জীবন ধারা
জীবন ধারা
জীবনটা অনেক সুন্দর যদি তুমি উপভোগ পারো। জীবনটা অনেক দীর্ঘ যদি তুমি সময়ের মূল্য দিতে জানো। জীবনটা অনেক মায়াবী যদি তুমি উদার মনের মানুষ হয়ে থাকো। জীবনটা অনেক হাস্যোজ্জ্বল যদি তুমি অহংকার মুক্ত মানুষ হয়ে থাকো। সত্যি যে যেমন মানুষ সে ঠিক সেই ভাবে আরেক জনকে নিয়ে চিন্তা করে। আর এই চিন্তার মধ্যে দিয়েই চলতে থাকে একেক মানুষের একেক রকম জীবন ধারা।
দোষ-গুণ, ভালো-মন্দ এগুলো নিয়েই মানুষ। প্রত্যেকটা মানুষের যেমন তার চেহারা আলাদা, শরীরের গঠন আলাদা, সৌন্দর্য আলাদা ঠিক তেমনি চিন্তাভাবনা ও কাজ কর্মের ধরনও আলাদা। আর এই আলাদা চিন্তা ভাবনা থেকেই তৈরি হয় আলাদা আলাদা দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা।
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যেভাবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে,ভিন্ন ভিন্ন কন্ঠে, ভিন্ন ভিন্ন আকৃতিতে তৈরি করেছেন ঠিক তেমনি প্রতিটা মানুষের ভিতরে ভিন্ন রকম চিন্তা ভাবনা ও ভিন্ন রকম দক্ষতা দিয়েছেন। এই পৃথিবীতে চলতে গেলে অনেক রকমের দক্ষতার প্রয়োজন। সেটা আমরা সকলেই জানি। আর আমরা প্রতিটা মানুষ একজন আরেকজনের উপর নির্ভরশীল। যদি প্রতিটা মানুষ একই রকম দক্ষতা ও চিন্তা ভাবনা নিয়ে জন্মাতো তাহলে হয়তো কেউ কারো সাহায্য পেত না।
জীবন নিয়ে অনেক ভাবে চিন্তা করা সম্ভব , জীবনকে অনেক ভাবে অতিবাহিত করা সম্ভব প্রতিটা মানুষের জীবন ধারা এক নয় প্রতিটা মানুষের চিন্তা ভাবনা যেমন এক নয় ঠিক তেমনি প্রতিটা মানুষের জীবনধারাও এক নয় জীবনকে নিয়ে অনেকভাবে আপনি চিন্তা করতে পারেন। তবে সবাই অনেক ভাবে না ভাবে যে যেমন সে ঠিক সেই ভাবেই ভাবতে পছন্দ করে।
আপনি যদি ভালো কিছু চিন্তা করেন ও সেই চিন্তার সাথে মনোযোগী হয়ে সামনের দিকে আগাতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন ঠিক তেমনি ভাবে আপনার মনে মন্দ কোনো চিন্তা থাকলে সেই চিন্তা নিয়েও যদি আপনি আগাতে থাকেন তাহলে সেটিও আপনার পূরণ হবে তবে ভালো কিংবা মন্দ কাজ করার মধ্যে অনেক পাৰ্থক্য রয়েছে ,সেই জ্ঞান কিংবা বুঝার ক্ষমতা আমাদের আছে। কিন্তু তাদের এই জ্ঞান নেই যারা মন্দ কাজের চিন্তা করে মন্দ কাজের সফলতা অর্জন করছে। তারা নিজেরা হয়তো ভাবছে তারা সফল ব্যাক্তি তবে কোনো সাধারণ মানুষ কিংবা ভালো মনের মানুষের কাছে কখনো একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়না।
তাই আমি মনে করি নিজেকে সবসময় ভালো কিছু ও মানুষকে উপকার করার মতো চিন্তা রাখতে হবে। মনের অহংকার মুক্ত রাখতে হবে ও নিজের মনকে উদার করে রাখতে হবে। সবসময় পরের উপকার করার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে ও সবসময় নিজেকে এমন ভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে যেন আমি নিজের জন্য নয় অপরের জন্যই জন্মেছি।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব অর্থাৎ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে মানুষের মধ্যে অন্য রকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রায় সব মানুষের মধ্যেই কমবেশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা রয়েছে। হয়তো অনেকের দক্ষতা প্রকাশ পায় এবং অনেকের দক্ষতা প্রকাশ পায় না। পৃথিবীতে এতো এতো মানুষ, কিন্তু সবার জীবন ধারা ভিন্ন রকম। আসলে সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই করতে পারে। তবে অহংকার একজন মানুষকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়। সমাজে বসবাস করতে হলে একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতে হবে এবং পরের সমস্যাটাকে নিজের সমস্যা মনে করতে হবে। তাহলে পৃথিবীটা আরও সুন্দর ভাবে বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। চমৎকার লিখেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে খুবই সুন্দর একটি মোটিভেশনাল পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট সম্পন্ন পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।আর হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন জীবনটা সুন্দর যদি সময়ের মূল্য দিতে পারা যায় ।পোস্টটি দারুণ ছিল ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জীবনধারা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এটা ঠিক বলেছেন সবার জীবন ধারা এক নয়।তবে জীবন যার যেমন ই হোক নিজেদেরকে সৎ ও অহংকার মুক্ত রাখতে হবে। পরের জন্য নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে হবে।তাতে যেমন আত্মতৃপ্তি পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি জীবনে ভালো থাকাটাও সহজ হবে।
দুইজন মানুষ কখনোই একটা জিনিসকে একইভাবে দেখতে পারে না। কারণ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা তাদের রুচি কথাবার্তা মস্তিষ্ক সবকিছুই আলাদা। জীবন নিয়ে আমাদের চিন্তা ভাবনাই আমাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়। এজন্য জীবন নিয়ে পজেটিভ চিন্তা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।