। এখন আমরা অভিমান থেকে একটু অন্যদিকে যায় আর সেটা হলো অভিমান থেকে অসম্মান। অভিমান থেকে অহংকার বিষয়টা একদমই না আসলেও অসম্মান বিষয়টা আসতে পারে। আমরা জানি আমাদের সকলেরই একটা পার্সোনালিটি রয়েছে আর সেই পার্সোনালিটি থেকে কেউ আমাদের অসম্মান করুক সেটা আমরা কেউ মেনে নিতে পারি না।
তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই অভিমান করতে পারো কিন্তু অভিমান থেকে কখনো অসম্মান করতে পারো না। তোমার করা অভিমানের দরজা হয়তো আমি বেধ করে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবো কিন্তু যখন তুমি অভিমান থেকে আমাকে অসম্মান করবে তখন বিষয়টি আরো বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে রূপান্তর হবে। আমাদের সমাজে প্রতিটি জীবনে এমন রাগ অভিমান হয়ে থাকে এটা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু এই সাধারণ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কখনো এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা কাম্য নয় যা আমাদের ও আমাদের পরিবারকে নষ্ট করে।
জীবনকে সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করতে হলে আমাদের কারো না কারোর সেক্রিফাইস করতেই হবে। আমরা যদি সেক্রিফাইস করতে না শিখি তাহলে আমাদের সংসার জীবনে কখনো সুখ আসবে না। ছোট ছোট ভুল গুলোকে ভালবাসায় পরিনত করতে পারবো না। আমরা সবসময় চেষ্টা করবো সাংসারিক জীবনে রাগ ও অভিমান গুলোকে ভালবাসায় পরিনত করে ভালো থাকার। কখনোই এই ছোটখাটো বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করব না যা আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। অভিমান থেকে যেমন অহংকার বিষয়টা মোটেও করা ঠিক না ঠিক তেমনি কখনোই অভিমান থেকে কাউকে অসম্মান করাটাও অন্যায়।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
দারুন লিখেছেন আপু। অভিমান থেকেই অহংকারের জন্ম নেয়। আর অহংকার থেকেই মানুষ অন্যকে অসম্মান করতে শেখে। আপনি আপনার এই লিখার মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন খুব সুন্দর ভাবে।ভালোবাসায় অভিমান মানানসই কিন্তু অসম্মান নয়। খুব ভালো লেগেছে আপু।
আসসালামু আলাইকুম আপু। আশাকরি এই শ শীতের আমেজ নিয়ে সবাইকে নিয়ে ভাল আছেন।
আজকের পোস্টটি পড়ে খুব ভাল লাগলো। সংসার জীবন বা এমনিতে ও মান,অভিমান, ভুল বোঝা বুঝি তো থাকবেই কিন্তু সেটাকে অহংকারে পরিনত করা ঠিক হবে না।ভালবাসার মানুষ বা যে কেউ অভিমান করলে অভিমান ভাংগানো যায় কিন্তু যদি অসম্মান করে তবে তা মেনে নেয়া যায় না। সংসার জীবনকে সুন্দর করতে হলে অবশ্যই একজনকে সেক্রিফাইস মাইন্ডের হতে হবে।ওই একজনকে দেখে দেখে অন্য জন ও তখন সেক্রিফাইস মাইন্ডের হয়ে যাবে। আর এভাবেই সংসার,সমাজ সুন্দর হবে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।